বিশেষ সংবাদদাতা : ইস্টার্ন ব্যাংক লিমিটেডের (ইবিএল) এটিএম বুথের নিরাপত্তারক্ষী নুরুন্নবী হত্যাকান্ডে জড়িতরা গ্রেপ্তার হয়নি। এ ঘটনায় অজ্ঞাতনামা কয়েকজনকে আসামি করে ক্যান্টনমেন্ট থানায় একটি হত্যা মামলা হয়েছে। ক্যান্টনমেন্ট থানার ওসি মাহবুব হোসেন জানান, ঘটনাস্থলের আশপাশের ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরার (সিসিটিভি) ভিডিও ফুটেজ দেখে ঘটনার তদন্ত চলছে। ভিডিও ফুটেজ দেখে একজনকে সনাক্ত করা হয়েছে। হত্যাকান্ডে সেসহ আরো অনেকে জাড়িত থাকতে পারে। তাকে গ্রেপ্তার করতে একাধিক টিম কাজ করছে। 

সূত্র জানিয়েছে, নুরুন্নবী হত্যাকান্ডে জড়িতদের মধ্যে সন্দেহভাজন একজনকে ঘটনাস্থলে থাকা ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরার ভিডিও ফুটেজ দেখে সনাক্ত করা হয়েছে। তার বয়স আনুমানিক ২৫ থেকে ৩০ এর মধ্যে হবে। পরনে জিন্সের প্যান্ট ও গেঞ্জী ছিল। রোববার দিবাগত রাত সাড়ে ৩টা থেকে চারটার মধ্যে তাকে ইবিএলের এটিএম বুথ থেকে বের হতে দেখা গেছে। ঘটনার সময় বুথটির বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা ছিল। এতে ধারনা করা হচ্ছে, বুথের টাকা লুট করার চেষ্টা সফল না হওয়ায় বাধা পেয়ে গার্ডকে হত্যা করা হতে পারে। গত সোমবার সকাল ৮টার দিকে ক্যান্টনমেন্ট থানার পোস্ট অফিসের কাছের ইস্টার্ন ব্যাংক লিমিটেডের (ইবিএল) এটিএম বুথের নিরাপত্তারক্ষী শেখ তৌহিদুল ইসলাম নুরুন্নবী (২১) খুন হন। তার বাড়ি বাগেরহাট জেলার বাসাকাঠি গ্রামে। এ ঘটনায় নিহতের বাবা আবু বক্কর সিদ্দিক বাদী হয়ে ক্যান্টনমেন্ট থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। এজাহারে অজ্ঞাতনামা কয়েকজনকে আসামি করা হয়েছে। নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ ব্যক্ত করে কয়েকজন এলাকাবাসী বলেন, রাতে ওই এলাকায় পুলিশের টহল টিম থাকে, ক্যান্টনমেন্ট থানাও বেশি দূরে নয়। ঘটনার সঠিক রহস্য খুঁজে বের করে খুনিদের গ্রেপ্তার করার দাবি জানান তারা।