Inqilab Logo

বুধবার, ২৬ জুন ২০২৪, ১২ আষাঢ় ১৪৩১, ১৯ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

৫ দিন ধরে অবরুদ্ধ কর্মকর্তা-কর্মচারী পরিবারে খাদ্য সঙ্কট

বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির শ্রমিক ধর্মঘট

| প্রকাশের সময় : ১৮ মে, ২০১৮, ১২:০০ এএম

পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যানের সাথে আলোচনার প্রস্তাব
দিনাজপুর অফিস ও পার্বতীপুর উপজেলা সংবাদদাতা : পার্বতীপুরে বড়পুকুরিয়া কয়লা খনিতে ৫ দিন ধরে অবরুদ্ধ হয়ে পড়া কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পরিবারে শিশু খাদ্য, ঔষধ ও নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের তীব্র সঙ্কট দেখা দিয়েছে। দ্রæত পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হলে খনির ভিতরে মানবিক বিপর্যয় দেখা দিতে পারে। সংবাদ সম্মেলনে এমডি প্রকৌশলী হাবিব উদ্দিন আহম্মেদ অভিযোগ করেন, আন্দোলনরত শ্রমিকেরা খনিটির ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান চীনা এক্সএমসি ও সিএমসি কোম্পানীর অধীনে কর্মরত শ্রমিক। তারা বড়পুকুরিয়া কোল মাইনিং কোম্পানী লিঃ (বিসিএমসিএল) এর কোন শ্রমিক নয়। অথচ তারা বিসিএমসিএল এর নিকট দাবি জানিয়ে আন্দোলনে নেমেছে। এরপরেও তাদের দাবি নিয়ে আলোচনার জন্য কয়েক দিন সময় চাওয়া হয়েছিল। কিন্তু তারা কোন সময় দেয়নি। এমডি বলেন, বড়পুকুরিয়া কোল মাইনিং কোম্পানী লিঃ পেট্রোবাংলার একটি কোম্পানী। বর্তমানে পেট্রোবাংলা চেয়ারম্যান রাষ্ট্রিয় কাজে বিদেশে অবস্থান করছেন। তিনি বিদেশ থেকে ফিরলেই আন্দোলনকারীদের সাথে আলোচনায় বসা হবে। খনির অফিসার ক্লাব মনমেলা’র কনফারেন্স রুমে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে হাবিব উদ্দিন আহমদ বলেন- বিদেশী ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান সিএমসি-এক্সএমসি’র অধীনে কর্মরত শ্রমিকদের বেতন প্রায় তিনগুন বৃদ্ধি করা হয়েছে। একজন খনি শ্রমিক আগে যেখানে সর্বনিম্ন ৮ হাজার ৮৮০ টাকা এবং সর্বোচ্চ ১৪ হাজার ৬৪০ টাকা মাসিক বেতন পেতেন, সেখানে এখন পাচ্ছেন যথাক্রমে ২৩ হাজার ৫৫ টাকা এবং ৪১ হাজার ২৭৬ টাকা। পাশাপাশি সাপ্তাহিক ছুটিসহ বছরে ৭৮ দিন ছুটি পাচ্ছেন। সেই সাথে শিফট অ্যালাউন্স, পরিবেশ অ্যালাউন্স, উৎপাদন ভাতা, ইন্সটলেশন ও স্যালভেজ বোনাস, দুটি উৎসব ভাতা এবং অধিকাল ভাতা পান। এমডি হাবিব উদ্দিন বলেন, খনির সদর দপ্তরে বসবাসকরা ৩শ বিদেশী ও ২শ দেশি খনি কর্মকর্তা ও তাদের পরিবারের সদস্যরা মানবেতর জীবন-যাপন করছেন। শ্রমিকদের হামলায় আহত কর্মকর্তাদের পরিবারের সদস্যরা তাদের আহত স্বজনদের দেখভাল করতে পারছেনা। সে জন্য আন্দোলনকারী শ্রমিকদের আন্দোলন বন্ধ করে ২১মে সোমবার পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যানের সাথে আলোচনায় বসার জন্য তিনি অনুরোধ করেন। আন্দোলনকারী বড়পুকুরিয়া খনি শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি রবিউল ইসলাম বলেন, ইতোপূর্বেও কয়েক দফা আন্দোলন বন্ধ করে পেট্রোবাংলা চেয়ারম্যানের সাথে আলোচনায় বসা হয়েছে। কয়েক দফা সময় নিয়েছে কিন্তু শ্রমিকের দাবি পূরণ হয়নি। তাই দাবি পুরন না হওয়া পর্যন্ত এই আন্দোলন চলবে। একই কথা বলেন ক্ষতিগ্রস্থ ২০ গ্রামবাসীর সমন্বয় কমিটির আহবায়ক মশিউর রহমান বুলবুল ও মিজানুর রহমান। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ফুলবাড়ী সার্কেল) রফিকুল ইসলাম বলেন, শ্রমিকদের সাথে আলোচনা করা হয়েছে। তারা এখন শুধু কর্মবিরতী কর্মসূচি পালন করবেন খনির গেট অবরুদ্ধ করবেন না। সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। যাতে খনিতে যাতায়াত করতে কেউ বাধার মুখে না পড়েন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ