পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
যশোর ব্যুরো : যশোর পুলিশ সুপার মোঃ আনিসুর রহমান বিপিএম, পিপিএম (বার) জেলাব্যাপী মাদক নির্মূলে অনুকরণী দৃষ্টান্তস্থাপন করেছেন। মাদক নির্মূলে যশোর হয়েছে মডেল। তিনি যশোরে যোগদানের পর মাদকের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেন। অব্যাহত ক্র্যাশপ্রোগ্রাম, মাদক ব্যবসায়ীদের ছবিসহ পোস্টার ও লিফলেট বিলি, তাদের বিরুদ্ধে গণসচেতনতা সৃষ্টি, স্কুল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে পুলিশ-ছাত্র কাউন্সিলিং, মাদক স¤্রাটদের আস্তানা গুড়িয়ে সেখানে গাছ রোপন, আত্মসমর্পণের সুযোগ দেয়া, ‘এসড্রাইভ’ ও ‘ডোর টু ডোর’ প্রোগ্রাম, মাদক সন্ত্রাসীদের সন্ত্রস্ত করা, মাদক পরিহারকারীদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থাসহ বহুমুখী কর্মসুচীর মাধ্যমে এসপি আনিস সফল হয়েছেন। তিনি বিভিন্ন সময়ে সমাজের বিভিন্ন শ্রেণী ও পেশার প্রতিনিধি ও সাংবাদিকদের নিয়ে বৈঠক করে অভিজ্ঞদের মতামত ও পরামর্শ গ্রহণ করে নিত্যনতুন কৌশল অবলম্বন করেছেন। গতকাল দৈনিক ইনকিলাবের সঙ্গে এক সাক্ষাতকারে বলেন, আমার দৃঢ় অঙ্গীকার ছিল যশোর জেলাকে মাদকমুক্ত করা। ইতোমধ্যে প্রায় শূন্যের কোটায় এসেছে মাদক। এসপি আনিসুর রহমান আরো বলেন, দেশ ও জাতির শত্রæ যারা, তারা যারাই হোক বিন্দুমাত্র আপোসের সুযোগ নেই। অনেক পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নিয়েছি। জিরো টলারেন্সে কাজ করছি। যাতে পুলিশের ওপর জনগণের আরো আস্থা বাড়ে। মাদক নির্মূলে যশোর হয়েছে মডেল।
বিভিন্ন সুত্রে জানা গেছে, সীমান্তবর্তী জেলাটি ভারতীয় ফেনসিডিলের ব্যবসা চলতো রমরমা। ছিল ট্রানজিট পয়েন্ট। সূর্য ডোবার সাথে সাথেই জেলার বেনাপোল, ঝিকরগাছা ও চৌগাছাসহ বিভিন্ন এলাকার একাধিক স্পটে বসতো ভারতীয় ফেনসিডিলের রমরমা বাজার। মাদক ব্যবসায়ীরা সীমান্তের বিভিন্ন পয়েন্ট থেকে রাজধানী ঢাকায় অভিনবপন্থায় চালান করতো ফেনসিডিল। এখন সেই দৃশ্য পাল্টে গেছে। সমাজ দেহকে ক্ষতবিক্ষত করা মাদক সন্ত্রাস শূন্যের কৌঠায় আনতে লাগাতার যুদ্ধ চালাচ্ছেন যশোরের পুলিশ সুপার মোঃ আনিসুর রহমান। সুত্র জানায়, যশোরে জেলাব্যাপী অভিযান অব্যাহত রয়েছে। গত এক বছরের ব্যবধানে যশোরে মাদক বিক্রেতা আটক হয়েছে প্রায় ২ হাজার। মাদক মামলা হয়েছে সহ¯্রাধিক। এ সময়ে ১৪ জন মাদক স¤্রাট বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছে। অস্ত্র গোলাবারুদের উদ্ধার হয় শতাধিক।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।