পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
অর্থনৈতিক রিপোর্টার : চলতি অর্থবছরে তৈরি পোশাকের রফতানি সরকারের নির্ধারণ করা লক্ষ্যমাত্রা ১০ মাসেই ছাড়িয়ে গেছে। বাংলাদেশ রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর তথ্যমতে, চলতি অর্থবছরের জুলাই থেকে এপ্রিল পর্যন্ত ২৫.৩ বিলিয়ন ইউএস ডলারের পোশাক রফতানি করেছে বাংলাদেশ। সরকারের নির্ধারণ করা ২৪.৫ বিলিয়ন ইউএস ডলারের লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে যা কিনা তিন দশমিক ১৭ শতাংশ বেশি। গত অর্থবছরে মোট পোশাক রফতানিতে আয় ছিল ২৩.১ বিলিয়ন ইউএস ডলার। সেই তুলনায় এবার দশ মাসেই ৯.৩৭ শতাংশ বেশি পোশাক রপ্তানি হয়েছে।
পোশাক রফতানিকারকদের শীর্ষ সংগঠন বিজিএমইএ সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান বলেন, ২০১৭-১৮ অর্থবছরের অক্টোবর থেকে জানুয়ারি এই পাঁচ মাসকে জাহাজে পোশাক রফতানির মৌসুম হিসেবে ধরা হয়েছে। এই পোশাক রফতানির মৌসুমকেই কাজে লাগিয়েছে রফতানিকারকরা।
তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক জোটগুলোর চাহিদা অনুযায়ী আমরা সবুজ কারখানা নির্মাণ প্রক্রিয়ায় ৯০ শতাংশ কাজ সম্পন্ন করেছি। রানা প্লাজা ট্র্যাজেডির পর আমরা কয়েকটি কারণে ক্রেতাদের আস্থা ফেরাতে সক্ষম হয়েছি।
সিদ্দিকুর রহমান আরও বলেন, বিশ্বের সেরা তিনটি পরিবেশবান্ধব পোশাক কারখানা এখন বাংলাদেশে। উচ্চমানের পোশাক তৈরি করার পাশাপাশি আমরা রফতানিও বাড়াতে পেরেছি। বাকি মাসগুলোতে আমাদের রফতানি প্রবৃদ্ধি ১০ শতাংশ ছাড়িয়ে যাবে বলে আশা করছি আমরা।
বিজিএমইএর এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, তিন কারণে ইউরোপের বাজার পুনরুদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে বাংলাদেশ। সেগুলো হলো-ইউরোপের শক্তিশালী অর্থনীতি, বৈদেশিক মুদ্রার বিপরীতে টাকার মূল্যমান বাড়া ও ইউরোপের বাজারে শুল্কমুক্ত সুবিধা।
রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত ১০ মাসে তৈরি পোশাক খাতে রফতানি হয়েছে দুই হাজার ৫৩০ কোটি ৫৬ লাখ ডলারের পণ্য। যা গত বছরের একই সময়ে ছিল দুই হাজার ৩১৩ কোটি ৭৩ লাখ ডলারের পণ্য। এই হিসাবে তৈরি পোশাক রফতানি বেড়েছে নয় দশমিক ৩৭ শতাংশ।
এর মধ্যে নিটওয়্যার খাতে আয় হয়েছে এক হাজার ২৫৪ কোটি তিন লাখ ডলার। যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে দুই দশমিক ১২ শতাংশ বেশি। আর ওভেন খাতের পণ্য রফতানিতে আয় হয়েছে এক হাজার ২৭৬ কোটি ৫৩ লাখ ডলার; যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে চার দশমিক ২৩ শতাংশ বেশি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।