পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : কুমিল্লা ও নড়াইলের তিন মামলায় জামিন চেয়ে খালেদা জিয়ার আবেদনের বিষয়ে আদেশ আগামী রোববার। গতকাল বৃহস্পতিবার বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি জে বি এম হাসানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ শুনানি শেষে আদেশের জন্য এ দিন ধার্য করেন। আদালত বলেন, আগামী রোববার তিনটি আবেদনের ওপর আদেশ একসঙ্গে দেবো। আদালতে খালেদা জিয়ার পক্ষে শুনানি করেন খন্দকার মাহবুব হোসেন ও অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন।
রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। সঙ্গে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ড. মো: বশির উল্লাহ। পরে খালেদা জিয়ার আইনজীবী অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন বলেন, কুমিল্লা ও নড়াইলের তিন মামলায় জামিন চেয়ে খালেদা জিয়ার আবেদনের শুনানি শেষ হয়েছে। আদালত আগামী রোববার আদেশের জন্য রেখেছেন। তবে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেছেন, আগামী রোববার খালেদার জামিন আবেদন আবারও শুনানির জন্য কার্যতালিকায় থাকবে। অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বিচারিক আদালতে আবেদনের সুরাহা হওয়ার আগে এভাবে উচ্চ আদালতে জামিন চাওয়ার বিরোধিতা করেন।
তিনি সাংবাদিকদের বলেন, যেখানে মামলার জামিনের আবেদন জেলা জজ আদালতে বিচারাধীন। মামলাটি সেখানে বিচারাধীন রেখে হাইকোর্ট বিভাগ থেকে আদেশ দেয়া সঠিক হবে না। নিজের বক্তব্যের পক্ষে যুক্তি দেখিয়ে মাহবুবে আলম বলেন, নিম্ন আদালতে একটি জামিনের আবেদন পেন্ডিং থাকা অবস্থায় হাই কোর্টে মুভ করা যাবে কি না, এটা একটা আইনগত প্রশ্ন। এর আগে আজ এবং গত ২২ ও ২৩ মে জামিন আবেদনের ওপর শুনানি হয়। গত ২০ মে কুমিল্লা ও নড়াইলের তিন মামলায় জামিন চেয়ে খালেদা জিয়া আবেদন করেন।
কুমিল্লার মামলা: ২০১৫ সালের ২৫ জানুয়ারি ঢাকা-চট্ট্র[গ্রাম মহাসড়কের হায়দার পুলের চৌদ্দগ্রামে একটি কাভার্ড ভ্যানে অগ্নিসংযোগ ও আশপাশের বেশ কিছু গাড়ী ভাংচুরের ঘটনা ঘটে। পরে এই ঘটনায় ২০১৫ সালের ২৫ জানুয়ারি চৌদ্দগ্রাম থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে নাশকতার অভিযোগে মামলা হয়। ২০১৭ সালের ৯ অক্টোবর এ মামলায় অভিযোগ আমলে নেয় আদালত। পরে গত ২৩ এপ্রিল এ মামলায় জামিন চেয়ে আবেদন করা হয়। কিন্তু আদালত আবেদনটির পরবর্তী শুনানির জন্য আগামী ৭ জুন দিন ধার্য্য রাখেন। এ অবস্থায় শুনানি না করে এই মামলায় জামিন চেয়ে হাইকোর্টে আপিল আবেদন করা হয়েছে। এই মামলায় খালেদা জিয়ার পক্ষে জামিন আবেদনে ১৩টির মতো যুক্তি দেখিয়েছেন তার আইনজীবীরা।
কুমিল্লায় হত্যা মামলা: ২০১৫ সালের ২ ফেব্রæয়ারি ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়কে একটি বাসে পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করা হয়। এই ঘটনায় ৭ জন যাত্রী মারা যায় এবং আরও ২৫/২৬ জন গুরুতর অসুস্থ হয়। এ ঘটনায় পরদিন ৫৬ জনের বিরুদ্ধে বাদি হয়ে মামলা করেন। পরে এ মামলায় আদালতে অভিযোগপত্র দেয়া হয়। বিচারকালে দায়রা আদালতে খালেদা জিয়ার জামিন চেয়ে আবেদন করা হয়। সেই জামিন আবেদনের ওপর পরবর্তী শুনানির জন্য আগামী ৭ জুন দিন ধার্য্য রাখা হয়েছে। কিন্তু এ অবস্থায় গত ৫ এপ্রিল এ মামলায় খালেদা জিয়াকে শ্যোন অ্যারেস্ট দেখানো হয়।
নড়াইলে মানহানি মামলা:
২০১৫ সালের ২১ ডিসেম্বর মুক্তিযোদ্ধাদের সংখ্যা নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করেন খালেদা জিয়া। এ ঘটনায় একই বছরের ২৪ ডিসেম্বর খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে নড়াইলে মানহানির মামলা করা হয়। স্থানীয় এক মুক্তিযোদ্ধার সন্তান রায়হান ফারুকি ইমাম বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। এই মামলায় খালেদা জিয়ার পক্ষে যুক্তিতে বলা হয়েছে- দন্ডবিধির ৫০০, ৫০১ ও ৫০২ এর অধীনে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মামলাটি করা হয়। কিন্তু এই তিন ধারার মামলায় আসমি জামিনযোগ্য। তাছাড়াও খালেদা জিয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বয়স্ক। তাই এসব যুক্তিতে এ মামলায় জামিন চেয়েছেন তার আইনজীবীরা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।