পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
পাইকারি ও খুচরা পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত কেন আইনগত কর্তৃত্ব বর্হিভূত ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। গতকাল রোববার কনজ্যুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) করা এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি মো. আশরাফুল কামালের বেঞ্চ এ রুল জারি করেন। গত ২৩ মে ক্যাবের ভোক্তা অভিযোগ নিষ্পত্তি জাতীয় কমিটির আহŸায়ক স্থপতি মোবাশ্বের হোসেন এ রিট দায়ের করেন।
আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার জ্যোর্তিময় বড়ুয়া। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোতাহার হোসেন সাজু। চার সপ্তাহের মধ্যে বিইআরসি, বিইআরসি’র চেয়ারম্যান ও বিদ্যুৎ ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় সচিবকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে বলে জানিয়েছেন।
পরে জ্যোর্তিময় বড়ুয়া পরে সাংবাদিকদের বলেন, গত বছরের ২৫ সেপ্টেম্বর থেকে ৫ অক্টোবর পর্যন্ত বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির বিষয়ে বিইআরসি গণশুনানি করে। আইন অনুযায়ী শুনানি করার ৯০ দিনের মধ্যে একটি লিখিত আদেশ দেয়ার কথা। কিন্তু সেরকম কোন আদেশ না দিয়ে ২৩ নভেম্বর পাইকারি ও খুচরা পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির ঘোষণা দেয়া হয়। বিইআরসির ওই সিদ্ধান্ত আইন অনুযায়ী না হওয়ায় তা চ্যালেঞ্জ করে রিট করা হয়। আদালত প্রাথমিক শুনানি নিয়ে রুল জারি করেছে।
গত বছর ২৩ নভেম্বর প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের দাম গড়ে ৩৫ পয়সা বা ৫ দশমিক ৩ শতাংশ বাড়ায় বাংলাদেশ অ্যানার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি), যা ডিসেম্বর থেকে কার্যকর হয়েছে। নতুন হারে আবাসিকে মাসে ৭৫ ইউনিট পর্যন্ত বিদ্যুৎ ব্যবহারকারীদের খরচ বাড়বে ১৫ টাকা, ১৫০ ইউনিটে ৪৮ টাকা, ২৫০ ইউনিট পর্যন্ত ৯০ টাকা, ৪৫০ ইউনিট পর্যন্ত ১৯৬ টাকা এবং ১০০০ ইউনিট পর্যন্ত ব্যবহারকারীদের খরচ বাড়বে ৬০৪ টাকা। তবে ন্যূনতম বিল তুলে দেওয়ায় কম বিদ্যুৎ ব্যবহারকারীদের খরচ কমবে। ১৫ ইউনিট পর্যন্ত ব্যবহারকারীদের খরচ বাঁচবে ১৭ থেকে ২২ টাকা। বিইআরসি’র ঘোষণা অনুযায়ী দাম বাড়ানো হয়েছে কেবল খুচরা পর্যায়ে; পাইকারিতে বিতরণ কেন্দ্রগুলোর জন্য বিদ্যুতের দাম বাড়ছে না।
সর্বশেষ ২০১৫ সালের ১ সেপ্টেম্বর বিদ্যুতের দাম গড়ে ২ দশমিক ৯৩ শতাংশ বাড়িয়েছিল সরকার। তাতে মাসে ৭৫ ইউনিট পর্যন্ত ব্যবহারকারীদের খরচ বাড়ে ২০ টাকা; ৬০০ ইউনিটের বেশি ব্যবহারে খরচ বাড়ে কমপক্ষে ৩০ টাকা। দাম বৃদ্ধির প্রস্তাবের পাশাপাশি ব্যতিক্রমী এক উদ্যোগে কনজ্যুমার্স অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশের পক্ষ থেকে আনা দাম কমানোর একটি প্রস্তাব নিয়েও শুনানি হয়। বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি নিয়ে বিইআরসির জারি করা আদেশে ‘অন্যায় ও অযৌক্তিক’ কারণ দেখানো হয়েছে বলে অভিযোগ করেন ক্যাবের জ্বালানি উপদেষ্টা অধ্যাপক শামসুল আলম। ক্যাব বলছে, বিইআরসির গণশুনানিতে তারা দাম কমানো যে সম্ভব, তা যুক্তি দিয়ে দেখিয়েছিল।######
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।