পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিশেষ সংবাদদাতা : বাসের ধাক্কায় পা থেতলে যাওয়া কমিউনিটি পুলিশের সদস্য আলাউদ্দিন সুমন (৪০) চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা গেছেন। গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১০টার দিকে তার মৃত্যু হয়। গত ১২ই মে রাজধানীর হানিফ ফ্লাইওভারে একটি বাসের ধাক্কায় তার বাম পা হাঁটুর নিচ থেকে থেতলে যায়। অন্যদিকে বেপরোয়া গতির বাসের চাপায় ঢাকা ট্রিবিউনের বিজ্ঞাপন বিভাগের জ্যেষ্ঠ নির্বাহী নাজিম উদ্দিনের (৪১) মৃত্যুর ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। গতল বৃহস্পতিবার রাজধানী ঢাকার যাত্রাবাড়ীর মেয়র হানিফ উড়ালসেতুর ওপর শ্রাবণ সুপার ও মনজিল নামের দুটি বাসের রেষারেষির মধ্যে শ্রাবণ বাসের চাপায় তিনি নিহত হন। এ ঘটনায় গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার দিকে যাত্রাবাড়ী থানায় মামলা করেছেন নাজিম উদ্দিনের ভায়রা আবদুল আলিম। মামলায় সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যুর কথা উল্লেখ করা হয়েছে। হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, দুর্ঘটনার পর সুমনকে জাতীয় অর্থপেডিক হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার অবস্থার অবনতি হলে গত ১৪ মে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। বৃস্পতিবার রাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। সুমনের গ্রামের বাড়ি নারায়ণগঞ্জ জেলার সিদ্ধিরগঞ্জ উপজেলার নিতাইপুর গ্রামে। স্ত্রী ও দুই সন্তানসহ তিনি নারায়ণগঞ্জের সানারপাড়ে থাকতেন।
যাত্রাবাড়ী থানার ওসি আজিজুর রহমান বলেন, মনজিলের চালককে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। মামলার অন্য দুই আসামি গ্রেফতার হাওয়া শ্রাবণ সুপার পরিবহনের চালক ওহিদুল ও মনজিল পরিবহনের চালকের সহকারী কামালকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। চালকের নাম জানতে চাইলে ওসি বলেন, চালকের নাম এখনো জানতে পারিনি। তবে পেয়ে যাব। বাসটি যেহেতু আটক করা হয়েছে, চালকের নামও আমরা পেয়ে যাব। নাজিম উদ্দিনের চাচাতো ভাই মোসলেহউদ্দিন রিফাত বলেন, আমার ভাই (নাজিম) ছিলেন তাঁর পরিবারের বড় ছেলে। পুরো সংসার তার ওপর নির্ভরশীল। এই অবস্থায় নাজিমকে মেরে ফেলল বাসচালকেরা। ওর ছোট মেয়ে ইসরাত জাহান নুরের বয়স আজ মাত্র পাঁচ দিন। আর বড় মেয়ে নুসরাত জাহানের বয়স নয় বছর। স্ত্রী হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। নাজিমের মৃত্যুর ঘটনায় দায়ী ব্যক্তিদের কঠোর শাস্তি দাবি করেন তিনি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।