পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
মীর রাসেল, চবি থেকে : চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে আসন্ন সিন্ডিকেট সভাকে কেন্দ্র করে ও সাবেক ছাত্রলীগ নেতাসহ ১৩ জনের বিভিন্ন পদে চাকরির জন্য শাটল ট্রেন চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী ব্যানারে মুখোশ ধারি কয়েকজন সন্ত্রাসী। গতকাল বিকাল সাড়ে তিনটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর মোহাম্মদ আলী আজগর চৌধুরী এমন অভিযোগ করেন। এদিকে গত মঙ্গলবার রাত সাড়ে আটটার ট্রেন থেকে বুধবার পর্যন্ত বিশ্বাবদ্যালয়ের উদ্দেশ্যে কোন ট্রেন ছেড়ে যায়নি। যার ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ে অচল হয়ে পড়েছে। এতে দুর্ভোগে পড়তে হয়েছে হাজার হাজার শিক্ষার্থীদের। মঙ্গলবার রাত ৮ টার শাটল অবরোধ করা হলে ষোল শহরে আটকে পড়ে প্রায় ৩ শতাধিক শিক্ষার্থী। আটকে পড়া শিক্ষার্থীদেরকে বাস ভাড়া করে ক্যাম্পাসে আনে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
তিনি সংবাদ সম্মেলনে আরো বলেন, গত মঙ্গলবার ছাত্রলীগের সাবেক নেতা রাকিব হোসাইন ও তার বোন রেজোয়ানা বেনজির বন্যাসহ ১৩ জনের একটি লিষ্ট নিয়ে ভিসির কার্যালয়ে আসে তারা। এসময় তাদের বিভিন্ন দাবি আদায়ের কথা বলে এবং তাদের দাবি পূরণ না হলে ক্যাম্পাস অচল করে দিবে বলে ভিসিকে হুমকিও দিয়ে থাকে। পরবর্তীতে এক পর্যায়ে তারা বলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল এর সুপারিশকর্মে এই দাবি। এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ে কোন ছাত্রলীগের কমিটি না থাকা সত্তে¡ও কারো কোন স্বাক্ষর না নিয়ে ছাত্রলীগের প্যাড ব্যবহার করে এ আবেদন করে। তবে এভাবে কোন নিয়োগ হবে না জানিয়ে তাদের দাবি ভিসি নামঞ্জুর করেন। এর আগেও রাকিব অবৈধ্য সুবিধার জন্য একাধিক বার ভিসির কার্য্যালয়ে আসা যাওয়া করেছে।
মোহাম্মদ আলী আজগর চৌধুরী বলেন, ভিসি তাদের এ অযোক্তিক দাবি মেনে না নেওয়ায় ও গত মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে ষোলশহর স্টেশন থেকে লোকো মাস্টার আলী রিয়াজকে তুলে নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। পরে রাত সাড়ে ১০টার দিকে ষোলশহর স্টেশন সংলগ্ন ফরেস্ট গেট এলাকা থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় নিরাপত্তাহীনতায় ভোগা লোক মাস্টাররা বিশ্ববিদ্যালয় রুটে ট্রেন চালাবেন না বলে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছেন। যার ফলে গত মঙ্গলবার রাত সাড়ে আটটার ট্রেন থেকে বুধবার পর্যন্ত বিশ্বাবদ্যালয়ের উদ্দেশ্যে কোন ট্রেন ছেড়ে যায়নি। তবে ট্রেন চলাচলের স্বাভিকতার জন্য রেলওয়ে কতৃপক্ষকে অনুরোধ করা হয়েছে। তিনি আরো বলেন,পুলিশ বলছে শাটলের লোকো মাস্টারকে অপহরণ করার সময় তারা ছিলেন না। কিন্তু রেলওয়ে কতৃপক্ষের পক্ষ থেকে দাবি করা হচ্ছে পুলিশের সামনেই লোকো মাস্টারকে অপহরণ করা হয়। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে বলা আছে বহিরাগত কেউ শাটল চলাচলে বাধা সৃষ্টি করলে তাৎক্ষনিক ব্যাবস্থা নিতে। কিন্তু তার পরও তারা কোন ব্যাবস্থা না নেওয়ায় অপরাধীরা উৎসায়িত হচ্ছে। তারা যেহেতু বহিরাগত সন্ত্রাসী সেহেতু বিশ্ববিদ্যলয় প্রশাসন তাদের বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা নিতে পারছে না।
এ দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ে সেশনজট নিরসন, ট্রেনে বগি বৃদ্ধি, প্রশাসনে জামায়াত-শিবিরের নিয়োগ বন্ধসহ আট দফা দাবিতে ২৩ মে থেকে বিশ্ববিদ্যালয় অবরোধের ঘোষণা দিয়েছে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী সাধারণ শিক্ষার্থীরা। এর আগে সোমবার সন্ধ্যায় গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ ঘোষণা দেয়া হয়। এতে মামুনুর রশীদ মামুন নামে এক শিক্ষার্থীর স্বাক্ষর রয়েছে। তবে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে অবরোধের ঘোষণা দেয়া হলেও এতে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের একটি অংশের জোরালো সমর্থন রয়েছে।
তারা যে দাবিগুলো করেছে সে প্রসঙ্গে প্রক্টর বলেন, তাদের প্রথম দাবি শাটলের বগি বৃদ্ধি করা কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টেশনে যায়গা কম থাকায় সেটা এখন সম্ভব নয় তবে ভিসি রেলওয়ে কতৃপক্ষের সাথে এ নিয়ে কথা বলেছেন। দ্বিতীয় দাবি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে বিএনপি-জামায়েতের লোকদের অপসারণ। একজন শিক্ষক কিংবা কর্মকর্তার দলমত থাকতে পারে কিন্তু এটা বাংলাদেশের কোন আইনে নেই যে তাদের চাকুরি চ্যুত করতে হবে।
চট্টগ্রাম রেলওয়ে থানা পুলিশের ওসি শহিদুল ইসলাম ইনকিলাবকে বলেন, যাদেরকে অপহরণ করা হয়েছে তারা অভিযোগ দিলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পুলিশের সামনে থেকে লোকো মাস্টারকে উঠিয়ে নিয়ে গেছে এমন অভিযোগের প্রেক্ষিতে তিনি বলেন, পুলিশে সামনে থেকে তাকে কিভাবে উঠিয়ে নিয়ে যাবে। শাটল চলাচল স্বাভাবিক হওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন আজ থেকে অতিরিক্ত নিরাপত্তায় শাটল চলবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।