পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : বিএনপি নেতারা খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ফলাফল প্রত্যাখ্যান এবং বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করায় তাদের ‘বাটপার’ আখ্যায়িত করেছেন প্রধানমন্ত্রীর ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়। গত বুধবার নিজের ভেরিফাইড ফেসবুকে এক পোস্টে তিনি লিখেছেন, তারা শুধুই একদল বাটপার।
গত মঙ্গলবার খুলনার নির্বাচনে বিএনপির মেয়র পদপ্রার্থী নজরুল ইসলাম মঞ্জুকে ৬৬ হাজার ভোটে হারিয়ে মেয়র নির্বাচিত হওয়ায় আওয়ামী লীগের প্রার্থী তালুকদার আব্দুল খালেককে অভিনন্দন জানান জয়।
জয়ের হিসাবে বিএনপির প্রার্থী বিজয়ী প্রার্থীর তুলনায় ‘অর্ধেকেরও কম’ ভোট পেয়েছেন। তিনি লিখেছেন, খুলনা সিটি নির্বাচন নিয়ে ‘বিভিন্ন গুজব ছড়াচ্ছে’ বিএনপি। “বিএনপি পুরোদস্তুর একটি মিথ্যেবাদী দল। তারা প্রতিদিন একটি করে সংবাদ সম্মেলন করে আর ভাবে মানুষ এতটাই বোকা যে তাদের কথাগুলো বিশ্বাস করবে।
বিএনপি ভোট জালিয়াতির অভিযোগ তুলে ফলাফল প্রত্যাখ্যান করার জবাবে জয় লিখেছেন, মোট ২৮৯টি ভোট কেন্দ্রের মধ্যে মাত্র তিনটি অর্থাৎ ১ শতাংশ ভোট কেন্দ্রে কিছু সমস্যার সৃষ্টি হয়েছিল। নির্বাচন কমিশন তাদের দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করেছে এবং উক্ত কেন্দ্রগুলোতে ভোট গ্রহণ বন্ধ রেখেছিল। বিএনপি কর্মীরাই বরং কেন্দ্রগুলো ভাংচুর করেছে, আবার এখন তারাই এটা নিয়ে গুজব ছড়াচ্ছে।
বিএনপির ইভিএম বিরোধিতার সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রীর তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা জয় লিখেছেন, সকল নির্বাচনে যদি ইভিএম ব্যবহার করা হত, তাহলে ভোট জালিয়াতি অসম্ভব হয়ে পড়ত। তারপরেও তারা এর বিরোধিতা করে যাচ্ছে।
বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইট নিয়েও বিএনপি নেতারা ‘ব্যাপক মিথ্যাচার’ করছেন বলে অভিযোগ করেন সজীব ওয়াজেদ জয়। প্রথমে তারা বোঝানোর চেষ্টা করল স্যাটেলাইটের মাধ্যমে আমাদের দেশের তথ্য বিদেশিদের কাছে পাচার হয়ে যাবে। এই ধারনা একমাত্র অশিক্ষিত, মুর্খ লোকেদেরই হতে পারে। এখন আমরা অন্য দেশের স্যাটেলাইট ব্যবহার করছি। এই স্যাটেলাইটগুলো বিদেশিরা নিয়ন্ত্রণ করে। এখন আমাদের নিজেদের স্যাটেলাইট থাকার কারণে বরং আমাদের তথ্য আরো নিরাপদ থাকবে।
‘বঙ্গবন্ধু-১’ উৎক্ষেপণের পর বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছিলেন, এই স্যাটেলাইটের মালিকানা ‘দুই ব্যক্তির কাছে চলে গেছে’। এর জবাবে জয় লিখেছেন, বঙ্গবন্ধু-১ সম্পূর্ণভাবে বাংলাদেশ কমিউনিকেশনস স্যাটেলাইট কোম্পানির মালিকানাধীন, যা টেলিটক, বিটিসিএলের মত শতভাগ রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন একটি প্রতিষ্ঠান। এটার মালিকানা অন্য কোন ব্যক্তি মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানের হাতে তুলে দেয়ার কথাটা আসলে টেলিটক বা বিমান বাংলাদেশকে ব্যক্তি মালিকানায় দিয়ে দেয়ার মতোই। আইনগতভাবে যা অসম্ভব। আবারও, শুধুই মূর্খ ও অশিক্ষিত মানুষেরাই এই ধরণের কথা বলতে বা বিশ্বাস করতে পারে।
ফেসবুক পোস্টের শেষ অংশে জয় লিখেছেন, যারা এতিমের টাকা চুরি করে, সাধারন মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা করে তাদের কাছ থেকে আমরা আর কি আশা করতে পারি। খালেদা জিয়ার বিচার হয়েছে, তিনি এখন জেল খাটছেন। তার জায়গায় বিএনপি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন মনোনীত করেছে আরেক সাজাপ্রাপ্ত আসামী তারেক রহমানকে। তাদের কোন লজ্জা বা সততা নেই।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।