পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : দলীয় চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য, জাতীয় সংসদের সাবেক হুইপ সৈয়দ ওয়াহিদুল আলমের জানাযা শেষে শ্রদ্ধা জানিয়েছে বিএনপি। গতকাল (সোমবার) বেলা সাড়ে ১২টায় তার কফিন নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আনার পর তা দলীয় পতাকা দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়। এরপর দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীসহ নেতারা ফুল দিয়ে কফিনে শ্রদ্ধা জানান। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, মরহুম সৈয়দ ওয়াহিদুল ইসলাম ছিলে একজন জনপ্রিয় জনপ্রতিনিধি। তিনি দীর্ঘদিন অসুস্থ ছিলেন। আমরা তার মৃত্যুতে একজন নিবেদিতপ্রাণ নেতাকে হারালাম, যা কোনোদিন পূরণ হবার নয়। রোববার রাতে ঢাকার সেন্ট্রাল হসপিটালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন চট্টগ্রামের হাটহাজারীর সাবেক এমপি সৈয়দ ওয়াহিদুল আলম। তার বয়স হয়েছিল ৭৩ বছর। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রীসহ দুই মেয়ে ও অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। তার দুই মেয়ে ব্যারিস্টার শাকিলা ফারজানা ও ব্যারিস্টার আকলিমা ফারজানা সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী।
গতকাল সকাল ১১টায় ওয়াহিদুল আলমের প্রথম জানাযা অনুষ্ঠিত হয় জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায়। পরে তার লাশ নিয়ে আসা হয় নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে। এতে দলের মহাসচিব, স্থায়ী কমিটির সদস্যরা ছাড়াও ভাইস চেয়ারম্যান জয়নাল আবেদীন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য মশিউর রহমান, মামুন আহমেদ, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবুর রহমান শামীম, কেন্দ্রীয় নেতা সেরাজুল ইসলাম, সিরাজুল ইসলাম সেলিম, হাবিবুল ইসলাম হাবিব, এবিএম মোশাররফ হোসেন, মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল, মীর নেওয়াজ আলী, মাহবুবুল হক নান্নু,আমিরুজ্জামান শিমুল, হারুনুর রশীদ, আবুল হোসেনসহ নেতা-কর্মীরা অংশ নেন। পরিবারের সদস্যরা জানান, দুপুরে বেসরকারি হেলিকপ্টারে করে মরহুমের কফিন চট্টগ্রামে নিয়ে যাওয়া হয় বাদ আসর চট্টগ্রামের জমিয়তুল ফালাহ মসজিদের নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। আজ মঙ্গলবার সকাল ১১টায় হাটহাজারী কলেজ মাঠে এবং বাদ জোর লালিয়ার হাট মাদরাসা মাঠে জানাজা শেষে ওয়াহিদুল আলমকে পারিবারিক কবরাস্থানে দাফন করা হবে।
মৃত্যুর আগ পর্যন্ত ওয়াহিদুল আলম বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য ছিলেন। গত কমিটিতে তিনি কেন্দ্রীয় কমিটির তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক ছিলেন।এর আগে চট্টগ্রাম মহানগর কমিটির আহ্বায়ক ছিলেন ২০০৮-০৯ সালে। সৈয়দ ওয়াহিদুল আলম ছাত্রজীবন থেকে রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। বিএনপি প্রতিষ্ঠার পর তিনি এই দলে যোগ দেন। ১৯৮৫ সাল থেকে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত তিনি হাটহাজারী উপজেলা চেয়ারম্যান ছিলেন। ১৯৯১ সাল থেকে চট্টগ্রাম-৫ আসন থেকে তিনি চার দফা জাতীয় সংসদের সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। ২০০১ সালে তিনি জাতীয় সংসদের হুইপের দায়িত্ব পালন করেন।
বিএনপি নেতা সৈয়দওয়াহিদুল আলমের ইন্তেকাল : সর্বস্তরের শোক দাফন আজ
চট্টগ্রাম ব্যুরো : বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ও সাবেক হুইপ সৈয়দ ওয়াহিদুল আলম আর নেই। রোববার রাতে রাজধানীর সেন্ট্রাল হাসপাতালে তিনি ইন্তেকাল করেন (ইন্নালিল্লাহে ওয়াইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তার ইন্তেকালে চট্টগ্রাম বিএনপিতে নেমে আসে শোকের ছায়া। নিজ জন্মস্থান ও নির্বাচনী এলাকা হাটহাজারীতে আজ (মঙ্গলবার) চতুর্থ দফা নামাজে জানাযা শেষে লালিয়ারহাটের পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে তাকে। ৭২ বছর বয়সী প্রবীণ এ বিএনপি নেতা দীর্ঘ ১৪ মাস ধরে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। তিনি স্ত্রী, দুই কন্যাসহ অসংখ্য আত্মীয় স্বজন রেখে গেছেন। তার ইন্তেকালের খবরে বাসভবনে ছুটে যান বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ বিএনপি ও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ। গতকাল ঢাকা বিএনপি দলীয় কার্যালয়ে প্রথম জানাযা, নগরীর জমিয়তুল ফালাহ ময়দানে দ্বিতীয় নামাজে জানাযা অনুষ্ঠিত হয়। আজ সকালে হাটহাজারী সদরে এবং বাদ জোহর লালিয়ারহাটে শেষ নামাজে জানাযা হওয়ার কথা রয়েছে।
জিয়াউর রহমানের সময়ে যুবদলের প্রতিষ্ঠাতা সহ-সভাপতি হিসেবে বিএনপির রাজনীতিতে হাতেখড়ি সৈয়দ ওয়াহিদুল আলমের। পরে তিনি হাটহাজারী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। বিএনপি প্রার্থী হিসেবে ১৯৯১ সালে প্রথম নির্বাচন করে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। পরে ১৯৯৬, ২০০১ সালে সংসদ সদস্যসহ মোট ৪ বার নির্বাচিত হন। ২০০১-০৬ সাল পর্যন্ত জাতীয় সংসদের হুইপের দায়িত্ব পালন করেন। বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালনসহ নগর বিএনপির আহবায়কও ছিলেন তিনি। সর্বশেষ বিএনপির কাউন্সিলে তাকে চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা মনোনিত করা হয়।
সৈয়দ ওয়াহিদুল আলমের ইন্তেকালে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান এম মোরশেদ খান, আবদুল্লাহ আল নোমান, মীর মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন ও গিয়াস উদ্দিন কাদের, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা রোজী কবির, গোলাম আকবর খোন্দকার, এস এম ফজলুল হক, বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম, নগর বিএনপির সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেন, সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্করসহ বিএনপি নেতারা গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। তারা শোকার্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান। এছাড়া আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি, কল্যাণ পার্টি, এলডিপি, জাগপা, জামায়াতে ইসলামীসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে সৈয়দ ওয়াহিদুল আলমের ইন্তেকালে শোক প্রকাশ করা হয়।
আনজুমানের শোক
ওয়াহিদুল আলমের ইন্তেকালে আনজুমান-এ-রহমানিয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া ট্রাস্টের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মুহাম্মদ মহসিন, ভাইস প্রেসিডেন্ট আবু মোহাম্মদ তবিবুল আলম, সেক্রেটারী জেনারেল মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন, এডিশনাল জেনারেল সেক্রেটারী মোহাম্মদ সামশুদ্দিন, জয়েন্ট জেনারেল সেক্রেটারী মোহাম্মদ সিরাজুল হক, এ্যাসিসটেন্ট জেনারেল সেক্রেটারী এসএম গিয়াস উদ্দিন শাকের, ফাইন্যান্স সেক্রেটারী মোহাম্মদ সিরাজুল হক, প্রেস এন্ড পাবলিকেশন সেক্রেটারী প্রফেসর কাজী শামসুর রহমান, কেন্দ্রীয় গাউসিয়া কমিটির চেয়ারম্যান পেয়ার মোহাম্মদ, জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া আলিয়ার চেয়ারম্যান প্রফেসর মোহাম্মদ দিদারুল ইসলামসহ ট্রাস্টের নেতৃবৃন্দ গভীর শোক প্রকাশ করেন এবং শোক-সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।