পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সরকারের ব্যাপক উন্নয়নের বিষয়টি উপলব্ধি করে খুলনাবাসী ভোট দিয়ে নৌকা প্রতীকের প্রার্থীকে বিজয়ী করেছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সরকারের উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডের চিত্র তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে কাজ হয়, এটা দেখেই খুলনার জনগণ নৌকায় ভোট দিয়েছেন।’
খুলনার নবনির্বাচিত মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক রবিবার (২০ মে) সন্ধ্যায় গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাতে গেলে তিনি এসব কথা বলেন।
তালুকদার খালেকের জয়ের প্রসঙ্গ টেনে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আগের নির্বাচনে (২০১৩ সালে) তালুকদার খালেক ৬০ হাজার ভোটে পরাজিত হন। এবার তা কাভার করে আরও বেশি ভোটে জিতেছেন। এই ভোটটা পেয়েছি, আমরা যে উন্নয়ন করেছি সেজন্যই। খুলনাবাসী উপলব্ধি করতে পেরেছে আওয়ামী লীগ এলে উন্নতি হয়।’
সিটি করপোরেশনগুলোর মেয়র ভিন্ন দলের হলেও সরকার উন্নয়ন কর্মকাণ্ড বন্ধ রাখেনি মন্তব্য করে সরকার প্রধান বলেন, ‘বিএনপির মেয়র থাকার সময়ও আমরা কোনও সিটি করপোরেশনে উন্নয়নের কোনও প্রকল্প বন্ধ করিনি। কে মেয়র আছে আর কে নেই সেটা আমরা দেখিনি। আমরা সব জায়গায় দিয়েছি। কিন্তু বিএনপির মেয়ররা কোনও উন্নয়নমূলক কাজ করেনি। টাকাপয়সা কী করেছে তা বলতে পারবো না। কাজ তারা করেনি, এটা বাস্তবতা। কাজে তাদের মনই ছিল না। কাজ তারা জানেই না।’
তিনি আরও বলেন, ‘একসময় খুলনার মানুষ আমাদের নৌকায় ভোট দিত না, এটা হলো বাস্তব কথা। তবে কী কারণে, আমরা তা বুঝতে পারতাম না।’
বিএনপির সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘বিএনপি ক্ষমতায় আসার খুলনা শহরটাকে শেষ করে দেওয়া হয়। শিল্প কলকারখানা একে একে বন্ধ করে দেয়। যতবার বিএনপি ক্ষমতায় এসেছে, খুলনাকে কেন যেন অন্ধকারে নিয়ে যাওয়া হয়। আওয়ামী লীগ আবার ক্ষমতায় এলে সব ঠিকঠাক হয়। আমরা ১৯৯৬ সালে প্রথমবার ক্ষমতায় এসে মোংলা বন্দর চালু করি। ২০০১ ক্ষমতায় এসে বিএনপি তা বন্ধ করে দেয়। পরে আমরা ক্ষমতায় এসে তা আবারও চালু করেছি। যতদূর সম্ভব শিল্পকারখানা চালু করেছি। খুলনা-যশোর অংশের রাস্তাটার কাজ কিছুটা থেমে ছিল, আমরা সেটা আবার সংস্কারের উদ্যোগ নিয়েছি। আমাদের সময় যত রকমের উন্নয়ন সম্ভব তা করে যাচ্ছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘আওয়ামী লীগ কথা দিলে তা রাখে। আমরা ঘোষণা দিয়েছিলাম দিন বদলের। ৯ বছরে দিন বদল করে মানুষকে উন্নত জীবন দিতে সক্ষম হয়েছি। বিএনপি ক্ষমতায় আসা মানে বাংলাদেশে একটি দুর্যোগ আসা। তারা পারে খুন-খারাবি, জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস আর লুটপাট করতে। এই ব্যাপারে তারা একেবারে ওস্তাদ। লুটপাট তারা ভালো জানে।’
খুলনাবাসীর উদ্দেশে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ‘আপনারা নৌকায় ভোট দিয়েছেন। এবার উন্নতি আরও ত্বরান্বিত হবে। নৌকাই মানুষকে উন্নতি দেয়। নৌকা বাংলা ভাষায় কথা বলার অধিকার দিয়েছে। নৌকা স্বাধীনতা দিয়েছে। নৌকা এলে উন্নতি হয়। মানুষ উন্নয়নের ধারাবাহিকতা চায় বলেই আওয়ামী লীগ খুলনায় জয়লাভ করেছে।’
খুলনা নির্বাচনের ফলের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, ‘ঐক্যবদ্ধভাবেকাজ করলে কোনও নির্বাচনে জয়ী হওয়া কঠিন নয়। এটা হচ্ছে বাস্তবতা ও প্রমাণিত। দেশের জনগণ ব্যাপকভাবে আওয়ামী লীগের পক্ষে। অনেক জরিপ হচ্ছে, তাতে দেখা যাচ্ছে আওয়ামী লীগ ক্রমান্বয়ে ওপরে উঠে যাচ্ছে।’
খুলনা সিটি নির্বাচন নিয়ে সমালোচনার জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘নির্বাচন নিয়ে অনেকে অনেক কথা বলেন। আমি জানতে চাই, এত সুষ্ঠু নির্বাচন বাংলাদেশে কবে হয়েছে। আজ যারা চুলচেরা বিশ্লেষণ করেন, তারা ১৫ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনের কথা ভুলে যান কেন? আর তাদের বলতে চাই, এদেশে নির্বাচন নিয়ে যে খেলা, সিল মেরে বাক্স ভরা–এটা তো শুরু করে দিয়েছে জিয়াউর রহমান। ক্ষমতায় থাকার জন্য হ্যাঁ- না ভোট দিয়ে ভোট চুরির মহড়া করলো। পরে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনেও ভোট চুরি। ৭৯ সালের নির্বাচনেও ভোট চুরি। ভোট চুরি করাটাই তাদের একটা চরিত্র।’
তিনি আরও বলেন, ‘জাতির পিতা সাড়ে ৩ বছরের মধ্যে যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশকে গড়ে দিয়ে গেছেন। এরপর থেকেই হত্যা, ক্যু, ষড়যন্ত্রের রাজনীতি শুরু হয়। অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল শুরু হয়, যার ফলে বাংলাদেশের মানুষের কাঙ্ক্ষিত উন্নতি হয়নি। কিছু মানুষ বড়লোক হয়েছে। কিন্তু সাধারণ মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন হয়নি।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।