Inqilab Logo

রোববার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

রমজানেই খালেদা জিয়া মুক্তি পাবেন আশাবাদ মির্জা ফখরুলের

| প্রকাশের সময় : ১৭ মে, ২০১৮, ১২:০০ এএম


রমজানের মধ্যেই বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া মুক্তি পাবেন বলে আশা প্রকাশ করেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, ঈদ পর্যন্ত আমাদের চেয়ারপারসন কারাগারে থাকবেন বলে আমরা মনে করি না। রমজানের মধ্যেই তিনি মুক্তি পাবেন। আমাদের দেশের মধ্যে আইনের যে সিস্টেম আছে তাতে মনে করি যে এটা হওয়া উচিত। গতকাল (বুধবার) সন্ধ্যায় গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে তিনি এই আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, আমাদের প্রত্যাশা থাকা স্বাভাবিক; চেয়ারপারসনের বিরুদ্ধে যেসব মামলা রয়েছে, সেগুলোতে আপিল করলে জামিন পাওয়া সম্ভব। ম্যাডামের বিরুদ্ধে এখন ৬টা মামলায় শোন অ্যারেস্ট দেখানো আছে। সেই মামলাগুলো নিয়ে আমরা হাইকোর্টে মুভ করবো। আইনজীবীদের সাথে আমি আলাপ করেছি। আমরা প্রত্যাশা করছি যে, আগামী ৭/১০ কর্ম দিবসের মধ্যেই ওইসব মামলায় জামিন পাওয়া যাবে।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়াকে জড়ানোর কোনো ভিত্তি নেই দাবি করে তিনি বলেন, এই মামলার সাথে বেগম জিয়ার কোনো সম্পর্কই নাই, উনি জানতেনও না এই ফান্ড আসছে, এই ফান্ড যাচ্ছে। উনার কোনো সই নাই -----। ট্রাস্টি বোর্ডে তার কোনো সম্পৃক্ততা নেই তাকে কি করে আসামী করা যায়? নিম্ন আদালতে যে বিশ্বাস ভঙ্গের কথা বলা হয়েছে তা কিন্তু প্রমাণ করতে পারেনি। নিম্ন আদালতে রায় দিয়ে দিয়েছেন। আমরা আশাবাদী যে, উচ্চ আদালতে উনি গেট দ্যা রিলিজ।
সাধারণ কয়েদিদের কারাগারে চিকিৎসার সুযোগ দেয়া হলেও তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া চিকিৎসা সেবা পাচ্ছে না অভিযোগ করে তিনি বলেন, সন্ত্রাসী যোশেফ, টাঙ্গাইলের সরকার দলীয় এমপি রানা, আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কৃত নেতা আব্দুল লতিফ সিদ্দিকীকে কারাবন্দি অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হলেও খালেদা জিয়া হাসপাতালের চিকিৎসা পাচ্ছেন না। এমনকি, সরকার যে মেডিকেল বোর্ড গঠন করেছে সেই মেডিকেল বোর্ডই খালেদা জিয়ার চিকিৎসার জন্য যেসব সুপারিশ করেছে, তাও বাস্তবায়ন করা হচ্ছে না।
নির্বাচন কমিশনারদের পদত্যাগ করার আহŸান জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল বলেন, সরকার নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) বশীকরণ করে রেখেছে। আমরা বারবার বলে আসছি এই নির্বাচন কমিশন নিরপেক্ষ নয়। তাদের দিয়ে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব নয়। খুলনা নির্বাচনে নির্বাচন কমিশন প্রশ্নবিদ্ধ ভূমিকায় ছিল অভিযোগ করে তিনি বলেন, আমরা তাদের চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছি কোথায় কোথায় অনিয়ম হচ্ছে, জাল ভোট দিচ্ছে, ভোটারদের ভোট কেন্দ্রে যেতে বাধা দেয়া হচ্ছে। কিন্তু ইসি না জানার ভান ধরে পাশ কাটিয়ে গেছে। আমরা তাদের কাছে অভিযোগ করেছি কিন্তু প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেছেন আমি দেখছি। তিনি যে কি দেখছেন তা এখনো আমাদের প্রশ্ন। সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করতে না পারার ব্যর্থতার জন্য নির্বাচন কমিশনারদের পদত্যাগ করা উচিত বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
খুলনা সিটি করপোরেশনে ব্যাপক অনিয়মের মাধ্যমে আওয়ামী লীগের প্রার্থীতে বিজয়ী করলেও গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন নিয়ে বিএনপি ভিন্নভাবে চিন্তা করবে বলে জানান বিএনপির এই নেতা। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, খুলনার জনগনের সাথে হিপোক্রেসী করেছে তারা (সরকার)। সেখানকার জনগণ ভোট অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়েছে। অবশ্যই গাজীপুরের নির্বাচনে নতুন করে ভাববো, নতুন স্ট্যাটেজি নেব অথবা সিদ্ধান্ত নেবো নতুন করে। আলোচনা হবে আমাদের পার্টির সব লেভেলে। কারণ খুলনার নির্বাচনটা নিসন্দেহে আই ওপেনার। সব মিলিয়ে আমরা চিন্তা করবো। কারণ খুলনায় সরকার নতুন কৌশল অবলম্বন করেছে। সেখানে দৃশত শান্ত আর ভেতরে ভেতরে গোলমাল ছিল অনেক আগে থেকেই। কিভাবে করেছে ভয়-ভীতি, ত্রাস সৃষ্টি করে, আইনশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে সেখানে একটি ক্ষেত্র তৈরি করেছে তারা। বিএনপি মহাসচিব দাবি করেন খুলনায় সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন হলে ধানের শীষের প্রার্থী নজরুল ইসলাম মনজু এক লাখ ভোটের ব্যবধানে বিজয়ী হতেন। আলাপচারিতার সময়ে চেয়ারপাসনের প্রেস উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান উপস্থিত ছিলেন।#####

 

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ