Inqilab Logo

রোববার ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ০২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৪ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

পাকিস্তান সরকার আর বর্তমান সরকারের মধ্যে কোন পার্থক্য নেই -গয়েশ্বর

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৩ মে, ২০১৮, ১২:০০ এএম

স্বাধীনতার ৪৬ বছর আগের পাকিস্তান সরকার আর বর্তমান সরকারের মধ্যে পার্থক্য নেই বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।
তিনি বলেন, ৪৬ বছর আগে পাকিস্তান সরকারের বিরুদ্ধে মিছিল করলে পুলিশ গুলি করত, এখনো আমাদের ওপর গুলি করছে পুলিশ। বরং তাদের থেকে বেশি করছে। তাহলে পাকিস্তানি পুলিশ আর আমাদের পুলিশের মধ্যে তফাত কোথায়? এরা তো জনগণের সেবক। কিন্তু তারা জনগণের সঙ্গে খবরদারি করে আর শেখ হাসিনার কাছে গেলে দলীয় লোকের মতো আচরণ করে। গতকাল (মঙ্গলবার) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ ইয়ুথ ফোরাম আয়োজিত বিএনপির মরহুম নেতা এম শামসুল ইসলাম এবং জাগপার মরহুম সভাপতি শফিউল আলম প্রধানের স্মরণসভায় তিনি এসব কথা বলেন।
গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, শেখ হাসিনা অনেক শক্তিশালী সেটা আমি মনে করি না। তবে তার পেছনে যে শক্তি কাজ করে অনেকে বলেন ইন্ডিয়ার কথা। তাদের সঙ্গে আমাদের অনেক সম্পর্ক করার কথাও বলেন। কিন্তু শেখ হাসিনা আর ইন্ডিয়ার মধ্যে তো ভালো সংসার চলছে। সেই সংসারে ভাঙন ধরানো কি ঠিক হবে? সেই চেষ্টার থেকে বড় চেষ্টা হওয়া উচিত ভারতকে পরিষ্কার করতে হবে তারা বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে সম্মান করে কি না? তারা মনে করে কি না যে বাংলাদেশের মানুষ এই দেশের মালিক। যদি সেটা মনে করে তাহলে দেশের মানুষের কাছে সব থেকে অপছন্দের মানুষকে প্রতিষ্ঠিত করার কাজ থেকে তাদের বিরত থাকা দরকার। প্রতিবেশী দেশ হিসেবে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক থাকবে। কিন্তু তাই বলে খবরদারি কেন করবে? আমাদের দেশের সরকার কে হবে তা জনগণ পছন্দ করবে। ভারতের সরকার তো সে দেশের জনগণ পছন্দ করে। সেটা তো শেখ হাসিনা পছন্দ করে দেয় না। তাই ভারতকে সুস্পষ্ট ঘোষণা দিতে হবে তারা তাদের নীতি পরিবর্তন করবে কি না।
বিএনপির নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, তদবির ও তোষামোদ করে পদ পাওয়া যায় কিন্তু জনগণের সালাম পাওয়া যায় না। সুতরাং কাজে নেমে পড়ুন। কাজ করলে সালাম পাওয়া যাবে। তাতে পদ লাগবে না।
কারাবন্দি দলীয় চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির আন্দোলন নিয়ে আক্ষেপ করে গয়েশ্বর বলেন, আমার জেল থেকে বের হওয়ার পর মনে হচ্ছে ভেতরেই ভালো ছিলাম। কারণ বের হয়েও তেমন কিছু করতে পারছি না। ভয়ের কারণে কথা বলি না আমরা। জনগণকে সঙ্গে নিয়ে একটা যৌক্তিক আন্দোলন গড়ে তুলতে পারলে খালেদা জিয়া মুক্তি পাবেন এমন মন্তব্য করে তিনি বলেন, জেলখানায় বসে দেখলাম নির্বাচন নিয়ে আমাদের ব্যস্ততা। আরে নির্বাচন নিয়ে তো ব্যস্ততা থাকবেই। কারণ বিএনপি তো নির্বাচনের দল। দলের প্রতিষ্ঠাতা বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। আওয়ামী লীগের মতো একদলীয় গণতন্ত্র না।
খুলনা সিটি কর্পোরেশন (কেসিসি) নির্বাচন নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর এক বক্তব্যের কথা উল্লেখ করে বিএনপির এই নেতা বলেন, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন খুলনার নির্বাচন আমি নিজে মনিটরিং করেছি। সত্য কথা বলেছেন। আবার বলেছেন, আমার ভাই (চাচাতো) শেখ হেলালও মনিটরিং করেছে। তার মানে ইসির ওপর হস্তক্ষেপ করা হয়েছে। গয়েশ্বর বলেন, খুলনার নির্বাচনের মাধ্যমে শেখ হাসিনা আমাদের একটা বার্তা দিয়েছেন। এটা বুঝতে পারলে ভালো, না বুঝতে পারলে আমাদের বিপদ আছে।
আয়োজক সংগঠনের উপদেষ্টা কৃষিবিদ মেহিদী হাসান পলাশের সভাপতিত্বে স্মরণসভায় অন্যদের মধ্যে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, জাতীয় পার্টির (জাফর) প্রেসিডিয়াম সদস্য আহসান হাবিব লিংকন, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মোহাম্মাদ রহমাতুল্লাহ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।####

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ