পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিশেষ সংবাদদাতা : রাজধানীর নিউমার্কেটে পচা-বাসি, ফাঙ্গাসযুক্ত ও মেয়াদোত্তীর্ণ খাবার বিক্রির দায়ে ৮টি ফাস্টফুড দোকানকে ৪ লাখ ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। একই সঙ্গে এসব প্রতিষ্ঠান থেকে ৮ জনকে আটক করা হয়েছে।
গতকাল রোববার দুপুর ১২টা থেকে ২টা পর্যন্ত ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ মসিউর রহমানের নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালনা করে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। অভিযানে ক্যাপিটাল, সৈকত, আল আমিন, ক্যাপরি, প্যানজি, ফুড পার্ক, অ্যারোমা কিংস্ ও ওয়েস্টার্ণ ফুডকে জরিমা না করা হয়।
রাজধানীর নিউ মার্কেটের ৪ নম্বর গেটের অদূরে গোলচক্করের মাটিতে সারিবদ্ধভাবে সাজিয়ে রাখা অসংখ্য ফাস্টফুড। চিকেন বার্গার, পিৎজা, শর্মা, লাচ্ছি, চিকেন ফ্রাই, ফ্রেঞ্চ ফ্রাই, ফ্রাইড রাইস, চিকেন ফ্রাই, কাটলেট, পাউরুটি, নান, বিফ মিট, চিকেন ভেজিটেবলস, স্যুপ, কাবাব, খিচুরি, মাংস, সস, তেল, ঘি, দই, লাচ্ছি, আপেল, কমলাসজ নানা রকম খাবার বিক্রি হয়। মোবাইল কোর্টের অভিযানের শুরুতেই ক্যাপিটাল ফাস্টফুড নামে একটি দোকানে অভিযানকালে ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ মসিউর রহমান তেলাপোকায় খাওয়া আপেল ফ্রিজে রক্ষিত দেখতে পান। একই দোকান থেকে ফাঙ্গাস পড়ে থাকা কাবাব উদ্ধার করা হয়। এরপর একে একে সৈকত, আল আমিন, ক্যাপরি, প্যানজি, ফুড পার্ক, অ্যারোমা কিংস ও ওয়েস্টার্ন ফুড নামক দোকান থেকে বাসি খাবার জব্দ করা হয়। দোকানিরা স্বীকার করেন তারা সুকৌশলে ক্রেতাদের পুরনো বাসি খাবার খাইয়ে থাকেন।
ফুড পার্ক নামক একটি দোকানে প্রবেশ করে ম্যাজিস্ট্রেট দেখতে পান দোকানের সামনের কাচের সেলফে হাতেগোনা কয়েকটি চিকেন বন সাজানো। কাউন্টারের ভেতর প্রবেশ করে দুটি ফ্রিজ খুলে দেখেন ফ্রিজ খালি। এ অবস্থা দেখে মিডিয়াকর্মীদের ডেকে বলেন, আসেন যাদু দেখেন, এ দোকানেই সবচেয়ে বেশি পচা-বাসি খাবার মিলবে। এ সময় তিনি ডিবি পুলিশের একজন সদস্যকে ডেকে আশপাশে তল্লাশি চালানোর নির্দেশ দেন। হঠাৎ করে ম্যাজিস্ট্রেটের চোখ পড়ে এক কোনার উপরে জলছাদে পর্দা টানানো। পর্দা সরাতেই বেরিয়ে আসে একের পর এক পচাবাসি খাবার। এ সময় ম্যাজিস্ট্রেট বলেন, তিন বছরের দায়িত্বপালনকালে পচা-বাসি খাবার নিয়ে এমন লুকোচুরি আগে দেখেননি। পাশের আরেক ফাস্টফুডের দোকান থেকে তেলের গ্যালন উদ্ধার করা হয়। তেলের গ্যালনে রাখা পদার্থ কি মবিল নাকি তেল জানতে চাইলে কর্মচারীরা তেল বলে জানান। এ সময় তিনি ওই তেল বোলে ঢালতে থাকলে আলকাতরা মতো কালো গাঢ় বস্তু পড়তে থাকে। তিনি জানান, দিনের পর দিন পোড়া বাসি তেল নতুন তেলের সঙ্গে মিশিয়ে ফাস্টফুড ভাজা হয়। ####
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।