পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
দেশব্যাপী চলমান মাদকবিরোধী অভিযানের সমালোচনা করে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘সারাদেশে এখন নতুন একটা অভিযান শুরু হয়েছে। মাদক নিয়ন্ত্রণ অভিযান, ভালো কথা। সবার আগে নিজের ঘরের মাদক ব্যবসায়ীদের গ্রেফতার করুন, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন।’
গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ ভবনের ‘পুস্পদাম রেস্টুরেন্টে’ ২০ দলীয় জোটের শরিক দল খেলাফত মজলিশ আয়োজিত ইফতার মাহফিলে তিনি এসব কথা বলেন। মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আপনাদের এমপি কক্সবাজার- টেকনাফের, তাকে তো জামিন দিয়ে ছেড়ে দিয়েছেন। তিনি মহা আনন্দে এ ব্যবসার সঙ্গে জড়িত আছেন। এমন একজন দুই জন নয়, অসংখ্য, প্রায় প্রত্যেকটি জায়গায়, তাদের ছেড়ে দিয়েছেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘কিছুদিন আগে জঙ্গি অভিযান শুরু করলেন। সেই জঙ্গি নির্মূল অভিযান করতে গিয়ে যারা ভিন্নমত পোষণ করে, তাদের ওপর অত্যাচার করেছেন। যেই আপনাদের সঙ্গে একমত হয়নি, অমনি তাদের জঙ্গি আখ্যায়িত করে নিশ্চিহ্ন করে দিয়েছেন। যত মামলা হয়েছে, একটিও নিষ্পত্তি করা হয়নি। দেখা যাচ্ছে যাদের বিনা বিচারে হত্যা করা হয়েছে, তাদের জঙ্গি হিসেবে নাম দিয়ে। কোনও তদন্ত ছাড়াই এ সমস্ত করা হয়েছে। গত ৪-৫ দিনে ৬ জনকে ‘ক্রসফায়ারে’মেরে ফেলা হয়েছে। আমরা অবশ্যই চাই, দেশ মাদকমুক্ত হোক। আমরা অবশ্যই চাই, যারা মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত তাদের আইনের আওতায় নিয়ে এসে বিচারের ব্যবস্থা করা হোক। মাদক নির্মূল করা হোক। তার অর্থ এই নয় যে, বিনা বিচারে মানুষকে হত্যা করা হবে। গোটা বাংলাদেশে ক্রসফায়ারের নামে, এক্সট্রা জুডিশিয়াল কিলিংয়ের নামে বহু বিরোধী পক্ষকে হত্যা করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত ইলিয়াস আলীকে খুঁজে পাওয়া যায়নি, চৌধুরী আলমকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। ৫-৬ বছর পার হয়ে গেছে। ’’
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে অন্যায়ভাবে কারাগারে বন্দি করে রাখা হয়েছে মন্তব্য করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘বিচারের নামে যা খুশি তাই করছেন। দেখুন কত সংকীর্ণ এরা (সরকার)। মামলাগুলো মিথ্যা। ৩৬টি মামলা করা হয়েছে তার বিরুদ্ধে। তাতে অভিযোগ আনা হয়েছিল, বাসে আগুন দিয়েছেন, গাড়ি জ্বালিয়ে দিয়েছেন ইত্যাদি। এই মামলাগুলো যখন হাইকোর্টে জামিনের জন্য এসেছে, সেখানে গিয়ে অ্যাটর্নি জেনারেল বাধা দিয়েছেন।’দেশের অর্থনীতি ও আর্থিকখাতে দুর্নীতি, মেগা প্রকল্পের নামে লুটপাট, শিক্ষা ব্যবস্থার অনিয়ম তুলে ধরে এর বিরুদ্ধে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বানও জানান তিনি।
খেলাফত মজলিসের মহাসচিব অধ্যাপক আহমেদ আবদুল কাদের বলেন, ‘আজ কথা বলার সুযোগ নেই। প্রতিবাদ করার সুযোগ নেই। জেল-জরিমানা নিত্যসঙ্গী। নেতাকর্মীরা নিরাপদে বাসায় ইফতার করতেও পারে না। এ অবস্থার পরিবর্তনের জন্য আমাদের সংগ্রাম করতে হবে।’
খেলাফত মজলিশের নায়েবে আমির মাওলানা সৈয়দ মজিবুর রহমানের সভাপতিত্বে ইফতার মাহফিলে আরও উপস্থিত ছিলেন জামায়াতে ইসলামির নেতা মিয়া গোলাম পারওয়ার, কল্যাণ পার্টির সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম, ইসলামী ঐক্যজোটের (একাংশ) মাওলানা আবদুর রকীব, এলডিপি‘র রেদোয়ান আহমেদ, এনপিপির ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তফা প্রমুখ। ##
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।