পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : প্রতিবন্ধীরা রাষ্ট্রের বোঝা নয়, তারা কোনো সমস্যাও নয়। দৃষ্টি প্রতিবন্ধীসহ সকল প্রতিবন্ধীদের উন্নয়ন ও সুরক্ষায় বর্তমান সরকার আন্তরিকভাবে কাজ করছে। সরকার প্রতিবন্ধীদের উন্নয়নে বিভিন্ন ধরনের সুযোগ-সুবিধা প্রদান করে যাচ্ছে। কর্মক্ষেত্রে প্রতিবন্ধীরা খুবই নিষ্ঠাবান হয়। তাদের ভুলভ্রান্তি হয় কম। গতকাল শনিবার সকালে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র কর্পোরেশন-এর (এফডিসি) ৮ নম্বর ফ্লোরে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি আয়োজিত দৃষ্টি-প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে ‘যুক্তি আলোয় দেখি’ বিতর্ক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠানে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী নুরুল ইসলাম বিএসসি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি’র চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ। প্রতিবন্ধীদের উন্নয়নের মূলধারায় সম্পৃক্ত করা শীর্ষক এ বিতর্ক প্রতিযোগিতা চট্টগ্রাম বিশ^বিদ্যালয় এবং ইডেন মহিলা কলেজের দৃষ্টি প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করে। অনুষ্ঠানে প্রতিবন্ধীদের বক্তব্য শুনে আবেগআপ্লুত হয়ে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী নুরুল ইসলাম বিএসসি দৃষ্টি প্রতিবন্ধীদের উন্নয়নে এই প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠানের জন্যে ৫ লাখ টাকা প্রদানের ঘোষণা দেন। এছাড়াও ভবিষ্যতে এ ধরনের আয়োজনে আরও সহযোগিতার আশ^াস দেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী নুরুল ইসলাম বিএসসি আরও বলেন, পরিবারে প্রতিবন্ধীত্ব অভিশাপ নয়, আল্লাহপাকের আর্শীবাদ। প্রতিবন্ধীদের প্রতি কোনো ধরনের উপেক্ষা, বঞ্চনা, বৈষম্য গ্রহণযোগ্য নয়। তাঁদের মধ্যে যে অন্তহীন আত্মশক্তি লুকায়িত রয়েছে তাঁর বহিঃপ্রকাশ ঘটাতে প্রতিবন্ধীদের উন্নয়নে সবাইকে এক সাথে কাজ করতে হবে।
ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি’র চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ বলেন, উন্নয়নের মূলধারায় সম্পৃক্ত করতে হলে প্রতিবন্ধীদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য, চিকিৎসা, কর্মসংস্থান ও বিনোদনসহ তাদের সামাজিক নিরাপত্তা ও পুনর্বাসন নিশ্চিত করতে হবে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে অন্তর্ভূক্তিমূলক শিক্ষাব্যবস্থা থাকা উচিত। সরকারি চাকুরীতে প্রতিবন্ধীদের জন্য প্রদত্ত কোটা বাধ্যতামূলক করে অন্ততপক্ষে ৫% কোটা রাখা দরকার। দুঃস্থ প্রতিবন্ধীদের ভাতা বাড়িয়ে বর্তমানে প্রদত্ত ৭শ টাকার পরিবর্তে ১৫শ টাকা করা প্রয়োজন। একই সাথে ভাতার আওতায় ৮ লাখের জায়গায় বাড়িয়ে কমপক্ষে ২০ লাখ করা প্রয়োজন। প্রতিযোগিতায় বিচারক ছিলেন অধ্যাপক আবু মোহাম্মদ রইস, মু. শাহ আলম চৌধুরী, অধ্যাপক রোকেয়া পারভীন জুঁই, সাংবাদিক ফারিয়া হোসেন, ড. তাজুল ইসলাম চৌধুরী তুহিন। প্রতিযোগিতা শেষে বিজয়ীদের মধ্যে ক্রেস্ট ও সার্টিফিকেট প্রদান করা হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।