পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ইনকিলাব ডেস্ক : মহান আল্লাহ তা‘আলা তার পাক কালাম কুরআন মাজীদে ইরশাদ করেছেন, ‘রমজান মাস যাতে মানুষকে পথ দেখানোর জন্য পথনির্দেশনার যাবতীয় দলিলসহ কুরআন নাযিল করা হয়েছে।’ আল্লাহ পাক আরো বলেছেন, ‘নিশ্চয় আমরা একে (কুরআন) নাযিল করেছি একটি মহিমান্বিত রাতে’। সূরা বাক্বারাহ ও সূরা ক্বদর-এর উল্লিখিত দু’টি আয়াত থেকে আমরা জানতে পারছি যে, ৩০ পারা কুরআন আল্লাহ পাক নাজিল করেছেন রমজান মাসে। এই কুরআন অর্থসহ পড়লে আমরা জানতে পারব আল্লাহ পাক কী বলেছেন তার পবিত্র কালামে। তাই অর্থ বুঝে পড়ে তার ওপর আমল করা প্রত্যেক মুসলিম নরনারীর ওপর ফরয। কিন্তু কেউ যদি অর্থ ছাড়া শুধুমাত্র মতন পড়ে তাতেও সে সওয়াব অর্জন করতে পারবে। আল্লাহর নবী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘যে আল্লাহর কিতাব থেকে একটি হরফ পড়বে তার জন্য একটি নেকি রয়েছে। আর এই একটি নেকিকে দশগুণ বৃদ্ধি করা হয়। আমি বলি না আলিফ-লাম-মিম একটি হরফ। বরং আলিফ একটি হরফ, লাম একটি হরফ ও মিম একটি হরফ। অর্থাৎ কেউ আলিফ লাম মিম উচ্চারণ করলে তার ৩০টি নেকি হবে। আর পবিত্র রমজানে তা আরো সত্তর গুণ বৃদ্ধি করা হয়। ফলে একটি হরফের বিনিময়ে পাঠক ৭০০ নেকি অর্জন করতে পারবে।
সারা বছর মানুষ ব্যস্ততার কারণে নিয়মিত কুরআন তেলাওয়াত করতে সক্ষম হন না। কিন্তু রমজানের বোনাস নেকি পাবার আশায় অধিকাংশ মুসলমানই চেষ্টা করেন কুরআন তেলাওয়াত তথা কুরআন খতম করতে। এর জন্য কোন বয়সের সীমাবদ্ধতা নেই। প্রথম রমজানে ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার একটি মসজিদে দেখা গেল এক বৃদ্ধকে একাগ্রচিত্তে কুরআন তেলাওয়াত করতে। আর এ সময় এএফপির ক্যামেরা ক্লিক করে ওঠে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।