Inqilab Logo

রোববার ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৭ আশ্বিন ১৪৩১, ১৮ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

প্রধানমন্ত্রী বার বার ভারত যাচ্ছেন কেন -ড. খন্দকার মোশাররফ

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৭ মে, ২০১৮, ১২:০০ এএম

প্রধানমন্ত্রী বার বার ভারতে যাচ্ছেন কেন? এমন প্রশ্ন রেখে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, এত বার তিনি (প্রধানমন্ত্রী) ভারতে গেলেন, তিস্তা চুক্তির বিষয়টি আলোচ্য সূচিতে পর্যন্ত আনতে পারেননি। প্রতিবারই তিনি ভারতে যান আর আমরা প্রত্যেকবারই প্রত্যাশা করেছি যে, এদেশের মানুষের মরা-বাঁচার সম্পর্ক হচ্ছে পানি, সেই তিস্তা নদীর পানি সমস্যার সমাধান হবে। কিন্তু সরকারের সাথে জনগণের সম্পর্ক না থাকায় সেটি পূরণ হচ্ছে না বলেও মন্তব্য করেন বিএনপির এই নেতা। জাতীয় প্রেসক্লাবের কনফারেন্স লাউঞ্জে গতকাল (শনিবার) দুপুরে বাংলাদেশ জাতীয় দল আয়োজিত বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া, ছাত্রদলের সভাপতি রাজীব আহসানসহ বন্দী সকল নেতা-কর্মীদের মুক্তির দাবিতে এক প্রতিবাদ সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রীর বার বার ভারত সফর নিয়ে জনগণের মধ্যে গুঞ্জন আছে অভিযোগ করে খন্দকার মোশাররফ বলেন, কেন তিনি (প্রধানমন্ত্রী) ভারতে যাচ্ছেন, জনগণের মধ্যে নানা গুঞ্জন আছে। প্রধানমন্ত্রীর সফরেও ভারতের কাছ থেকে বাংলাদেশের স্বার্থ উদ্ধার হচ্ছে না। বর্তমান সরকার জনগণের সরকার নয় সেই কারণেই তারা মানুষের প্রত্যাশা পূরণ করতে পারছে না।
মাদকবিরোধী অভিযানের সমালোচনা করে খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, এই সরকার নার্ভাস হয়ে গেছে, তার প্রমাণ হঠাৎ করে মাদকবিরোধী অভিযান শুরু করলো। তাও আবার নির্বাচনের বছরে। এই মাদক এক মাস কিংবা ছয় মাস আগে আসে নাই। এই সরকার ক্ষমতায় আসার পর তাদের এমপি, মন্ত্রী নেতারা যারা মাদকের ব্যবসা করে তাদেরকে আশ্রয়-প্রশ্রয় দিয়ে মাদককে আজকে এই পর্যায়ে নিয়ে এসেছে। যা দেশকে ধ্বংস করে দিচ্ছে। তিনি বলেন, আমরাও চাই মাদক বন্ধ হোক, কিন্তু এই মাদকবিরোধী অভিযান চালাতে গিয়ে যে বিচারবহির্ভূত হত্যাকান্ড চলছে তা কোনো মতেই গ্রহণযোগ্য নয়। যাদের মারা হচ্ছে তারা যদি সত্যিকারের মাদক ব্যবসায়ী হয় তাহলে তাদের আইনের আওতায় আনা হোক। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করলে গডফাদারদের তথ্য অবশ্যই পাওয়া যাবে।
বিএনপি এই নেতা বলেন, আমরা অভিযানের বিরোধীতা করি না। আমরা পদ্ধতির বিরোধীতা করি। তাদেরকে (মাদক ব্যবসায়ীদের) গ্রেফতার করা হোক, আইনে সোপর্দ করা হোক। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে গডফাদারদের নাম বের করা হোক। এদেশের সাধারণ মানুষ পর্যন্ত জানে মাদকের সম্রাট কারা। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত (হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ) পর্যন্ত বলেছেন, এই পার্লামেন্টেই মাদকের গডফাদার আছে। এদেরকে আজকে ধরা হয় না, ধরা হয় ছোট খাটো যারা মাদক বহন করে, তাদেরকে খুন করা হচ্ছে, এর মধ্যে কোনও বাহাদুরি নাই। মূল উৎপাটন করা না গেলে এদেশে মাদকবিরোধী অভিযান সফল হবে না। বিভিন্ন সরকারি সংস্থা মাদকবিরোধী অভিযানের নামে বাণিজ্য করছে দাবি করে বিএনপির সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, এই অভিযানের নামে অনেক বাণিজ্য হচ্ছে, এসব বন্ধ করতে হবে। এই গণবিরোধী, স্বৈরাচার সরকারের হাত থেকে জনগণকে রক্ষা করতে হবে। এই স্বৈরাচারী সরকারের পতন ছাড়া এদেশে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার সম্ভব হবে না। আয়োজক সংগঠনের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট সৈয়দ এহ্সানুল হুদার সভাপতিত্বে প্রতিবাদ সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী প্রমুখ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: প্রধানমন্ত্রী


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ