পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
জাবি প্রতিনিধি : জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্যের কার্যালয় আবারো ঘেরাও করেছে আওয়ামীপন্থী শিক্ষকদের একাংশ। গতকাল রোববার সকাল সাড়ে ৮টা থেকে বিকাল তিনটা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরাতন প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান নেয় ‘বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজ’। এতে প্রায় ৫০ শিক্ষক উপস্থিত ছিলেন। এ কর্মসূচির ফলে কার্যালয়ে প্রবেশ করতে পারেনি উপাচার্য। এর আগে এক সংবাদ সম্মেলনে নতুন সিন্ডিকেট সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত সব ধরনের নতুন নিয়োগ প্রতিহত করার ঘোষণা দেন উপাচার্যবিরোধী শিক্ষকদের সংগঠন ‘বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজ’। তার অংশ হিসেবে এই ঘেরাও কর্মসূচি পালিত হয়েছে বলে জানান সংগঠনটির সম্পাদক ও মুখপাত্র সহযোগী অধ্যাপক ফরিদ আহমেদ। তিনি বলেন, ‘চার মাস যাবত সিন্ডিকেট সভা আটকে আছে। ফলে শিক্ষকদের পদোন্নতি, শিক্ষার্থীদের সনদ ও ডিগ্রিসহ অনেক গুরুত্বপ‚র্ণ বিষয় স্থগিত রয়েছে। স্থগিত বিষয়ে সমাধান না করে নতুন নিয়োগ দেওয়া অনুচিত’। এদিকে পূর্ব নিধারিত পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের ৪টি অস্থায়ী প্রভাষক পদে নিয়োগের সিলেকশন বোর্ড স্থগিত করা হয়। সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত অপেক্ষা করার পর ভাইভা অনুষ্ঠিত না হওয়ায় ভোগান্তিতে পড়েন ভাইভা দিতে আসা প্রার্থীরা। বিকাল তিনটায় ডেপুটি রেজিস্টার (টিচিং) মুহাম্মাদ আলী ভাইভা স্থগিতের কথা জানালে ক্ষোভ প্রকাশ করে চাকুরি প্রার্থীরা। এ সময় জাপান থেকে আসা চাকুরি প্রার্থী মাসুদুর রহমান লিখন বলেন, ‘শিক্ষকদের অভ্যন্তরীন কোন্দলে পূর্ব নির্ধারিত বোর্ড স্থগিত হওয়ায় আমরা মর্মহত হয়েছি। আমাদের আগে থেকে জানিয়ে দিলে বিদেশ থেকে এসে হয়রানির ও ভোগান্তির শিকার হওয়া লাগতো না।’ লিখনের মতো অস্ট্রেলিয়সহ বেশ কয়েকজন বিদেশ থেকে ভাইভা দিতে এসেছিল বলেও জানা গেছে। এ বিষয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. ফারজানা ইসলাম বলেন, ‘অবরোধকারী শিক্ষাকরা পূর্ব ঘোষণা ছাড়া তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্তে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে সিলেকশন বোর্ড স্থগিত করেছে। এতে চাকুরিপ্রার্থীরাসহ বিশেষজ্ঞরাও বিরক্ত ও অপমানিত হয়েছেন। যা আমদের বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি চরমভাবে বিনষ্ট হয়েছে। এমন কর্মকাÐ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষাকদের দ্বারা হওয়া উচিত নয় বলেও মান্তব্য করেন তিনি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।