পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার ঃ ধর্মীয় উপাসনালয়, কবরস্থান ইত্যাদির জমি অধিগ্রহণের বিধান রেখে পাশ করা “স্থাবর সম্পত্তি অধিগ্রহণ ও হুকুমদখল আইন, ২০১৭”-এর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রীমকোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে গতকাল রিট দায়ের করা হয়েছে। রিট আবেদনটি করেছেন ঢাকা জজ কোর্টের আইনজীবী এডভোকেট মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী, সাংবাদিক মুহম্মদ আরিফুর রহমান ও নারায়ণগঞ্জের হাজরাদী বায়তুল মুকাদ্দাস জামে মসজিদের মুতাওয়াল্লী কাজী মহিবুর রব। রিট আবেদনটি আজ বিচারপতি জুবাইর রহমান চৌধুরী ও বিচারপতি ইকবাল কবিরের সমন্বয়ে গঠিত ডিভিশন বেঞ্চে শুনানির জন্য কার্যতালিকায় রয়েছে। রিটকারীদের পক্ষে মামলাটি শুনানী করবেন এডভোকেট জুলহাস উদ্দিন আহমাদ।
রিট আবেদনে বলা হয়, “স্থাবর সম্পত্তি অধিগ্রহণ ও হুকুমদখল আইন, ২০১৭”-এর ৪ ধারায় মসজিদ বা কবরস্থানের ওয়াকফকৃত জমি উন্নয়নমূলক কাজের জন্য সরকার কর্তৃক অধিগ্রহণের বিধান রাখা হয়েছে। কিন্তু মসজিদ বা কবরস্থানের ওয়াকফকৃত জমি উন্নয়নমূলক কাজের নামে অধিগ্রহণ করে নেয়াটা সংবিধানে প্রদত্ত ধর্মীয় অধিকারের লঙ্ঘন।
রিট আবেদনে আরও বলা হয়, সাংবিধানিকভাবে বাংলাদেশের রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম। পবিত্র দ্বীন ইসলামের শরীয়তের বিধান অনুযায়ী, তথাকথিত উন্নয়নের নামে ওয়াকফকৃত জমি সরকার কর্তৃক অধিগ্রহণ করা মোটেও বৈধ নয়। বাংলাদেশে প্রচলিত ওয়াকফ অর্ডিন্যান্স, ১৯৬২ এবং ওয়াক্ফ (সম্পত্তি হস্তান্তর ও উন্নয়ন) বিশেষ বিধান আইন, ২০১৩-এর বিধানাবলির সাথেও “স্থাবর সম্পত্তি অধিগ্রহণ ও হুকুমদখল আইন, ২০১৭”-এর ধর্মীয় উপাসনালয়, কবরস্থান ইত্যাদির জমি অধিগ্রহণের বিধানটি সাংঘর্ষিক। এমতাবস্থায় “স্থাবর সম্পত্তি অধিগ্রহণ ও হুকুমদখল আইন, ২০১৭”-এর সংশ্লিষ্ট ধারার বিধানটিকে অসাংবিধানিক ও অবৈধ ঘোষণা করার জন্য রিট পিটিশনে আবেদন জানানো হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।