Inqilab Logo

শুক্রবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

একনেকে ওঠছে কাল ঢাকা-নারায়ণগঞ্জে সাবস্টেশন নির্মাণে খরচ বাড়ছে

| প্রকাশের সময় : ২১ মে, ২০১৮, ১২:০০ এএম


অর্থনৈতিক রিপোর্টার : খরচ বাড়ছে ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জে বিদ্যুতের সাবস্টেশন নির্মাণ প্রকল্পে। প্রকল্পটির মূল ব্যয় ছিল এক হাজার ৮৫০ কোটি ৬৬ লাখ টাকা। এখন তা ৫৩৭ কোটি টাকা বেড়ে দাঁড়াচ্ছে দুই হাজার ৩৮৭ কোটি ৬৮ লাখ টাকায়। এজন্য প্রকল্পটির প্রথম সংশোধনী প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে পরিকল্পনা কমিশনে। এটি বাস্তবায়নে সহায়তা দিচ্ছে এশীয় উন্নয়ণ ব্যাংক (এডিবি) এবং এজেন্সি ফ্রান্সিস ডি ডেভেলপমেন্ট (এএফডি)।
পরিকল্পনা কমিশনের একাধিক কর্মকর্তা জানান, বিদ্যুৎ,জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় থেকে গত ১১ ফেব্রæয়ারি সংশোধনী প্রস্তাব করা হয় ‘কনস্ট্রাকশন অব নিউ ১৩২/৩৩ কেভি এন্ড ৩৩/১১ কেভি সাবস্টেশন আন্ডার ডিপিডিসি’ নামের প্রকল্পটি। ৫ মার্চ প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটির (পিইসি) সভা হয়েছে। ইতিমধ্যেই পিইসি সভার কার্যপত্র জারি, মন্ত্রণালয় থেকে পুনর্গঠিত প্রকল্প প্রস্তাব প্রাপ্তিসহ অন্যান্য কার্যক্রম শেষে করা হয়েছে। আগামীকাল মঙ্গলবার অনুষ্ঠেয় জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) বৈঠকে অনুমোদনের জন্য প্রকল্পটি উপস্থাপনের প্রস্তুতি নিয়েছে একনেক অনুবিভাগ। প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হচ্ছে, ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন, নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন ও ফতুল্লায়।
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, মূল প্রকল্পটি ২০১৩ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর একনেক সভায় ২০১৩ সালের জুলাই হতে ২০১৭ সালের জুনে বাস্তবায়নের জন্য অনুমোদিত হয়। পরবর্তীতে ২০১৭ সালের ৭ মে ব্যয় বৃদ্ধি ছাড়া প্রকল্পটির বাস্তবায়ন মেয়াদকাল দুই বছর বাড়িয়ে ২০১৯ সালের জুনে নির্ধারণ করা হয়। প্রকল্প এলাকায় শিল্প গ্রাহকের বর্ধিত চাহিদা ও কারিগরি দিক বিবেচনায় অতিরিক্ত যন্ত্রপাতি ও অতিরিক্ত পূর্ত কাজ সংস্থানের প্রয়োজন হওয়ায় মূল প্রকল্পটি সংশোধনের প্রয়োজন হয়েছে। প্রকল্পের মূল উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাব (ডিপিপি) থেকে ৫৩৭ কোটি ২৬ লাখ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে, যা মোট প্রকল্প ব্যয়ের ২৯ দশমিক দুই শতাংশ। প্রকল্প সাহায্য খাতে অতিরিক্ত অর্থের যোগান দিতে এএফডি ইতোমধ্যেই ৩২ দশমিক ৯৩ মিলিয়ন ডলার ঋণ দিতে নীতিগতভাবে সম্মত হয়েছে।
প্রকল্পটি বাস্তবায়নের অগ্রগতি সম্পর্কে বলা হয়েছে, ২০১৭ সালের জুন পর্যন্ত প্রকল্পের আর্থিক অগ্রগতি ৫৮০ কোটি ৪৩ লাখ ৭২ হাজার টাকা যা অনুমোদিত প্রকল্প ব্যয়ের ৩১ দশমিক ৩৬ শতাংশ। কিন্তু ২০১৮ সালের মার্চ পর্যন্ত প্রকল্পের হালনাগাদ ক্রমপুঞ্জিত আর্থিক অগ্রগতি ৯৫৪ কোটি ৫২ লাখ টাকা যা অনুমোদিত প্রকল্প ব্যয়ের ৫১ দশমিক ৫৭ শতাংশ। ২০১৮ সালের মার্চ পর্যন্ত প্রকল্পের ক্রমপুঞ্জিত ভৌত অগ্রগতি ৬১ শতাংশ।
প্রকল্প সংশোধনের কারণ হিসাবে বলা হয়, প্রকল্প এলাকায় শিল্প গ্রাহকের বর্ধিত চাহিদা ও কারিগরি দিক বিবেচনায় সৈয়দপুর, ফতুল্লা, কামরাঙ্গীরচর, মতিঝিল এবং নিউ রমনা এলাকার ৫টি উপকেন্দ্রে অতিরিক্ত সুইচগিয়ার ট্রান্সফরমার এবং আনুষঙ্গিক যন্ত্রপাতি স্থাপন করা হবে। এছাড়া এএফডি-এর অর্থায়ন করা সব উপকেন্দ্রের জন্য ফায়ার ডিটেকশন অ্যার্লাম (এফডিএ) এবং ১৩টি উপকেন্দ্রে নাইট্রোজেন ইনজেক্টে অগ্নি নির্বাপক ব্যবস্থা সংযোজন, সার্ভে অনুযায়ী প্রকৃত প্রয়োজনীয়তার ভিক্তিতে অতিরিক্ত ৭৪ দশমিক ৫ কিলোমিটার আন্ডারগ্রাউন্ড ক্যাবল স্থাপন এবং ওভারহেড ট্রান্সমিশন লাইন স্থাপনের জন্য অতিরিক্ত একটি টাওয়ার ও ৩টি মনোপোল নির্মাণ করা হবে। সেই সঙ্গে অনাবাসিক ভবন ও অবকাঠামো খাতে ২০ কোটি ৯২ লাখ ৫১ হাজার টাকা বৃদ্ধি করা হবে।
এ বিষয়ে প্রকল্পটির দায়িত্বপ্রাপ্ত পরিকল্পনা কমিশনের শিল্প ও শক্তি বিভাগের সদস্য শামীমা নার্গিস পরিকল্পনা কমিশনের মতামত দিতে গিয়ে বলেন, প্রকল্পের মাধ্যমে ডিপিডিসি এলাকায় ক্রমবর্ধমান বিদ্যুৎ চাহিদা মেটানো, সঞ্চালন ও উপসঞ্চালন লাইন নির্মাণের মাধ্যমে বিভিন্ন বিদ্যুৎ উপকেন্দ্র সংযুক্তকরণ, সিস্টেম ভোল্টেজ এবং সিস্টেম এর নির্ভরযোগ্যতা উন্নতকরণ এবং সিস্টেম ক্যাপাসিটি ১৩২ কেভি লেভেলে এক হাজার ৬৮০ এমভিএ এবং ৩৩ কেভি লেভেলে এক হাজার ৪৭০ এমভিএ বৃদ্ধি করা হবে। এ প্রেক্ষাপটে পরিকল্পনা কমিশন প্রকল্পটি অনুমোদনের সুপারিশ করেছে।

 

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ