পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
এ. কে. এম. ফজলুর রহমান মুন্শী
ইসলামী আরবী বর্ষ পঞ্জির নবম মাস রমজান। ইসলামী আরবী বার মাসের মধ্যে রমজান মাস খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আল্লাহ এবং রাসূল (সা:)-এর উপর ঈমান আনয়নের পর প্রত্যেক বিশ্বাসী বান্দাহর উপর ধনী-গরীব নির্বিশেষে দুটি কাজ করা ফরজ বা অপরিহার্য। এর প্রথমটি হলো নামাজ এবং দ্বিতীয়টি হলো রোজা। যাকাত এবং হজ করা গরীবদের উপর ফরজ নয়। এ দুটি কাজ ধনীদের জন্য নির্ধারিত। প্রত্যেক বালিগ মুসলিম নর-নারীর উপর রমজান মাসের রোজা ফরজ। রোজা ফরজ হওয়ার বিধানকে অস্বীকার করলে সে আর মুসলমান থাকে না। মহান রাব্বুল আলামীন আল কোরআনে ইরশাদ করেছেন : হে ঈমানদারগণ! তোমাদের উপর রোজা ফরজ করা হয়েছে যেমন তোমাদের পূর্ববর্তীদের উপর ফরজ করা হয়েছিল। যাতে তোমরা তাকওয়া বা পরহেজগারী অবলম্বন করতে পার। এই রমজান মাসেই কুরআন নাজিল করা হয়েছে যা গোটা মানব জাতির জন্য হেদায়াত এবং তা সুস্পষ্ট উপদেশাবলীতে পরিপূর্ণ। সুতরাং তোমাদের মধ্য হতে যে ব্যক্তি এই মাস পাবে, সে অবশ্যই রোজা রাখবে। আর যদি কেউ অসুস্থ হয় কিংবা সফরে থাকে তবে সে যেন অপর দিন সমূহে এই রোজার সংখ্যা পূর্ণ করে নেয়। (সূরা বাকারাহ : আয়াত ১৮৩-১৮৫)
হযরত আবু হুরায়রা (রা:) থেকে বর্ণিত আছে, রাসূল (সা:) বলেছেন : যে ব্যক্তি রমজান মাসে পূর্ণ বিশ্বাসের সাথে সওয়াব লাভের আশায় রোজা রাখে, আল্লাহপাক তার পিছনের সকল গুনাহ ক্ষমা করে দেবেন। (সহীহ বুখারী : খÐ ১, পৃ: ২৬৯, হাদীস নং ১৭৮০; মিশকাত শরীফ : খন্ড ১, পৃ: ১৭৩)
হযরত সাহল ইবনে সাদ (রা:) হতে বর্ণিত আছে, রাসূলুল্লাহ (সা:) বলেছেন : জান্নাতের মধ্যে আটটি দরজা আছে। তন্মধ্যে একটির নাম রাইয়্যান। কেয়ামতের দিন এই দরজা দিয়ে কেবলমাত্র রোজাদার ব্যক্তিরা প্রবেশ করবে। এদের ছাড়া অন্য কেউ প্রবেশ করতে পারবে না। বলা হবে, হে রোজাদাররা তোমরা কোথায় আছ? তখন রোজাদাররা দাঁড়িয়ে যাবে এবং সকলেই ভিতরে প্রবেশ করবে। তার পর দরজাটি বন্ধ করে দেয়া হবে। (সহীহ বুখারী : খÐ ১, পৃ: ২৬৯, হাদীস নং ১৭৭৫; মিশকাত শরীফ : খÐ ১, পৃ: ১৭৩)।
হযরত আবু হুরায়রা (রা:) হতে বর্ণিত আছে, রাসূলুল্লাহ (সা:) বলেছেন : যখন রমজান মাস সমাগত হয় তখন আসমানের দরজাগুলো খুলে দেয়া হয় এবং জাহান্নামের দরজা বন্ধ করে দেয়া হয়। এবং অবাধ্য দুষ্ট শয়তানদেরকে আবদ্ধ করে রাখা হয়। অন্য বর্ণনায় আছে-রমজান মাসে ব্যাপকভাবে আল্লাহর রহমতের দরজাগুলো খুলে দেয়া হয়। (সহীহ বুখারী : খÐ ১, পৃ: ২৬৯, হাদীস নং ১৭৭৮; মিশকাত শরীফ : খÐ ১, পৃ: ১৭৩
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।