পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত বাংলাদেশ গঠনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গৃহীত সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প হচ্ছে ‘একটি বাড়ী একটি খামার প্রকল্প’। এ প্রকল্পের মাধ্যমে ২০২০ সালের মধ্যে গ্রামাঞ্চলের প্রতিটি বাড়ীকে উৎপাদনের কেন্দ্রবিন্দু হিসেবে গড়ার লক্ষ্যে সরকার কাজ করছে। গতকাল বৃহস্পতিবার কাকরাইলস্থ জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর (ডিপিএইচই) মিলনায়তনে একটি বাড়ী একটি খামার প্রকল্পের ‘উপজেলা সমন্বয়কারী সম্মেলন এসব কথা বলেন।
প্রকল্পের পরিচালক আকবর হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- এলজিআরডি ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী মোঃ মসিউর রহমান রাঙ্গাঁ এবং পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের সচিব এস এম গোলাম ফারুক। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন- বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন বোর্ডের (বিআরডিবি) মহাপরিচালক মুহম্মদ মউদুদউর রশীদ সফদার, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর (ডিপিএইচই)-এর প্রধান প্রকৌশলী মোঃ রশিদুল হক ও পল্লী উন্নয়ন একাডেমীর (আরডিএ) মহাপরিচালক এম এ মতিন।
মন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকার ক্ষুধামুক্ত বাংলাদেশ গড়তে কাজ করছে। ১৯৯৬ সালে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার গঠনের পর ১৯৯৮ সালে দেশকে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ করেছিল। দেশের অতি দরিদ্র জনগণকে স্বাবলম্বি করার জন্য প্রধানমন্ত্রী ক্ষুদ্র সঞ্চয়ের মাধ্যমে প্রতিটি পরিবার যাতে উৎপাদনমুখী হিসেবে পরিণত হয় সে লক্ষ্যে এ প্রকল্প উপহার দিয়েছেন। মন্ত্রী বলেন, একটি বাড়ী একটি খামার প্রকল্পের সুবিধা প্রতিটি দরিদ্র পরিবারে পৌঁছে দিতে সরকার পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করেছে এ প্রকল্পের সমবায়ীদের মালিকানাধীন একটি ব্যাংক। তিনি বলেন, প্রকল্পের কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণ মেধা, যোগ্যতা ও কর্মদক্ষতার ভিত্তিতে পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকে আত্মীকৃত হবেন। এ জন্য সরকার আইনানুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। মন্ত্রী প্রধানমন্ত্রী বিশেষ উদ্যোগ একটি বাড়ী একটি খামার প্রকল্পের শতভাগ সুবিধা জনগণের কাছে পৌঁছে দিতে কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের নির্দেশনা দেন। এলজিআরডি ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী বলেন, এ সরকার জনবান্ধব সরকার। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দরিদ্রবান্ধব এ প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে বাংলাদেশ উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশে পরিণত হবে। তিনি প্রকল্প কর্মকর্তা ও কর্মচারীদেরকে ঋণ আদায় কার্যক্রম পুরোপুরি সফল করার মাধ্যমে অর্পিত দায়িত্ব পালনের পরামর্শ দেন। পরে মন্ত্রী ‘উপজেলা সমন্বয়কারী সম্মেলন ২০১৮’-এর শুভ উদ্বোধন ঘোষণা করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।