ভারতের পশ্চিমবঙ্গের আসানসোলে কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে বিশেষ সমাবর্তনে ডি লিট সম্মাননা গ্রহণ করেছেন প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা। শনিবার (২৬ মে) দুপুর দেড়টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তার হাতে এই সম্মাননা তুলে দেয়। প্রধানমন্ত্রী তার এই সম্মাননা পুরো বাঙালি জাতিকে উৎসর্গ করেছেন। সমাজ সংস্কারে অবদান রাখার স্বীকৃতি হিসেবে প্রধানমন্ত্রীকে ডি লিট দেওয়া হয়েছে।
আসানসোলে আজ শনিবার (২৬ মে) বাংলাদেশের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের জন্মদিন পালন করা হচ্ছে। এ উপলক্ষে বর্ধমানের আসানসোল শহরে কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে বিশেষ সমাবর্তনের আয়োজন করা হয়।
সমাবর্তন অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা ভাষণ দেন। পরে মেধাবী শিক্ষার্থীদের হাতে স্বর্ণপদক তুলে দেবেন। অনুষ্ঠানে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী যোগ দেওয়ার কথা থাকলেও অসুস্থতার কারণে তিনি আসতে পারেননি।
এর আগে শুক্রবার (২৫ মে) দুই দিনের সরকারি সফরে কলকাতা যান প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আমন্ত্রণে তিনি এই সফরে গেছেন। শুক্রবার মোদির সঙ্গে বৈঠক করেছেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীদের বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ভিভিআইপি ফ্লাইট সকাল ৯টা ২৫ মিনিটে কলকাতায় নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেছে। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের নগর উন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম এবং ভারতে বাংলাদেশের হাইকমিশনার সৈয়দ মোয়াজ্জেম আলী বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে অভ্যর্থনা জানান। এরপর প্রধানমন্ত্রী হেলিকপ্টারে করে কলকাতা থেকে ১৮০ কিলোমিটার উত্তরে পশ্চিমবঙ্গের বীরভূম জেলার শান্তিনিকেতনে যান। বিশ্বভারতীর উপাচার্য অধ্যাপক সবুজ কলি সেন শান্তিনিকেতনে প্রধানমন্ত্রীকে অভ্যর্থনা জানান এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের রবীন্দ্র ভবনে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানান।
প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম জানান, এই সফরে প্রধানমন্ত্রী শান্তিনিকেতনে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন এবং আসানসোলে কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সম্মানসূচক ডক্টরেট অব লিটারেচার (ডি-লিট) ডিগ্রি গ্রহণ করবেন। দুই প্রধানমন্ত্রী আজ শান্তিনিকেতনে নবনির্মিত বাংলাদেশ ভবনের উদ্বোধন করবেন এবং সেখানে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেছেন।
প্রধানমন্ত্রী বিশ্বভারতীর সমাবর্তনে যোগ দেন। অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়টির আচার্য ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও পশ্চিমবঙ্গের বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উপস্থিত থাকবেন। এরপর দুই প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ ভবন উদ্বোধন করেন।
এই ভবনে রয়েছে আধুনিক থিয়েটার, প্রদর্শনী কক্ষ, বিশাল লাইব্রেরি। এই লাইব্রেরিতে রয়েছে সাহিত্য, সংস্কৃতি, ইতিহাস, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ও ভারতের স্বাধীনতার ইতিহাস এবং বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যকার সম্পর্ক সম্পর্কিত গ্রন্থ। এছাড়া, ভবনের প্রবেশদ্বারের দুই প্রান্তে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মুর্যাল স্থাপন করা হয়েছে।
সেখান থেকে
শেখ হাসিনা কলকাতা ফিরে এসে জোড়াসাঁকোর ঠাকুরবাড়ি পরিদর্শন করেন। সন্ধ্যায় হোটেল তাজ বেঙ্গলে কলকাতা চেম্বার নেতারা তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। আসানসোল থেকে কলকাতায় এসে প্রধানমন্ত্রী নেতাজী সুভাষ বসু জাদুঘর পরিদর্শন করবেন। শনিবার রাতে তার দেশে ফেরার কথা।