পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : খালেদা জিয়া নির্বাচনে এলে আওয়ামী লীগের ভরাডুবি হবে, তাই তাকে জেলে রাখা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ মনে করে, দেশনেত্রী যদি বাইরে থাকেন তাহলে জনগণের যে বাঁধভাঙা ঢল, সেই ঢলকে তারা প্রতিরোধ করতে পারবে না। আগামী নির্বাচনে দেশনেত্রী যদি অংশ নেন তাহলে সেই নির্বাচনে তাদের ভরাডুবি কেউ ঠেকাতে পারবে না। এজন্য তারা সুপরিল্পিতভাবে চক্রান্ত করে, মিথ্যা সাজানো মামলা দিয়ে নির্বাচনের আগেই এই মামলার কার্যক্রম শেষ করে তাকে কারাগারে পাঠিয়েছে।
গতকাল শুক্রবার সকালে রাজধানীর নয়াপল্টনের দলীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। মির্জা ফখরুল বলেন, বাংলাদেশে ইতিহাসে নজিরবিহীন সব ঘটনা ঘটিয়ে চলেছে এই সরকার। হাইকোর্ট জামিন দেওয়ার পরে সুপ্রিম কোর্টে স্থগিত করা হয় এই ৫ বছরের সাজার-এটার ইতিহাসে নজির নেই। নজির নেই যে, মাত্র ৩/৪ মাসের মধ্যে এই আপিলটাকে চূড়ান্ত নিম্পত্তি করার নির্দেশ দেয়া- এটারও নজির নেই। অত্যন্ত দ্রæততার সঙ্গে এই মামলাটিকে একটি চূড়ান্ত পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য তারা কাজ করছে।
তিনি বলেন, দুর্ভাগ্য হচ্ছে যে, এই নির্দেশ-আদেশগুলো আসছে উচ্চ আদালত থেকে বিচার বিভাগ থেকে। যেটা সর্বশেষ স্থান যেখানে অন্যায়-অত্যাচার-নিপীড়নের বিরুদ্ধে মানুষের যাওয়ার একমাত্র জায়গা ছিলো বিচার বিভাগ। দুর্ভাগ্য আমাদের আজকে সেই বিচার বিভাগকেও সরকার তাদের কাজে লাগানোর চেষ্টা করছে।
খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচন প্রসঙ্গ টেনে বিএনপি মহাসচিব বলেন, সরকার অত্যন্ত সুপরিকল্পিতভাবে পুলিশের নির্যাতন, গ্রেফতার ও দমনপীড়নের মধ্য দিয়ে সেখানে ত্রাসের রাজত্ব সৃষ্টি করেছে। নির্বাচনের দিনে জনগনকে ভোট কেন্দ্রে যেতে না দিয়ে তারা ভোট ডাকাতি করেছে। পত্র-পত্রিকায় সব কিছু এসেছে ইলেক্ট্রিক চ্যানেলে এসেছে। এমনকি মার্কিন রাষ্ট্রদূত তিনি পর্যন্ত বলেছেন যে, খুলনার নির্বাচনে যে অনিয়ম হয়েছে তার তদন্ত হওয়া উচিৎ। এই নির্বাচন তদন্ত করবেন না। এই কমিশন পুরোপুরিভাবে সরকারের বশংবদ প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। সারা পৃথিবী জানে বাংলাদেশে কোনো গণতন্ত্র নাই, গণতন্ত্রের কোনো স্পেস নেই।
এই অবস্থা থেকে উত্তরণে মহানগর দক্ষিণকে সংগঠিত হয়ে আন্দোলনের জন্য প্রস্তুতি নেবার আহ্বান জানিয়ে ফখরুল বলেন, গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে আনতে হলে, দেশনেত্রীকে মুক্তি করতে হলে আমাদেরকে জাতীয় ঐক্য তৈরি করতে হবে। এই জাতীয় ঐক্যের মধ্য দিয়ে যে পাথর আমাদের বুকের ওপর বসে আছে, সেই পাথরকে সরাতে হবে, এই দানবকে সরাতে হবে। আমি অনুরোধ জানাব, মহানগর দক্ষিণ আপনার সংগঠিত হোন যখনই প্রয়োজন হবে আপনারা যেন রাস্তায় নামতে পারেন। ##
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।