পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দলের নেতাকর্মীরা ঐক্যবদ্ধ থাকার কারণেই খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে তালুকদার আব্দুল খালেকের বিজয় সম্ভব হয়েছে। এই ঐক্য অটুট রাখার ওপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি। গতকাল রবিবার বিকালে খুলনা সিটি করপোরেশনের নবনির্বাচিত মেয়র তালকুদার আব্দুল খালেক গণভবনে গিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাত্ করতে গেলে তিনি এসব কথা বলেন।
জঙ্গি দমনের পর এবার দেশ থেকে মাদক নির্মূলে কঠোর হওয়ার ঘোষণা দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা যেমন জঙ্গিবাদকে দমন করেছি। আমরা অঙ্গীকার করেছি, এই মাদক থেকে দেশকে উদ্ধার করব।’ শেখ হাসিনা বলেন, ‘আপনারা নিশ্চয়ই লক্ষ্য করছেন যে, মাদকের বিরুদ্ধে অভিযান কিন্তু শুরু হয়ে গেছে।’ শেখ হাসিনা বলেন, ‘মাদকের জন্য একেকটা পরিবার যে কষ্ট পায়, যেভাবে একেকটা পরিবার ধ্বংস হয়ে যায়। কাজেই এবার মাদকের বিরুদ্ধে অভিযান।’ তিনি বলেন, ‘আমরা সমস্ত আইনশৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনী, গোয়েন্দা সংস্থা এবং র্যাবকে বিশেষ দায়িত্ব দিয়েছি। যেখানেই মাদক, সেখানেই কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং সেই কঠোর ব্যবস্থা নিচ্ছি।’ প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের ছেলেমেয়ে লেখাপড়া শিখবে, সুন্দর জীবন পাবে, সুন্দরভাবে বাঁচবে। তারা কেন বিপথে গিয়ে নিজের জীবন ও পরিবারকে ধ্বংস করবে?’
শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপির শাসনামলে গোটা দেশ সন্ত্রাসের অভয়রণ্য ছিল। ২০০৯ সালে জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসে। আর আওয়ামী লীগের হাত ধরেই শুরু হয়েছিল দিন বদলের রাজনীতি। গত ৯ বছরে দেশের সব উন্নয়ন করেছে বর্তমান সরকার। তিনি বলেন, ভোট চুরি ও সহিংস রাজনীতি শুরু করেছিলেন জেনারেল জিয়াউর রহমান। বিএনপি ক্ষমতায় এসে দেশের উন্নয়ন না, নিজেদের ভাগ্যোন্নয়ন করে। তারা খুলনায় আবু নাসের হাসপাতালের কাজ বন্ধ করে দেয়।
শেখ হাসিনা বলেন, ভোট চুরি করা, ব্যালট পেপারে সিল মেরে বাক্স ভর্তি করার মতো অপকর্ম শুরু করেছিলেন জিয়াউর রহমান। প্রথমে অস্ত্রের মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করে। পরে চালু হয় ভোট চুরির নির্বাচন। এটা তাদের চরিত্র। সবার মনে আছে ১৫ ফেব্রুয়ারি ভোট চুরি করে উনি (খালেদা জিয়া) ঘোষণা দিলেন সবাই নাকি তাকে ভোট দিয়েছে। তবে বাস্তবতা হলো কেউ ভোট কেন্দ্রে যায়নি। ওই নির্বাচনে ৫ শতাংশ ভোটও পড়েনি। জনগণ সেই নির্বাচন মেনে নেয়নি। আন্দোলন হলো, মাত্র দেড় মাসের মাথায় খালেদা জিয়া পদত্যাগ করতে বাধ্য হলেন। আমি জানি না যারা এখন নির্বাচন নিয়ে বিশ্লেষণ করে তারা ভুলে যায় কেন সেই সব দিনের কথা। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘২০০৬ সালে ১ কোটি ২৩ লক্ষ ভুয়া ভোটার তালিকাভুক্ত করা হয়। অর্থাত্ তারা ক্ষমমতায় থাকা মানে একটা না একটা অঘটন বাংলাদেশে ঘটবে। ২০০৮ সালে আমরা ঘোষণা দিয়েছিলাম দিন বদলের। ঠিক এই নয় বছরে আমরা দেশের মানুষের দিন বদল করেছি।
প্রথমে তালুকদার আব্দুল খালেকসহ নবনির্বাচিত কাউন্সিলররা ফুল দিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে শুভেচ্ছা জানান। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ, আব্দুর রহমান, ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।