পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ইনকিলাব ডেস্ক : ইরাকের নির্বাচনে মার্কিন বিরোধী জনপ্রিয় শিয়া নেতা মুক্তাদা আল সদরের নেতৃত্বাধীন সাইরুন জোট বিজয়ী হয়েছে। তার জোটের এ বিজয়কে বিস্ময়কর বলে আখ্যায়িত করা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে দীর্ঘ রক্তক্ষয়ী লড়াইয়ে নেতৃত্ব দানকারী আল সদর এখন ইরাকের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনে প্রধান ভ‚মিকা পালন করবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। খবর আল জাজিরা ও সিএনবিসি।
গত শনিবার অনুষ্ঠিত ইরাকের নির্বাচনে মুক্তাদা আল সদরের জোট বিজয়ী হয়। খবরে বলা হয়, বিজয়ী হলেও এ জনপ্রিয় শিয়া নেতা ইরাকের প্রধানমন্ত্রী হবেন না। ওয়াশিংটন ইনস্টিটিউট-এ সিনিয়র ফেলো মাইকেল নাইটস বলেন, ইরাকে আগামী সরকার গঠনে মুক্তাদা এক প্রধান ভ‚মিকা পালন করবেন। তবে এটা পরিষ্কার নয় যে আসলে তার ভ‚মিকা কি হবে। তিনি কি সরকারের অংশ হবেন নাকি নাকি সরকারের বিরোধী ভ‚মিকা পালন করবেন তা অনেকেরই প্রশ্ন।
৪৫ বছর বয়সী মুক্তাদা আল সদর নিজে নির্বাচনে অংশ নেননি। সুতরাং পরবর্তী সরকারে আনুষ্ঠানিক কোনো ভ‚মিকা তিনি নিতে পারবেন না।
বিশ্লেষকরা বলছেন, যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের প্রভাবের বিরোধী মুক্তাদার বিজয় ইরাকের রাজনীতিতে ভিন্নমাত্রার সূচনা করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ২০০৩ সালে ইরাকে মার্কিন আগ্রাসনের পর তিনি মাহদি আর্মি নামে শিয়া মিলিশিয়া বাহিনী গঠন করে যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে সশস্ত্র লড়াই শুরু করেন। তবে তার এ বাহিনীর বিরুদ্ধে সুন্নীদের উপর নিপীড়ন চালানোরও অভিযোগ রয়েছে।
এবারের নির্বাচনে তিনি সরকারের দুর্নীতি ও ইরানি প্রভাবের বিরুদ্ধে সোচ্চার হন। তার দুর্নীতি বিরোধী প্রচারণা লুফে নেয় ইরাকিরা। তিনি ইরাকের সম্প্রদায়গত বিরোধ কাটিয়ে ওঠার লক্ষ্যে ধর্ম নিরপেক্ষ সুন্নী দল ও ইরাকি কম্যুনিস্ট পার্টির সমন্বয়ে একটি নিরপেক্ষ জোট গঠন করেন।
লন্ডন ভিত্তিক পিজিআই গ্রæপে ঝুঁকি বিশ্লেষক রায়ান টার্নার বলেন, মুক্তাদার ভ‚মিকার প্রেক্ষিতে তার বহুদলীয় মঞ্চ ইরাকের চ্যালেঞ্জিং রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে ভোটারদের কার্যকরভাবে প্রভাবিত করতে সক্ষম হয়েছে। যুক্তরাজ্যের পলিসি ইনস্টিটিউট চ্যাথাম হাউসের গবেষক ও ফেলো রেনাড মনসুর বলেন, তিনি ইরাকে সহিংসতার পক্ষে কথা বলা বন্ধ করেছেন। রাজনীতিতে সহিংসতার ব্যবহার তিনি পরিত্যাগ করেছেন। তবে যুক্তরাষ্ট্র যদি আবারো ইরাক দখলের চেষ্টা করে তাহলে তার এ অবস্থান পরিবর্তিত হতে পারে।
টার্নার বলেন, ইরাকের ভঙ্গুর রাজনীতির প্রেক্ষিতে ধারণা করা হচ্ছে যে কোনো দল বা জোট নিরংকুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পাওয়ায় কোয়ালিশন সরকার গঠনের ব্যাপারে আলাচনা চলছে। এক্ষেত্রে মুক্তাদা আল সদর নির্বাচনে দ্বিতীয় স্থানে থাকা কনকোয়েস্ট জোটের হাদি আল আমিরিকে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনে সমর্থন দিতে পারেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।