পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বি এম হান্নান, চাঁদপুর থেকে : চাঁদপুর শহরে সী ফুড নামক হিমাগারে রক্ষিত চিংড়ি পচে-গলে বেরুচ্ছে প্রকট দুর্গন্ধ। ভয়ানক দুর্গন্ধে পাশ্ববর্তী এলাকায় মানুষের বসবাস কষ্টকর হয়ে পড়েছে। জনস্বাস্থ্য মারাত্মক হুমকির মুখে পড়েছে। এ অবস্থা চলতে থাকলে সেখানে মহামারি দেখা দিতে পারে। চিংড়ি মাছ রপ্তানীকারক প্রতিষ্ঠান সী ফুড কর্পোরেশন লিমিটেড এর নামে সোনালী ব্যাংক চাঁদপুর শাখায় ২০ কোটি টাকার ঋণ গাফিলতি এবং মালিকানা হস্তান্তর নিয়ে জটিলতায় আমদানি-রপ্তানি বন্ধ রয়েছে। আর এভাবেই প্রায় দু’ বছর কেটে গেছে। বিদ্যুৎ ও গ্যাস বিল বকেয়া থাকায় সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়া হয় প্রায় ৬/৭ মাস আগে। এ কারণে সী ফুডের হিমাগারে থাকা সব মাছে পচন ধরা শুরু করে। ভেতরে মাছ রয়েছে প্রায় ১০ কোটি টাকার মতো। বেশ কিছুদিন যাবৎ পচা দুর্গন্ধ প্রকট আকার ধারণ করে পুরো এলাকায় দুর্গন্ধ ছড়াতে থাকে। চাঁদপুর থেকে চিংড়ি মাছ রপ্তানীকারক প্রতিষ্ঠান সী ফুড কর্পোরেশন লিমিটেডের মালিক আলহাজ শাহীদুর রহমান চৌধুরী হঠাৎ করে ২০১৬ সালের এপ্রিলে সুদ‚র আমেরিকায় পাড়ি জমান। যাওয়ার আগে তিনি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এবং শহরের মিশন রোডস্থ বাসাসহ সহায় সম্পত্তি বিক্রি করে যান। বিষয়টি অনেকদিন পর জানাজানি হয়। তখন বের হয়ে আসে ব্যাংক ঋণসহ নানা ঘটনা।
জানা যায়, সী ফুডের নামে সোনালী ব্যাংক চাঁদপুর শাখায় ২০ কোটি টাকার ঋণ রয়েছে। সে ঋণ এখন চক্রবৃদ্ধি হারে ৩০ কোটি টাকায় এসে দাঁড়িয়েছে। ঋণ রেখে শাহীদুর রহমান চৌধুরী তাঁর ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বিক্রি ও মালিকানা হস্তান্তর করে সোনালী ব্যাংকের তৎকালীন কর্মকর্তাদের যোগসাজশেই তিনি দেশ ছাড়েন। কিন্তু ঋণ সংক্রান্ত জটিলতার কারণে সোনালী ব্যাংক সী ফুডকে নতুন মালিকের কাছে হস্তান্তর করতে পারছেন না। হিমাগার রক্ষিত চিংড়ি পচে-গলে ভয়ানক দুর্গন্ধে পাশ্ববর্তী এলাকায় মানুষের দুর্ভোগের কথা সোনালী ব্যাংক ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানালে তারা ব্যাংকের চাঁদপুর শাখাকে নির্দেশ দেন সী ফুড থেকে পচে গলে যাওয়া সব সামগ্রী অপসারণ করে নিরাপদ দ‚রত্বে নিয়ে মাটিতে গর্ত করে পুঁতে রাখতে। ৪/৫ মাস আগে এ নির্দেশনা দিলেও তা কার্যকর করছেন না ব্যাংকের স্থানীয় কর্তৃপক্ষ। তাদের অবহেলায় এখন ঐ এলাকায় জনস্বাস্থ্য মারাত্মক হুমকির মুখে পড়েছে। সোনালী ব্যাংক চাঁদপুর শাখার জিএম আঃ মতিন জানান, হেড অফিসের অর্ডার পেয়েছি। ঋণগ্রহীতার বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করা হবে। আদালতের নির্দেশনায় হিমাগারে রক্ষিত পচা-গলা চিংড়ি ডাম্পি করা হবে। আপাতত সেখানে কেরোসিন, বিøচিং পাউডার ও ঔষধ ছিটাচ্ছি। তিনি আরো জানান, ব্যাংক দায়িত্বগ্রহনের সময় হিমাগারে রক্ষিত মেয়াদউত্তীর্ণ চিংড়ির বুক ভ্যালু নির্ধারণ করা হয় প্রায় ৩ কোটি টাকা। জানা গেছে শাহীদুর রহমান চৌধুরী তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান নারায়ণগঞ্জের ব্যবসায়ী সঞ্জয় কুমার রায় ও তার স্ত্রী স‚চনা রাণী রায়ের কাছে বিক্রি করে যান। বিক্রির বিষয় ব্যাংকের তৎকালীন কর্মকর্তা সবাই জানতেন। ঋণের বিষয়টিও মৌখিকভাবে ফয়সালা করে যান। কিন্তু গত দু’ বছরেও ব্যাংকের সাথে নতুন মালিকানার জটিলতা কাটছে না। ফলে একটি রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান ধ্বংস হওয়ার পাশাপাশি জনস্বাস্থ্যের হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।