পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ইনকিলাব ডেস্ক : পবিত্র রমজান মাসে রোজা ভেঙে রক্ত দিয়ে এক হিন্দু পরিবারের সদ্যজাত শিশুর প্রাণ বাঁচিয়েছেন তরুণ মোহাম্মদ আশফাক। তার এ মহৎ ভ‚মিকা ব্যাপকভাবে প্রশংসিত হয়েছে ভারতের মিডিয়ায়। খবরে বলা হয়, দিন দুয়েক আগে বিহারের দারভাঙ্গার একটি নার্সিংহোমে প্রসব যন্ত্রণা নিয়ে ভর্তি হন এসএসবি জওয়ান রমেশকুমার সিংহের স্ত্রী আরতি দেবী। সেখানেই নবজাতকের জন্ম দেন তিনি। কিন্তু জন্মের পরেই নবজাতকের অবস্থার অবনতি হতে থাকে। তাকে নার্সিংহোমের এনআইসিইউ-তে রাখা হয়। চিকিৎসকেরা পরিবারের সদস্যদের জানান, ওই সদ্যোজাতকে বাঁচাতে গেলে ‘ও নেগেটিভ’ গ্রæপের রক্ত প্রয়োজন। সাধারণ ভাবে ‘নেগেটিভ’ গ্রæপের রক্ত পাওয়া সহজ নয়। পরিবারের চেনাজানা কারও রক্তই ওই গ্রæপের নয়।
পরিবারের সদস্যরা তাই গোটা বিষয়টি জানিয়ে ফেসবুক এবং বিভিন্ন হোয়াটসঅ্যাপ গ্রæপে আবেদন করেন। বিভিন্ন জায়গায় এসএসবি জওয়ানদেরও বার্তা পাঠানো হয়। সোমবারই দারভাঙ্গারই বাসিন্দা মোহাম্মদ আশফাক ফেসবুকে সেই আর্তিভরা বার্তা দেখেন। আশফাকের রক্তের গ্রæপ ‘ও নেগেটিভ’। সঙ্গে সঙ্গেই তিনি রমেশ সিংহের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। পৌঁছে যান নার্সিংহোমে। চিকিৎসকেরা তাঁকে পরীক্ষা করেন। কিন্তু আশফাক রোজা থাকায় তাঁরা তাঁর রক্ত নিতে পারবেন না বলে জানান। কারণ, রোজা থাকা অবস্থায় রক্ত দিলে আশফাকই অসুস্থ হয়ে পড়তে পারেন। এ অবস্থায় নবজাতকের প্রাণ বাঁচাতে রোজা ভাঙার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। হাসপাতালেই খাবার খান।
নির্ধারিত সময়ের পরে আশফাকের রক্ত নেওয়া হয়। সেই রক্ত দেওয়া হয় সদ্যোজাতকে। বেঁচে যায় শিশুটি।
ফোনে আশফাক বলেন, ‘‘রোজা অন্য সময়ে ফের রাখা যেতে পারে। আসলে আল্লাহই আমাকে দিয়ে এই কাজ করিয়ে নিয়েছেন।’’ শিশুটির পরিবারের সদস্যরাও আশফাকের উদারতায় কৃতজ্ঞ। তারা বলেন, ‘‘ধর্মের নামে ঘৃণার পরিবেশ তৈরি করেন যারা, তারা আশফাকের কাছ থেকে শিক্ষা নিতে পারেন!’’ সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।