Inqilab Logo

রোববার ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ০২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৪ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

চট্টগ্রামে রমজানের ভোগ্যপণ্য

পাইকারিতে দাম কমলেও প্রভাব পড়েনি খুচরা বাজারে

| প্রকাশের সময় : ২৫ মে, ২০১৮, ১২:০০ এএম

আইয়ুব আলী : চট্টগ্রামে রমজানে পাইকারি বাজারে ভোগ্যপণ্যের দাম কমলেও খুচরা বাজারে এর কোন প্রভাব পড়েনি। রোজার শুরুতে খুচরা এবং পাইকারি উভয় বাজারে ভোগ্যপণ্যের দাম ছিল উর্ধ্বমুখী। এবার রোজার আগে চাহিদার তুলনায় আমদানি বেশি হলেও বাজারে দাম কমেনি। রোজার শুরু থেকেই সবকিছুর দাম ছিল চড়া। তবে গত কয়েকদিনে পাইকারি বাজারে পিঁয়াজ, ছোলাসহ সব পণ্যের দাম পড়তে শুরু করে। গতকাল পাইকারি বাজারে পিঁয়াজের দাম কেজিপ্রতি সাড়ে ১৮ টাকা হলেও খুচরা বাজারে ছিল ২২ টাকা। রসুন পাইকারি বাজারে ৬৮ টাকা খুচরা বাজারে ৭৫ টাকা, আদা পাইকারি কেজিপ্রতি ৮৭ টাকা খুচরা বাজারে ৯৫ টাকায় বিক্রি হয়।
তবে রোজার শুরুতে নিত্যপণ্যের দাম কিছুটা বাড়তি থাকলেও এখন স্থিতিশীল রয়েছে। খুচরা বাজারে সয়াবিন তেল কেজি ১০৫ টাকা, ছোলা ৬৫ থেকে ৬৮ টাকা, খেসারি ৫৩ টাকা, মসুর ডাল ৫৮ টাকা, মসুর ডাল চিকন ৯০ টাকা, চনার ডাল ৬৫ টাকা, মটর ডাল ৩৬ টাকা, সাদা মটর ৩৩ থেকে ৩৫ টাকা, চিনি প্যাকেটজাত ৬০ টাকা, খুচরা ৫৪ থেকে ৫৫ টাকা, চিড়া ৬৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এদিকে কাঁচাবাজারে শসা ৩০ টাকা, কাকরল ৩০ টাকা, কাঁচামরিচ ২০ টাকা, টমেটো ৪০ টাকা, বেগুন ৩০ টাকা, ঝিঙা ৬০ টাকা, আলু ২০ টাকা, তিতকরলা ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মাছ-গোশতের বাজারও চড়া রয়েছে। গরুর গোশত ৬শ’ টাকা, খাসির গোশত ৭শ’ টাকা, মুরগি দেশি ৪শ’ টাকা, ফার্ম ১৪০ টাকা। রুই ২৪০ টাকা, কাতল ২৬০ টাকা, তেলাপিয়া ১৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সমুদ্রে মাছ ধরা বন্ধ থাকায় বাজারে সামুদ্রিক মাছের আকাল চলছে। এর প্রভাব পড়েছে মুরগি ও গোশতের বাজারে। প্রতিবছর রমজানে মুরগির দাম বিশেষ করে বয়লার মুরগির দাম কমে গেলেও এবার দাম এখনো উর্ধ্বমুখী।
রোজার আগে থেকে এবার জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে বাজার মনিটরিং শুরু হয়। জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা বাজারে গিয়ে মূল্য তালিকা ঝুলিয়ে দেয়ার নির্দেশনা দেন। এ নির্দেশনা মেনে বেশিরভাগ দোকানেই পণ্যতালিকা লাগানো হয়েছে। তবে এরপরও বাজারভেদে এমনকি দোকানভেদেও পণ্যমূল্যের তারতম্য লক্ষ্য করা গেছে। একই বাজারে একই পণ্যের দাম ভিন্ন ভিন্ন। গতকাল নগরীর কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বেশিরভাগ দোকানে পণ্য তালিকা রয়েছে। তবে কিছু দোকানে তালিকায় থাকা মূল্যের চেয়ে বেশি দাম আদায় করা হচ্ছে। খেজুরের দাম নিয়ে চলছে লুকোচুরি। সউদি আরব থেকে আমদানিকৃত খেজুর চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে খুচরা বাজারে। বিভিন্ন প্যাকেট ও লেভেল লাগিয়ে ক্রেতাদের প্রতারিত করা হচ্ছে। খাতুনগঞ্জে প্রতিকেজি এক হাজার টাকা দামের খেজুর খুচরা বাজারে দুই থেকে আড়াই হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। খাওয়ার অযোগ্য খেজুর প্যাকেট করে চড়াদামে বিক্রি করছে ব্যবসায়ীরা।
রেয়াজুদ্দীন বাজারের ব্যবসায়ী আহমদ নবী বলেন, রোজার শুরুতে সব ভোগ্যপণ্যের দাম কিছুটা বাড়লেও এখন কমতে শুরু করেছে। রোজার আগে অনেকে পুরো মাসের বাজার করে ফেলেন। তখন একসাথে হঠাৎ করে বাজারে চাহিদা বেড়ে গেলে দামও বেড়ে যায়। তবে দাম এখন স্থিতিশীল হয়ে আসছে। খাতুনগঞ্জের ব্যবসায়ীরা জানান, অন্য বছরের তুলনায় এবার রমজান সামনে রেখে অতিরিক্ত ভোগ্যপণ্য আমদানি হয়েছে। বাজারে আমদানিকৃত পণ্যের কোন সঙ্কট নেই। তবে রোজার শুরুতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে যানজটসহ বিভিন্ন কারণে ভোগ্যপণ্যের দাম কিছুটা বেড়ে গিয়েছিল। এখন পাইকারি এবং খুচরা উভয় বাজারে দাম পড়তে শুরু করেছে।

 

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ