Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সাহরী খাওয়ায় বরকত রয়েছে

এ. কে. এম. ফজলুর রহমান মুন্শী | প্রকাশের সময় : ২১ মে, ২০১৮, ১২:০০ এএম

রোজা রাখার জন্য শেষ রাত্রে কিছু পানাহার করাকে ‘সাহরী’বলে। সাহরী খাওয়া বিলম্বিত করার জন্য রাসূলুল্লাহ (সা:) তাকিদ করেছেন। তিনি বলেছেন : যে ব্যক্তি রোজা রাখতে সংকল্প করে, তার জন্য শেষ রাত্রে কিছু পানাহার করে সাহরী পালন করা কর্তব্য। আর একথাও হাদীসে উক্ত হয়েছে যে, অবশ্যই সাহরী খাওয়ার মধ্যে বরকত নিহিত আছে। অপর এক হাদীসে রাসূলুল্লাহ (সা:) ইরশাদ করেছেন : মুসলমানদের ও অন্যান্য ধর্মাবলম্বীদের রোজা পালন করার মধ্যে পার্থক্য হলো ‘সাহরী’ খাওয়া। অর্থাৎ মুসলমানগণ সাহরী গ্রহণ করে রোজা রাখে। আর অমুসলিমরা সাহরী না খেয়ে রোজা পালন করে। এটাই উভয়ের মধ্যে সুস্পষ্ট পার্থক্য। সাহরী গ্রহণ করার শেষ সময় হলো সুবহে সাদিক উদয় হওয়া। সুবহে সাদিক উদয় হওয়ার আগ পর্যন্ত সাহরী গ্রহণ করা যায়। রাতের শেষাংশে সুবহে সাদিক উদয় হওয়া পর্যন্ত সাহরী খাওয়া বিলম্বিত করাই সুন্নাত। এ ব্যাপারে রাসূলুল্লাহ (সা:) সাহরী খাওয়া বিলম্বিত করতে উৎসাহ প্রদান করেছেন। বস্তুত : সাহরী বিলম্বে গ্রহণ করলে আল্লাহ পাকের সন্তোষ লাভ ও রাসূলুল্লাহ (সা:)-এর অনরুসৃত নীতির পরিপূর্ণ বাস্তবায়ন সাধিত হয়। তিনি সুস্পষ্টভাবে নির্দেশ করেছেন যে, ‘তোমরা রাত্রির শেষাংশে সাহরী গ্রহণ কর।’ (তাবরানী) এই হাদীসে রাতের শেষাংশের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। সুতরাং এর ব্যতিক্রম না করাই বিধেয়। 

অনেক রোজাদার এমনও আছে যারা মধ্য রাতেই সাহরী গ্রহণ করে থাকে। আবার এমন লোকও আছে যারা রাতের প্রথমাংশেই সাহরী গ্রহণের আনুষ্ঠানিকতা পূর্ণ করে নেয়। তাদের প্রতি আমাদের একান্ত অনুরোধ হচ্ছে এই যে, এ ধরনের সাহরী খাওয়া ইসলামে পছন্দনীয় কাজ নয়। বরং যেভাবে কর্ম সম্পাদন করলে আল্লাহ পাক খুশী হন, সে পন্থা অবলম্বন করাই শ্রেয়।
কুরআনুল কারীমে মহান রাব্বুল আলামীন সাহরী খাওয়ার শেষ সময়ও রোজা শুরু করার প্রথম সময় বুঝাবার জন্য ইরশাদ করেছেন : ‘আর তোমরা পানাহার কর যতক্ষণ রাত্রির কৃষ্ণ রেখা হতে ঊষার শুভ্র রেখা স্পষ্ট রূপে তোমাদের নিকট প্রতিভাত না হয়’। (সূরা বাকারাহ : আয়াত ১৮৭, রুকু-২৩)। এই আয়াতে কারীমায় কৃষ্ণরেখা বলতে সুবহে কাজের কে বুঝানো হয়েছে এবং শুভ্র রেখা বলতে সুবহে সাদেককে নির্দেশ করা হয়েছে। সুতরাং সুবহে কাজের অর্থাৎ রাত্রের কালো অন্ধকার অবশিষ্ট থাকা পর্যন্ত সাহরী গ্রহণ করা যাবে এবং সুবহে সাদেক অর্থাৎ দিনের শ্বেত শুভ্র আলো স্পষ্ট হয়ে উঠলেই রোজা শুরু হয়ে যাবে। এটাই আল্লাহ রাব্বুল ইজ্জতের চূড়ান্ত বিধান। এর নড়চর হওয়া যাবে না।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ