পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
কওমি মাদরাসা শিক্ষাবোর্ড বেফাকের সহ সভাপতি পদে চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ রেজাউল করীমকে প্রাথমিকভাবে আলোচনায় আনার পর পুনরায় বাদ দেয়ায় তীব্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করছেন ইসলামী আন্দোলনের নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ ফয়জুল করীম।
রোববার ২৬ মে চরমোনাইতে রমজান উপলক্ষ্যে চলা ১৫ দিনব্যাপী তালিম তরবিয়াত অনুষ্ঠানের বয়ানে তিনি এ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন। বয়ানের ভিডিও ইতোমধ্যেই ছড়িয়ে পড়েছে ফেসবুকে, যেখানে তিনি বেফাকের সিদ্ধান্ত নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। জানা যায়, গত ৮ মে দারুল উলুম মঈনুল ইসলাম হাটহাজারী মাদরাসায় অনুষ্ঠিত বেফাকের নির্বাহী কমিটির বৈঠকে অনেক উলামায়ে কেরামকে কমিটির অন্তর্ভুক্ত করা হয়। বৈঠকে চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ রেজাউল করিমকে প্রাথমিকভাবে কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত করার আলোচনা হলেও পরে তা বাতিল করা হয়। এ নিয়ে বেশ কয়েকদিনই আলোচনা সমালোচনা অব্যাহত ছিল। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ ফয়জুল করীম তার বক্তব্যে এ ধরনের সিদ্ধান্তে চরমোনাই পীরকে অপমান করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন।
তিনি ভিডিও বয়ানে ক্ষোভ নিয়ে বলেন, একটা লোক যতই ভালো হোক যদি দেখা যায় সে চরমোনাই মুরিদ তাহলে তার সঙ্গে কথা বলা যাবে না, অথচ দুনিয়ার ক্ষমতাধর, অসৎ ব্যবসায়ী, কালোবাজারী, ভূমিদস্যুদের সাথে কথা বলা যায়। তিনি বলেন, যেহেতু লোকটার মধ্যে সব যোগ্যতা রয়েছে এমনকি হাইআতুল উলয়া বা বেফাকের সহসভাপতি নয় এর চেয়ে বড় পদ নেয়ারও যোগ্যতা রয়েছে। ব্যক্তি পদও চায়নি, দরখাস্তও করেনি, দালালও লাগায়নি। ওরা নিজেরা সিদ্ধান্ত করে চরমোনাই পীর সাহেবকে সহসভাপতি ঘোষণা দেয়ার পরে যাদের চাপের কারণে তাকে লাঞ্ছিত অপমানিত করা হয়েছে, মনে করতে হবে ওরা দীনের নামে দীনকে ধ্বংস করার চক্রান্তে লিপ্ত আছে। তিনি আরও বলেন, এই দিন দিন না আরও দিন আছে। উল্লেখ্য যে, বেফাক এখন গুটিকয় ব্যক্তির হাতে বন্দী। ভক্ত ও আত্মীয় ছাড়া বেফাকে যোগ্য ও দক্ষ লোকেদের তেমন কদর নেই। দেশের আরও অনেক বিশিষ্ট আলেমগণকে এই দুষ্টচক্রটি বেফাক থেকে দূরে সরিয়ে রেখেছে। গঠনতন্ত্রের নিয়ম না মেনে কানাকানি করে তারা লোক বাছাই করে আর মুরব্বীর দ্বারা তা পাশ করিয়ে নেয়। আমেলার পাশ করা সিদ্ধান্তও মুরব্বীকে ভুল বুঝিয়ে বাতিল করে দেয়। সরকারের সাথে আঁতাতকারী একটি দালালচক্র বেফাকের বড়দেরকেও বিভ্রান্ত করছে। দেশবাসী সব জানে, সময়ে প্রতিকার করবে।
এ বিষয়ে ইসলামী আন্দোলনের সহকারী মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান মিডিয়াকে বলেন, বক্তব্যটি আমি শুনেছি। কেউ কেউ তার বলা নিয়ে আপত্তি তুললেও তিনি কিন্তু বিষয়টি অযৌক্তিক বলেননি। তিনি বলেন, বেফাকের সে মিটিংয়ে আমাদের লোকও উপস্থিত ছিলেন। তারা সেখান থেকে জেনে এসেছেন পীর সাহেবকে সহসভাপতি করা হয়েছে। মিডিয়াতেও এ সংবাদ এসে গিয়েছিল, কিন্তু পরে কখন স্থগিত করা হলো তা নিয়ে আমাদের বা কমিটির অন্য সদস্যদের কিছু জানানো হয় নি। মিটিং শেষে রুদ্ধদ্বার কক্ষে কানাকানি সিদ্ধান্তে এটি হয়েছে। চরমোনাই পীর সাহেব তো সাধারণ কেউ না। তাকে একবার কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত করা তারপর বাতিল করা এটা তো অবশ্যই উলামায়ে কেরামের খারাপ লাগবে। চরমোনাই তরিকার হাজার হাজার মাদরাসা রয়েছে সারাদেশে। পীর সাহেব এগুলোকে সব সময় বেফাকের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার এবং সে অনুযায়ী পরিচালনার চিন্তাই করে এসেছেন কিন্তু তার সঙ্গে যেরকমটা হয়েছে এটা একটা দায়িত্বহীন আচরণ। এটা কেউ ভালো চোখে দেখছেনা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।