Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

প্রমাণ ছাড়া বদির চুলও ধরা না গেলে ৭৮ জনকে কিভাবে হত্যা করলেন ? -মাহমুদুর রহমান মান্না

| প্রকাশের সময় : ২৮ মে, ২০১৮, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : বিচারবর্হিভূত হত্যাকাÐের সমালোচনা করে নাগরিক ঐক্যের আহŸায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেছেন, প্রমাণ ছাড়া যদি বদির (আওয়ামী লীগের এমপি আব্দুর রহমান বদি) চুলও ধরা না যায়। তাহলে কিভাবে প্রমাণ ছাড়া ৭৮জন মানুষকে হত্যা করলেন? ওই মানুষগুলোর বিরুদ্ধে কি কি অভিযোগ আছে, কতগুলো মামলা আছে তা প্রকাশ করুন। তাদের সমস্ত অপরাধ কি তা জাতির সামনে প্রকাশ করুন। তাদের কোন প্রমাণের ভিত্তিতে হত্যা করেছেন তা প্রকাশ করুন। আর নয়তো আপনাদেরকেও একদিন এভাবে হত্যার মুখোমুখি হতে হবে। যদিও আমরা সেভাবে কিছু করবো না। কারণ আমরা আইনের শাসনে বিশ্বাস করি। গতকাল (রোববার) রাজধানীর ‹এশিয়া হোটেল এন্ড প্যাসিফিক› হলে নব গঠিত যুক্তফ্রন্টের অন্যতম শরীক নাগরিক ঐক্য আয়োজিত এক ইফতারের আগে ্রগ্রহণযোগ্য, অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন চাই ্র শীর্ষক সংক্ষিপ্ত আলোচনায় তিনি এসব কথা বলেন।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের সামনে এসব কথা বলার ইচ্ছা ছিল জানিয়ে মান্না বলেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এর কথা শুনে মনে হয়েছিলো আজ (গতকাল) তিনি আসবেন। বলেছিলেন, দুই তিন দিন পরে জানাবেন। আমি যোগাযোগ করেছি। কিন্তু তিনি জানানি। আমার বন্ধু ওবায়দুল কাদের আজ আসলে তার সামনেই বলতাম। তিনি বলেন, এই সরকার কোনো অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন দিবে না। আমরা যদি তাদের অধিনে নির্বাচনে অংশগ্রহন করি জিতলেও তারা জিততে দিবে না । খুলনার নির্বাচন তার প্রমাণ। গাজীপুরেও তারা একইভাবে চেষ্টা করবে। কিন্তু আমাদেরকে প্রস্তুতি নিয়ে নামতে হবে। কোনো ছাড় দেওয়া যাবে না।
প্রধানমন্ত্রী মাঠে নামার আগেই ভয় পেয়ে গেছেন মন্তব্য করে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডির) সভাপতি আ স ম আব্দুর রব বলেন, আমরা খেলা এখনো শুরু করিনি। আসল খেলা হবে ময়দানে। মাঠে নামার আগেই ভয় পেয়ে গেছেন? আপনাকে মাঠও ছাড়তে হবে। দেশও ছাড়তে হবে। কোথায় যাবেন তা ঠিক করেন এখন।
আব্দুর রব বলেন, একটি মগের মুল্লুকের মধ্যে আমরা আছি। এরপূর্বে আমার ষাট বছর রাজনীতিক জীবনে এমন অপশাসন আর দেখিনি। সদ্য শেষ হওয়া খুলনায় ভোর চুরি হয়নি, ডাকাতি হয়েছে। ১১টার পর কেউ ভোট দিতে পারেনি। শান্তিপ্র্ণূভাবে ১৩০টি সেন্টারে সীল মারা হয়েছে। এই সরকারের পরনে কাপড় নাই। নির্লজ্জ। বেহায়া।
আব্দুর রব বলেন, সাবধান হোন। আমরা কি করতে পারে বাঙালি জানে। আমরা পতাকা উপহার দিয়েছি, জয় বাংলা উপহার দিয়েছি, বঙ্গবন্ধু উপহার দিয়েছি। কখনো মাথা নত করিনি, করবোও না। অপমান করেছেন অনেক। আর সহ্য হবে না। যেদিন ক্ষমতায় থাকবেন না সেদিন কি করবেন?
ইফতার মাহফিলে আরও বক্তব্য দেন যুক্তফ্রন্টের ও বিকল্পধারা বাংলাদেশের চেয়ারম্যান ডা এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, গণস্বাস্থ্য ট্রাস্টি বোর্ডের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, বিপ্লবী ওয়ার্কাস পার্টির সাধারণ সম্পাদক কমরেড সাইফুল হক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড আসিফ নজরুল প্রমুখ।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ