পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জামিন বহালের রায়ের সংক্ষিপ্ত আদেশ চেয়ে তাঁর আইনজীবীদের প্রার্থনা নাকচ করেছেন আপিল বিভাগ। গতকাল বুধবার প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন চার সদস্যের আপিল বেঞ্চ বুধবার দুপুরের দিকে এই আদেশ দেন।
এসময় শুনানির একপর্যায়ে প্রধান বিচারপতি বলেন, আমরা দলবল দেখে আদেশ দিই না। সকাল ৯টার দিকে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়াকে হাইকোর্টের দেয়া জামিন বহাল রেখে রায় দেন আপিল বিভাগ। এরপর বেলা সাড়ে ১১টার দিকে খালেদা জিয়ার আইনজীবী সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এ জে মোহাম্মদ আলী আপিলের রায়ের সংক্ষিপ্ত আদেশের জন্য মৌখিক আবেদন করেন। এ জে মোহাম্মদ আলী আদালতকে বলেন, জামিননামা দাখিল করতে চাই। তাই ঘোষিত রায়ের সংক্ষিপ্ত আদেশ চাচ্ছি। আদালত রায় ঘোষণা করেছেন, যা সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটেও থাকবে। রায়ের সংক্ষিপ্ত আদেশের কপি দিন।
মোহাম্মদ আলীর এমন প্রার্থনার পরিপ্রেক্ষিতে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম আদালতে বলেন, রায় ঘোষণার পর সংক্ষিপ্ত আদেশের কপি দেয়ার নজির নেই। এ জে মোহাম্মদ আলী বলেন, রায়ের পর একমুহূর্তও কাউকে আটকে রাখা হলে, তা হবে বেআইনি আটক। এ জন্য সংক্ষিপ্ত আদেশ চাচ্ছি। এ জে মোহাম্মদ আলীর উদ্দেশে আদালত বলেন, আপনি যা বলেছেন, তা আমাদের রুলসে নেই।তখন এ জে মোহাম্মদ আলী বলেন, কোনো ব্যক্তির স্বাধীনতা অন্য যেকোনো বিষয়ের চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।
আদালত বলেন, দ্রæত সময়ের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ রায় পাবেন। বেঞ্চের এক বিচারপতি বলেন, সংক্ষিপ্ত আদেশ দেয়ার নজির নেই। এরপর এ জে মোহাম্মদ আলী বলেন, নজির নেই। আপনারা নজির সৃষ্টি করতে পারেন। আদালত বলেন, আপনার আবেদন প্রত্যাখ্যান করা হলো। এ পর্যায়ে এ জে মোহাম্মদ আলী বলেন, আমি একা এসেছি। দলবল নিয়ে আসিনি।
এরপর এ জে মোহাম্মদ আলীর উদ্দেশে প্রধান বিচারপতি বলেন, দল দেখে কি আমরা আদেশ দেব? দলবল দেখে আদেশ দিই না। মোহাম্মদ আলীকে উদ্দেশ করে বেঞ্চের সিনিয়র বিচারপতি বলেন, আপনি এটা কী বললেন? এসময় বঞ্চের অপর এক বিচারপতি এ জে মোহাম্মদ আলীকে উদ্দেশ করে বলেন, আপনি যে মন্তব্য করেছেন, সেটি আপত্তিজনক। আপনি কি আমাদের ফোর্স করতে পারেন? আপনি একজন আইনজীবী। কোনো দলীয় লোক নই। মোহাম্মদ আলীর উদ্দেশে বেঞ্চর আরেক বিচারপতি বলেন, আপনার প্রার্থনা প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে। তর্ক করছেন কেন? তখন মোহাম্মদ আলী বলেন, এটা ঠিক হয়নি। শেষে প্রধান বিচারপতি বলেন, আপনার আবেদন আমরা বিবেচনা করতে পারলাম না। বিবেচনা করার সুযোগ নেই। প্রধান বিচারপতির কথার পর আদালত কক্ষ থেকে বেরিয়ে আসেন এ জে মোহাম্মদ আলী। ছয় থেকে সাত মিনিটের মতো এই শুনানি চলে। এ জে মোহাম্মদ আলীর সঙ্গে ছিলেন নওশাদ জমির, কায়সার কামাল ও মীর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন। দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।