পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সাবেক প্রেসিডেন্ট ও বিকল্পধারা বাংলাদেশের চেয়ারম্যান ডা. এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী বলেছেন, আমরা অনেক গুম, নিহত দেখেছি। গ্রেনেড মারা দেখেছি। অগণতন্ত্র দেখেছি, সুপ্রিম কোর্টের বিচারের পরে আইন মানা হয় না।
ট্রাইবুনালে বিচারের পরে রায় মানা হয় না। হাজার হাজার মানুষ জেলের ভিতরে আছে, কতদিন চলবে এগুলো। আমরা আর সহ্য করতে রাজি না। আর সহ্য করবো না। এবার বাংলাদেশের জনগণ জেগে উঠেছে এবং এই জাগরণ থাকবে ইনশল্লাহ। আমরাও তাদের সঙ্গে থাকবো। গতকাল (রোববার) রাজধানীর ‹এশিয়া হোটেল এন্ড প্যাসিফিক› হলে যুক্তফ্রন্টের অন্যতম শরীক নাগরিক ঐক্য আয়োজিত ‘ইফতার ও ‘গ্রহণযোগ্য, অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন চাই’ শীর্ষক সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
দুর্নীতি এবং সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে সংগ্রামের কথা জানিয়ে বি. চৌধুরী বলেন, এই সংগ্রাম দেশে আইনের শাসন এবং গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা। এটা এ সরকার এবং ভবিষ্যতের যে কোনও সরকারের বিরুদ্ধে। যারাই দুর্নীতির বিরুদ্ধে থাকবেন না, যারাই সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে থাকবেন না, যারা গণতন্ত্রকে অস্বীকার করবেন। আমরা তাদের বিরুদ্ধে আছি। আমরাও তাদের অস্বীকার করবো। সেই জন্য বাংলাদেশে মুক্তির একটাই পথ। আমরা আবারও বলছি কেউ দু:খিত হবে না। তিনি বলেন, আমাদের জাগিয়ে দিতে হবে। আমাদের পিছনে সংহত হতে হবে। আমাদের পিছনে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। তাতে ভবিষ্যতে যারাই ক্ষমতায় আসতে চান, তারা বোঝে, শুনে চলেন। তারা যেন বোঝতে পারেন দেশের মানুষ দুর্নীতিকে ঘৃণা করেন। তারা সব ধরনের দুর্নীতিকে ঘৃনা করেন। দুর্নীতি আমরা সহ্য করতে রাজি নয়। অনেক সহ্য করেছি। আর করবো না।
মালয়েশিয়ার কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে বিকল্পধারা চেয়ারম্যান বলেন, আজকের বাংলাদেশের যে প্রেক্ষাপট তা এক কথায় বলছি, তাতে মালয়েশিয়ার মাহাথির বিন মোহাম্মদ খুব প্রাসঙ্গিক। মালয়েশিয়ার সদ্য সাবেক প্রধানমন্ত্রী নাজিব রাজাক অনেক উন্নয়ন করেছেন। অনেক কিছু বানিয়ে দেশটাকে আরও উচু করেছেন। কিন্তু কর্মশালা করেছে দুর্নীতি করে। দেশেটাকে শেষ করে দিয়েছে। মাহাথির ও জনগণের যে বিদ্রোহ তা ছিল দুর্নীতির বিরুদ্ধে। তিনি একটা কথায় বললেন,আমার দেশে এই দুর্নীতি সহ্য করবো না।
ইফতার মাহফিলে আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, গণস্বাস্থ্য ট্রাস্টি বোর্ডের প্রতিষ্ঠাতা ডা জাফরুল্লাহ চৌধুরী, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের সভাপতি আ স ম আব্দুর রব, বিপ্লবী ওয়ার্কাস পার্টির সাধারণ সম্পাদক কমরেড সাইফুল হক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড আসিফ নজরুল প্রমুখ।###
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।