চট্টগ্রাম ব্যুরো : বর্ষারোহী মৌসুমী বায়ুমালার আগমন এখনও বেশ দূরে। তা সত্তে¡ও জ্যৈষ্ঠের এই অসময়ে বর্ষাকালীন অবস্থা তৈরি হয়েছে। এর আবহাওয়াগত কারণ, বাংলাদেশ ও আশপাশ অঞ্চলের আকাশে বিরাজমান ঘনঘোর বজ্র মেঘমালা। গতকাল (বুধবার) দেশের অধিকাংশ স্থানে হালকা থেকে মাঝারি, কোথাও কোথাও ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হয়েছে। গতকাল সন্ধ্যা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় দেশের সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত হয়েছে মাদারীপুরে ৮৪ মিলিমিটার।
এ সময় ঢাকায় ৫২ মিমি, নেত্রকোনায় ২৪ মিমি, সীতাকুÐে ৭ মিমি, কুমিল্লায় ৪৪ মিমি, নোয়াখালীতে ৬২ মিমি, বগুড়ায় ২২ মিমি, দিনাজপুরে ১৩ মিমি, মংলায় ৩৭ মিমি, বরিশালে ২৫ মিমি বৃষ্টিপাত হয়।
অব্যাহত বর্ষণের ফলে গ্রীষ্ম ঋতুতেও তাপমাত্রা বর্তমান সময়ের স্বাভাবিকের চেয়ে কম রয়েছে। গতকাল দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল সিলেটে ৩৫ এবং সর্বনি¤œ তারাশে ২৩.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এদিকে আজ (বৃহস্পতিবার) সন্ধ্যা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়া পূর্বাভাসে জানা গেছে, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম, সিলেট, রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের অনেক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারী ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টিপাত হতে পারে। সেই সাথে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারী ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষন হতে পারে।
সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস, রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। আগামী ২ দিনে বৃষ্টি, বজ্রসহ বৃষ্টিপাতের প্রবণতা হ্রাস পেতে পারে। এর পরের ৫ দিনে আবহাওয়ার কিছুটা পরিবর্তন হতে পারে।
বর্তমানে পশ্চিমা লঘুচাপের একটি বর্ধিতাংশ ভারতের বিহার ও এর সংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। যার বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসগার পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে।