পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
দুই দিনের সফরে কলকাতার উদ্দেশ্যে গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
শুক্রবার সকাল ৮টা ৫০ মিনিটে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে তিনি রওনা হন।
শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু, সড়ক যোগাযোগ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, চিফ হুইপ আ স ম ফিরোজ, মন্ত্রিপরিষদসচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম, মূখ্য সচিব মো. নজিবুর রহমান, তিন বাহিনীর প্রধানসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বিমানবন্দরে উপস্থিত ছিলেন।
শান্তি নিকেতনে ‘বাংলাদেশ ভবন’ উদ্বোধনই প্রধানমন্ত্রীর এই সফরের মূল উদ্দেশ্য।
তিনি বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন এবং আসানসোলে কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষ সমাবর্তনেও যোগ দেবেন।
নির্বাচনের কয়েক মাস আগে কলকাতায় এই সফরে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গেও দেখা হবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার।
ফলে তিস্তার পানি বণ্টনসহ দুই দেশের অমীমাংসিত অন্য বিষয়গুলোও ঘুরে ফিরে আসছে বিভিন্ন আলোচনায়।
প্রধানমন্ত্রী কলকাতার নেতাজী সুভাস চন্দ্র বসু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছে সেখান থেকেই হেলিকপ্টারে বীরভূমের শান্তি নিকেতনে যাবেন।
শান্তি নিকেতনে বিশ্ব ভারতীর উপাচার্য অধ্যাপক সবুজ কলি সেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে অভ্যর্থনা জানাবেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রবীন্দ্র ভবনে সমাবর্তন অনুষ্ঠানে শেখ হাসিনাকে অভ্যর্থনা জানাবেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
সমাবর্তন শেষে বিশ্বভারতীতে বাংলাদেশ ভবনের ফলক উন্মোচন করবেন দুই প্রধানমন্ত্রী। বিশ্বভারতীর উপাচার্য ও দুই প্রধানমন্ত্রী এ অনুষ্ঠানে বক্তব্যও দেবেন।
বিশ্বভারতীর প্রতিষ্ঠাতা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সার্ধ-শত জন্মবার্ষিকীর উদযাপন ঘিরে শান্তিনিকেতনে বাংলাদেশ ভবন গড়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বাংলাদেশ সরকারের অর্থায়নে নির্মিত এই ভবনে রয়েছে ৪৫০ আসনের প্রেক্ষাগৃহ, যা বিশ্বভারতীতে থাকা প্রেক্ষগৃহগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বড়।
বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক ইতিহাসভিত্তিক সংগ্রহশালার পাশাপাশি ভবনটিতে বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক এবং বাংলাদেশের বিভিন্ন বিষয়ের গ্রন্থের সংগ্রহ নিয়ে একটি পাঠাগারও তৈরি করা হয়েছে।
ভবনের প্রবেশদ্বারের দুই প্রান্তে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ম্যুরাল স্থাপন করা হয়েছে।
বাংলাদেশ ভবনের উদ্বোধন শেষে শেখ হাসিনা ও নরেন্দ্র মোদীর বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে।
বিশ্বভারতীর অনুষ্ঠান থেকে হেলিকপ্টারে কলকতায় ফিরে হোটেল তাজ বেঙ্গলে উঠবেন শেখ হাসিনা। ভারত সফরের সময় এই হোটেলেই অবস্থান করবেন তিনি।
বিকালে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মস্থান কলকাতার জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ি পরিদর্শন করার পর সন্ধ্যায় হোটেল তাজ বেঙ্গলে কলকাতার ব্যবসায়ী নেতারা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন।
সফরের দ্বিতীয় দিন শনিবার সকালে কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষ সমাবর্তনে যোগ দিতে আসানসোল যাবেন শেখ হাসিনা। সমাবর্তনে শেখ হাসিনাকে সম্মানসূচক ডিলিট ডিগ্রি দেওয়া হবে।
কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও বক্তৃতা দেবেন।
আসানসোল থেকে কলকাতায় ফিরে বিকালে নেতাজী যাদুঘর পরিদর্শন করার পর শনিবার রাতে ঢাকায় ফেরার কথা রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।