পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : সিটি করপোরেশন নির্বাচনে এমপিদের প্রচারণার সুযোগ দিতে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের প্রস্তাব অবশেষে অনুমোদন দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। বিএনপিসহ ইসিতে নিবন্ধিত অনেক রাজনৈতিক দল এই প্রস্তাবের বিরোধীতা করলেও শেষ পর্যন্ত ইসিকে নির্বাচনী আচরণবিধিতে হাত দিতেই হচ্ছে। এক্ষেত্রে কমিশনের যুক্তি; এমপি পদ লাভজনক নয়। তাই তারা প্রচার-প্রচারণায় যেতে পারেন। তবে রাজনৈতিক দল ও জনমানুষের সমালোচনা এড়াতে এবং নিজেদের ইমেজ বাঁচাতে আচরণবিধিতে শর্ত জুড়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন। শতানুযায়ী এমপিরা প্রচারণায় অংশ নিতে পারলেও সরকারি সুযোগ-সুবিধা প্রহণ করতে পারবেন না। ভোটের সময় তারা ডাকবাংলো ব্যবহারেরও সুযোগ পাবে না। আইন মন্ত্রণালয়ের যাচাই–বাছাইয়ের পর এ বিষয়ে পরিপত্র জারি হলে এটি কার্যকর হবে। তবে গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনের আগে এটি কার্যকর হওয়ার সম্ভাবনা কম। গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে অনুষ্ঠিত কমিশন বৈঠকে এসব সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নূরুল হুদার সভাপতিত্বে বৈঠকে চার নির্বাচন কমিশনার, ইসি সচিব ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এই আচরণবিধি আইন না হওয়ায় সংসদে উত্থাপনের প্রয়োজন হবে না। আইন মন্ত্রণালয়ের ভেটিং শেষেই তা চূড়ান্ত করে গেজেট করতে পারবে ইসি।
বৈঠকের সিদ্ধান্তের বিষয়ে নির্বাচন কমিশন সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ সাংবাদিকদের বলেন, আচরণবিধির সংশোধনী এনে সিটি নির্বাচনে এমপিদের প্রচারনার সুযোগ সৃষ্টির বিষয়টি অনুমোদন দিয়েছে কমিশন। তিনি বলেন, এমপি পদ লাভজনক নয়। সেজন্যই তারা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে প্রার্থীর পক্ষে প্রচারণা চালাতে পারবেন। কেন এই পদ লাভজনক নয়- তার ব্যাখ্যায় ইসি সচিব বলেন, এমপিরা কোনো অফিস হোল্ড করেন না, সরকারি গাড়ি ব্যবহার করেন না, কিনে ব্যবহার করেন। এবং কোনো সরকারি কর্মকর্তাও যুক্ত নেই তাদের সঙ্গে। সিটি করপোরশন আচরণ বিধিমালায় কমিশন বিভিন্ন ধরনের ১১টি সংশোধনী আনার প্রস্তাব করেছে জানিয়ে হেলালুদ্দীন বলেন, আগামী রোববার তা আইন মন্ত্রণালয়ে ভেটিংয়ের জন্য পাঠানো হবে।
গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনের তফসিল আগেই ঘোষিত হওয়ায় এই সংশোধনী চূড়ান্ত হয়ে ওই নির্বাচনে কার্যকর সম্ভাবনা ক্ষীণ বলে মন্তব্য করে ইসি সচিব। তিনি বলেন, কোনো নির্দিষ্ট সিটি করপোরেশন নয়, সব এমপির জন্যই এই সুযোগ থাকবে। লাভজনক পদ না হওয়ায় তাদের উপর থেকে এই বিধিনিষেধ তুলে নেয়া হল। তবে সিটি নির্বাচনে প্রার্থী হতে হলে, বিদ্যমান আইন অনুযায়ী এমপি পদ তাদেরকে ইস্তফা দিতে হবে। তিনি জানান, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগও ইসির স্টেকহোল্ডার। তাদের প্রস্তাবনা পর্যালোচনা করেই সংশোধনীর এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। ইসি সূত্রে জানা গেছে, এমপিদের স্থানীয় সরকারের নির্বাচনে প্রচারে অংশ নেয়া নিয়ে এর আগের বৈঠকগুলোতে পক্ষে-বিপক্ষে মতামত আসে। তবে গতকালের বৈঠকে নির্বাচন কমিশনাররা এ ইস্যুতে মন্তব্য করতে সতর্কতা অবলম্বন করেছেন। ইসির উর্দ্ধতন একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের দাবি ছিল সিটি নির্বাচনে এমপিদের প্রচারণায় অংশগ্রহণের সুযোগ রাখার। দলটির অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে আচরণবিধি সংশোধনের উদ্যোগ নেয়া হয়। এ নিয়ে কয়েক দফা আলোচনা হয়েছে। অনেকে এই প্রস্তাবের বিরোধিতাও করেছিলেন।
আগের বৈঠকে দ্বিমত পোষণ করে নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার অন্য কমিশনারদের উদ্দেশ্যে বলেছিলেন, মানুষ স্বাধীনতা চায়। আর আমরা পরাধীনতা চাইছি। এ পর্যায়ে বিধিমালা সংশোধন করা হলে কমিশনের ভাবমূর্তি নিয়ে কথা উঠবে। এমনকি কমিশনের স্বাধীনতা নিয়েও প্রশ্ন উঠবে।’ বৈঠকে উপস্থিত কেউ কেউ এমপিদের সুযোগ দিয়ে তৈরী বিধিমালা সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক বলেও মন্তব্য করেছিলেন। কিন্তু গতকালের বৈঠকে তারা সবাই মুখে কুলুপ এটে বসেছিলেন। যেকারণে খুব সহজেই বিধিটি অনুমোদন পেয়ে যায়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।