পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
২২২৩ মুসলিম ও হিন্দু উদ্বাস্তুকে নিয়ে প্রত্যাবাসন শুরুর জন্য এখন চাপ দিচ্ছে মিয়ানমার। অথচ গত বৃহস্পতিবার ঢাকায় বাংলাদশ-মিয়ানমার দ্বিতীয় ওয়াকিং গ্রæপের বৈঠকের পরে ইউএনবির খবরে বলা হয়েছিল, বাংলাদেশী একজন কর্মকর্তা বলেছেন, গত ফেব্রæয়ারিতে বাংলাদেশের দেওয়া ১৬৭৩ পরিবারের ৮০৩২ জনের মধ্য থেকে এপর্যন্ত ৯০০ জনেরও কম রোহিঙ্গার নাম ক্লিয়ার করেছে। তবে ঢাকার সামনে এটি একটি কোটি টাকা দামের প্রশ্ন। বাংলাদেশ গত নভেম্বরে চুক্তি সই করেছে এবং অবিলম্বে রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠাতে তার গরজও রয়েছে। অন্যদিকে মিয়ানমারের প্রত্যাবাসন শুরু করা যে নিতান্তই কৌশলগত এবং এতে সাড়া দিলেও বিপদ না দিলেও কিছুটা ঝুকি থাকবে বলে ঢাকার কূটনৈতিক পর্যবেক্ষকরা মনে করেন।
কিন্তু অধিকাংশ পর্যবেক্ষক বিশ্বাস করেন যে, আন্তর্জাতিক ফৌজদারি আদালতের তরফে বাংলাদেশের কাছে আসা চিঠির জবাবদানের সময় বিবেচনায় নিয়ে মিয়ানমার এই মুহূর্তে প্রত্যাবাসন শুরু করতে সবধরনের ‘আন্তরিকতা’ প্রদর্শন করছে। কয়েক মাস আগে বাংলাদেশের দেওয়া ৮ হাজার রোহিঙ্গার তালিকার মধ্য থেকে ওই ২২২৩ জনকে চূড়ান্ত করেছে বলে গত সোমবার মিয়ানমার টাইমসের এক খবরে বলা হয়েছে। মিয়ানমারের সমাজকল্যান মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক উ কো কো নিয়ং ২১ মে এমএমটাইমসকে বলেছেন, ওই ২২২৩ জনের মধ্যে ১০০১ জন উদ্বাস্তু রয়েছে যাদের বেশিরভাগই মুসলিম। গত ২ মে তাদেও ফিরিয়ে নেওয়ার বিষয়টি অনুমোদন করা হয়েছে বলেও ওই কর্মকর্তা দাবি করেছেন।
এর আগে ৭৭৮ জন মুসলিম এবং ৪৪৪ জন হিন্দু উদ্বাস্তুর প্রত্যাবাসনে কথিতমতে ‘‘উভয় দেশ’’ একমত হয়েছে বলেও ওই খবরে বলা হয়েছে।
উল্লেখ্য যে, মি. কোকো নিয়ং গত বৃহস্পতিবার উভয় দেশের জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রæপের বৈঠকে যোগ দিতে ঢাকা এসেছিলেন। ওই বৈঠকের অগ্রগতিতে বাংলাদেশ সন্তোষ প্রকাশ না করলেও এখন মি. কোকো বলছেন যে, বৈঠকে তিনি প্রত্যাবাসন শুরু করতে মিয়ানমারের প্রস্তুতি থাকার কথা ব্যক্ত করেছিলেন। “আমরা তাদেরকে বলেছি, প্রত্যাবাসন শুরুর ব্যাপারে আমাদেরকে অবশ্যই প্রস্তুত থাকতে হবে।’’ তিনি এমএম টাইমসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে আরো বলেন, উভয়পক্ষের মধ্যে কোনো মতভেদ না থাকলেও যেহেতু প্রক্রিয়াটি খুবই জটিল, তাই প্রত্যাবাসনের তারিখ নির্ধারণ করা সম্ভব হয়নি। আলোচনাকালে উভয়পক্ষ প্রত্যাবাসন বিষয়ক নিরাপত্তা এবং একটি অনুকূল পরিবেশ গঠন এবং এই প্রক্রিয়ায় জতিসংঘের সম্পৃক্ততা বিষয়ে মতবিনিময় হয়। তবে তিনি তথ্য প্রকাশ করেন যে, প্রত্যাবাসন শুরু করতে হলে উভয়পক্ষকে উদ্বাস্তু বিষয়ক হাইকমিশন এবং জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচির সঙ্গে একটি চুক্তি সই করতে হবে।
জয়েন্ট ওংার্কিং গ্রæপ গত বৃহস্পতিবার ঢাকায় মিলিত হয়। এতে মিয়ানমারের পক্ষে নেতৃত্ব দেন ইউ মিন্ট থু। তিনি পরররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পারমানেন্ট সেক্রেটারি। বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন পররাষ্ট্র সচিব এম শহীদুল হক।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।