Inqilab Logo

বুধবার ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০ আশ্বিন ১৪৩১, ২১ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

রোহিঙ্গা ফেরতে ফলাফল শূন্য

জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রæপের বৈঠকে ফলপ্রসু আলোচনার দাবি

| প্রকাশের সময় : ১৮ মে, ২০১৮, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : মিয়ানমারের রাখাইনে নির্যাতন-নিপীড়নের শিকার হয়ে প্রাণ বাঁচাতে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন বিষয়ে ঢাকায় বাংলাদেশ-মিয়ানমারের জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রæপের দ্বিতীয় বৈঠক চলছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন মেঘনায় এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশের পক্ষে পররাষ্ট্র সচিব শহিদুল হক এবং মিয়ানমারের পক্ষে দেশটির পররাষ্ট্র সচিব মিন্ট থোরে বৈঠকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। দুই পক্ষই দাবি করেন, আলোচনা ফলোপ্রসূ হয়েছে। বাস্তবতা ফলাফল শূন্য।
বৈঠক সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন বিষয়ে দুই দেশের পক্ষ থেকে গ্রহণ করা পদক্ষেপগুলোর বিষয়ে বৈঠকে আলোচনা হতে পারে। ২০১৭ সালের ২৩ নভেম্বর মিয়ানমারের রাজধানী নেপিদোতে দুই দেশের মধ্যে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন বিষয়ে একটি চুক্তি স্বাক্ষর হয়। চুক্তি স্বাক্ষরের দুই মাসের মধ্যে রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে প্রত্যাবাসন শুরুর কথা থাকলেও সেটা এখনো হয়নি। এদিকে চুক্তির ছয় মাস শেষ হতে চললেও এখনো পর্যন্ত কোনো রোহিঙ্গাকে ফেরত নেয়নি মিয়ানমার।
বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ইউ মিন্ট থো বলেন, আমরা খুব ফলপ্রসূ বৈঠক করেছি। মিয়ানমারের নাগরিকদের ফিরিয়ে নেয়ার বিষয়ে উভয়পক্ষ খোলামেলা আলোচনা করেছি। প্রত্যাবাসন নিয়ে আমাদের প্রস্তুতির কথাও জানিয়েছি। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, প্রত্যাবাসনের জন্য সেখানকার লোকদের (রোহিঙ্গা) মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে হবে। এটা বৈঠকে আমরা তুলে ধরেছি। তবে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন ঠিক কবে নাগাদ শুরু হবে, এমন প্রশ্নের কোনো উত্তর দেননি মিয়ানমারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের স্থায়ী সচিব। তবে পররাষ্ট্রসচিব এম শহীদুল হক সাংবাদিকদের বলেন, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে আলোচনায় অগ্রগতি হয়েছে। প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ার প্রস্তুতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। উভয়পক্ষ দ্রæত প্রত্যাবাসনে সম্মত হয়েছি। এক প্রশ্নের উত্তরে পররাষ্ট্রসচিব বলেন, রোহিঙ্গাদের জন্য যে তালিকা দেয়া হয়েছিল, সেটা যাচাই-বাছাই প্রক্রিয়া নিয়ে আলোচনা করেছি আমরা। উভয়পক্ষে খুব খোলামেলা আলোচনা হয়েছে।
প্রসঙ্গতমিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে বসবাসকারী দেশটির সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা মুসলিমদের নাগরিক হিসেবে স্বীকার করে না মিয়ানমার সরকার। সেনাবাহিনীর দমন-পীড়নের শিকার হয়ে প্রাণ বাঁচাতে চার দশক ধরে পার্শ্ববর্তী বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে লাখ লাখ রোহিঙ্গা। সর্বশেষ ২০১৭ সালে সেনা অভিযানের নামে নৃশংসতা শুরু হলে লাখ লাখ রোহিঙ্গা পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়। এ সংখ্যা ১১ লাখ ছাড়িয়ে যায়।
জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন রাখাইনে রোহিঙ্গাদের ওপর দমন-পীড়নের ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের আলামত খুঁজে পেয়েছে বলে জানিয়েছে। এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রসহ উন্নত বিশ্বের বিভিন্ন দেশগুলো রোহিঙ্গা নিপীড়নকে জাতিগত নিধন বলে অভিহিত করেছে। তবে মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ সমস্ত অভিযোগই বরাবরের মতো অস্বীকার করে আসছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ