পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : ‘বিএনপি আসুক না আসুক, যথাসময়ে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে, তাছাড়া খালেদা জিয়ার সঙ্গে নির্বাচনের সম্পর্ক কি?’ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের এমন বক্তব্য একতরফা নির্বাচনের ইঙ্গিত বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন- কে আসলো আর না আসলো তাতে কিছু আসে যায় না, ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের মতো বিএনপি নির্বাচনে না আসলে আমাদের কিছু করার নেই। তার এই বক্তব্যের সমালোচনা করে রিজভী বলেন, খালেদা জিয়ার সাথে নির্বাচনের বিশাল সম্পর্ক আছে। দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেত্রীকে নির্বাচন থেকে দুরে রাখা গভীর ষড়যন্ত্র। এই বক্তব্য জবরদস্তিমূলক একতরফা নির্বাচনেরই ইঙ্গিতবহ।
গতকাল (রোববার) দুপুরে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, বেগম খালেদা জিয়া যে ক’টি আসনে দাঁড়িয়েছেন তিনি কখনোই সেই নির্বাচনে পরাজিত হননি। কিন্তু বর্তমান প্রধানমন্ত্রী পরাজিত হয়েছেন। সেজন্য বেগম জিয়ার জনপ্রিয়তায় প্রধানমন্ত্রীর এতো অসুয়া, এতো বিদ্বেষ। আর এজন্যই বেগম খালেদা জিয়াকে নির্বাচন থেকে দুরে সরাতে এতো ষড়যন্ত্র। তিনি ওবায়দুল কাদেরকে উদ্দেশ্য করে বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া মানেই জাতীয়তাবাদী শক্তির প্রতীক, বেগম খালেদা জিয়া মানেই বিএনপি, বেগম খালেদা জিয়া মানেই গণতন্ত্র। বেগম খালেদা জিয়া জনগণের সাথে কখনো প্রতারণা করেননি। জনগণের প্রতি যখন যে ওয়াদা করেছেন সেটি পালন করেছেন নির্দি¦ধায়। প্রদত্ত অঙ্গীকারের কখনো বরখেলাপ করেননি, কিন্তু পদে পদে জনগণের সঙ্গে বিশ^াস ভঙ্গ করেছেন স্বৈরাচারের শ্রেষ্ঠতে¦র শিরোপা পাওয়া বর্তমান প্রধানমন্ত্রী।
বিগত দিনে জনগণতে দেয়া আওয়ামী লীগের ওয়াদা স্মরণ করিয়ে দিয়ে বিএনপি নেতা বলেন, ওবায়দুল কাদের সাহেব আপনি কী ভুলে গেছেন ৮৬ এর নির্বাচনের কথা, ১০ টাকা কেজি চালের কথা, ঘরে ঘরে চাকুরী দেয়ার কথা? আমরা কাউকে মাইনাস করতে চাই না, কিন্তু যারা অন্যকে মাইনাস করতে চায় তারা প্রাকৃতিক নিয়মে নিজেরাই মাইনাস হয়ে যায়। সুতরাং আইন আদালতসহ সবকিছু কব্জা করে বেগম খালেদা জিয়াকে জোর করে সাজা দিয়ে আপনাদের ক্ষমতার ঝাড়বাতির রোসনাই আর বেশী দিন থাকবে না। এবারে আপনাদের পতনের বিষন্ন রাগিনী বাজতে শুরু করেছে।
খালেদা জিয়া বিহীন নির্বাচনে বিএনপি যাবে না জানিয়ে রিজভী বলেন, বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বেই বিএনপি দলনিরপেক্ষ সরকারের অধীনে আগামী জাতীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে। খালেদা জিয়া বিহীন কোন জাতীয় নির্বাচনে বিএনপি যাবে না, যাওয়ার প্রশ্নই আসে না। এই মূহুর্তে বিএনপি’র ইশ্তেহার হচ্ছে- দেশনেত্রীর মুক্তি, জাতীয় সংসদ ভেঙ্গে দেয়া এবং দলনিরপেক্ষ সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচন।
বন্দুক যুদ্ধের নামে মারণযুজ্ঞ চলছে: সারাদেশে এখন বন্দুক যুদ্ধের নামে মারণযজ্ঞ চলছে অভিযোগ করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, গত তিন দিনে চার জেলায় বিচার বহির্ভূত বন্দুক যুদ্ধে নিহত হয়েছে ৭ জন। এই মাসে যেন পোকামাকড়ের মতো বিচার বহির্ভূত মানুষ হত্যার হিড়িক চলছে। গতরাতেও বরিশালে সাদা পোষাকের পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুক যুদ্ধের নামে দু’জন নিহত হয়েছে। দেশীয় ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনগুলো বারবার উদ্বেগ জানালেও তাতে সরকারের টনক নড়ছে না। বর্তমানে দেশে যেন আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর বিচার বহির্ভূত হত্যার নামে কিলিং প্র্যাকটিস করছে। সরকারের বিচার বহির্ভূত হত্যার মূল উদ্দেশ্য দেশকে স্থায়ী দু:শাসনের বজ্র আঁটুনিতে বেঁধে ফেলা, আর সেজন্য জনগণকে আতঙ্কিত করে রাখা। তারা যেন যেন ভোগ-লালসায় অস্থির থাকা এই অবৈধ সরকারের আগামী একতরফা নির্বাচনের নীল নকশার বিরুদ্ধে মুখ খুলতে সাহসী না হয়। তিনি অবিলম্বে বন্দুক যুদ্ধের নামে বিচার বহির্ভূতভাবে মানুষ হত্যা বন্ধের জোর দাবি জানান। একই সঙ্গে এই সরকারের আমলে সংঘটিত সকল বিচার বহির্ভূত হত্যার তদন্ত দাবি করেন।
রমজানেও লোডশেডিং, গ্যাস ও পানি সঙ্কট চরম আকার ধারণ করেছে অভিযোগ করে রিজভী বলেন, পবিত্র মাহে রমজানেও দেশজুড়ে লোডশেডিংয়ের পাশাপাশি চলছে গ্যাস ও পানির তীব্র সংকট। গ্যাস সংকটে রাজধানী ঢাকাসহ বিভিন্ন এলাকায় মানুষের চুলা জ¦লছে না, ফলে সেহেরী ও ইফতারী তৈরী করতে মানুষ হিমশিম খাচ্ছে। এর সঙ্গে যোগ হয়েছে পানি সংকট। আর এ কারনে মানুষ রান্নাবান্না থেকে শুরু করে ওজু কিংবা গোসলের পানিও পাচ্ছে না। বিভিন্ন এলাকায় পানির জন্য হাহাকার চলছে, হাঁড়ি পাতিল নিয়ে মানুষ রাস্তায় বিক্ষোভ করছে। গ্রামে গ্রামে চলছে ভয়াবহ বিদ্যূৎ বিপর্যয়। সেখানে এখন বিদ্যূৎ যায় না, মাঝে মধ্যে আসে। এমনকি ইফতার, সেহেরী ও তারাবীর নামাজের সময় নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ দেয়ার সরকারী ঘোষনা জনগণের সঙ্গে খাঁটি প্রহসন। প্রধানমন্ত্রীর মুখে তুবড়ী ছোটানো উন্নয়ন সড়ক-মহাসড়কের খানাখন্দে লুটোপুটি খাচ্ছে। এখন এদেশে প্রকৃত উন্নয়ন দুরে থাকা মানুষের ন্যুনতম নাগরিক সেবাটুকুও ধ্বংস হয়ে গেছে। এসময় সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য হাবিবুর রহমান হাবিব, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল প্রমুখ। #######
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।