পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : বিশ্ব নিরাপদ মাতৃত্ব দিবস আজ। বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশেও নানা আয়োজনে দিবসটি উদযাপিত হচ্ছে। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য ‘কমাতে মাতৃ মৃত্যুহার মিডওয়াইফ পাশে থাকা দরকার’। নিরাপদ মাতৃত্ব দিবস উপলক্ষ্যে প্রেসিডেন্ট মো. আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন। সচেতনতা বাড়াতে আলোচনা সভাসহ নানা কর্মর্সূচির আয়োজন করা হয়েছে। এছাড়া নানা কর্মসূচি বাস্তবাযন করা হলেও এখনো সিজারিয়ান ডেলিভারির হার মাতৃ স্বাস্থ্যের জন্য উদ্বেগজনক। যদিও অপ্রয়োজনীয় সিজার করলে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী জাহিদ মালেক। প্রয়োজনে হাসপাতাল বন্ধ করে দেয়া হবে বলেও হুশিয়ারি দেন তিনি।
সংশ্লিষ্ট চিকিৎসা বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, প্রসূতি মায়েদের নিরাপদ সন্তান প্রসবের ক্ষেত্রে দেশে এখনো সচেতনার অভাব ও পরিপূর্ণ অবকাঠামোগত পরিবেশের ঘাটতি রয়ে গেছে। এখানো অনেক জায়গায় ক্লিনিক বা হাসপাতালে মায়েদের ডেলিভারি না হয়ে বাসা-বাড়িতে হচ্ছে। সেখানে প্রশিক্ষিত নার্স বা মিডওয়াইফ না থাকার কারনে মা ও শিশুর মৃত্যু ঝুঁকি বেড়ে যাচ্ছে। ফলে এখনই এ বিষয়ে সচেতনতা তৈরি করে সুস্থ্য সন্তান প্রসাবের মাধ্যমে নিরাপদ মাতৃত্ব নিশ্চিত করার কথা বলছেন বিশেষজ্ঞরা।
সিজারিয়ান ডেলিভারির এই হার মাতৃ স্বাস্থ্যের জন্য উদ্বেগজনক।বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দেশে প্রতিষ্ঠানিক ডেলিভারির ক্ষেত্রে বাংলাদেশ এখনও কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারেনি। বর্তমানে এই (প্রাতষ্ঠানিক ডেলিভারির হার) ৪২ শতাংশ। অথচ এটি ৭০ থেকে ৮০ শতাংশে থাকার কথা।
এদিকে নিরাপদ মাতৃত্ব দিবস পালন উপলক্ষ্যে গতকাল রোবাবর সচিবালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সরকারের স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, এক হাজার মায়ের মধ্যে ১৫ জনের সিজারিয়ান ডেলিভারি বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার গ্রহণযোগ্য হার হলেও বাংলাদেশে বেসরকারি হাসপাতালের এই হার ৮০ শতাংশ পর্যন্ত হয়ে থাকে। অথচ সিজারিয়ান ডেলিভারির এই হার মাতৃ স্বাস্থ্যের জন্য উদ্বেগজনক। তবে অপ্রয়োজনীয় সিজার করলে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে প্রয়োজনে হাসপাতাল বন্ধ করে দেয়া হবে বলেও হুশিয়ারি দেন জাহিদ মালেক।
মন্ত্রী আরো বলেন, এটা সত্য যে, দেশে সি-সেকশন (সিজারিয়ান ডেলিভারি) অনেক বেড়ে গেছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গ্রহণযোগ্য হার হচ্ছে প্রতি হাজারে ১৫ জন। এখনো সরকারি হাসপাতাল এমনকি টার্শিয়ারি লেভেলের হাসপাতালেও ২৫ থেকে ৩০ শতাংশ পর্যন্ত সিজারিয়ান ডেলিভারি হচ্ছে। বেসরকারি হাসপাতালে ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ পর্যন্ত সিজারিয়ান ডেলিভারি করা হচ্ছে। তবে এটা কমাতে প্রতিটা চিকেৎসাকেন্দ্র একটি ফর্ম পাঠানো হয়েছে। সেখানে বিভিন্ন ধরণের চাহিদা আছে। যেটা পূরণ করে সংশ্লিষ্ট কর্তপক্ষের কাছে জমা দিতে হবে। সেখানে রোগীর তথ্য যেমন, কী কী কারণে তাকে সিজার করা হল, পরিবারের অনুমোদন নেয়া হয়েছে কি না ? এটার জটিলতা ছিল কি না ? বিভিন্ন ধরণের কমেন্ট জুড়ে দেয়া হয়েছে। গত দুই মাস হল হাসপাতালগুলোতে ফর্ম দেয়া হচ্ছে, তথ্য নেযার পর একটি বিশেষজ্ঞ দল থাকবে, তারা ওটা দেখবেন। দেখার পর কোথাও গাফিলতি পাওয়া গেলে অবশ্যই শাস্তির বিধান আছে। যে প্রতিষ্ঠান এগুলো করবে সেসব প্রতিষ্ঠনকে জরিমানা ও বন্ধ করে দেয়া করে হবে।
উল্লেখ্য, এ বছরও বিশ্ব নিরাপদ মাতৃত্ব পালন উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ গাইনী এ্যান্ড অবস সোসাইটির উদ্যোগে সকাল ১১ টা আলোচনার সভার আয়োজন করেছে। সরকারীভাবে স্বাস্থ্য মন্ত্রনালযের উদ্যোগে আন্তর্জতিক বঙ্গববন্ধু সম্মেলন কেন্দ্রে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। প্রধান অতিথি হিসেবে স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী জাহিদ মালেক উপস্থিত থাকবেন। পাশাপাশি প্রতিটি জেলা সিভিল সার্জনদের উদ্যোগে স্থানীয়ভাবে বিভিন্ন কর্মসুচী পালিত হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।