পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
অর্থনৈতিক রিপোর্টার : ‘সবুজ অর্থনীতি’ উন্নয়নে সঠিক নীতিমালা প্রণয়নের মাধ্যমে বিশ্বের কর্মসংস্থান সমস্যার অনেকটা মোকাবেলা করা সম্ভব। গত সোমবার নতুন এক প্রতিবেদনে এ তথ্য তুলে ধরেছে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও)। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘সবুজ অর্থনীতি’র জন্য সঠিক নীতিমালা প্রণয়নের মাধ্যমে ২০৩০ সাল নাগাদ সারা বিশ্বে দুই কোটি ৪০ লাখ নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা সম্ভব হবে।
আইএলওর ‘দ্য ওয়ার্ল্ড এমপ্লয়মেন্ট অ্যান্ড সোস্যাল আউটলুক ২০১৮: গ্রিনিং উইথ জবস’ শীর্ষক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধি দুই ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখার উদ্যোগের ফলে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক কর্মসংস্থান সম্ভব। অন্যদিকে বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধির ফলে যে ৬০ লাখ কাজ কমে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে তা নতুন সৃষ্ট কাজের মাধ্যমে পুষিয়ে নেয়া যাবে।
প্রতিবেদন প্রকাশ অনুষ্ঠানে আইএলওর উপমহাপরিচালক ডেবোরা গ্রিনফিল্ড বলেন, আমাদের প্রতিবেদনে দেখা গেছে, কর্মসংস্থান একটি সুস্থ পরিবেশ এবং যে সেবা এটা প্রদান করে, তার ওপর ব্যাপক মাত্রায় নির্ভরশীল। তিনি বলেন, সবুজ অর্থনীতি কয়েক লাখ মানুষকে দারিদ্র্য থেকে বের হয়ে আসতে সহায়তা করবে। একই সঙ্গে তা এসব মানুষ এবং তাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য উন্নত জীবিকার সুযোগ সৃষ্টি করবে।
আইএলওর প্রতিবেদনে দেখা গেছে, জ্বালানি উৎপাদন ও ব্যবহারে গৃহীত পদক্ষেপের ফলে যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় ৩০ লাখ, এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে প্রায় এক কোটি ৪০ লাখ ও ইউরোপে ২০ লাখ কাজের সৃষ্টি হবে।
সংবাদ সম্মেলনে প্রতিবেদনটির প্রধান লেখক ক্যাথরিন স্যাগেট বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে কাজ হারানোর যে সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে, সেক্ষেত্রে নীতিমালা পরিবর্তন সে ক্ষতি পুষিয়ে দিতে পারে। পরিবেশগতভাবে টেকসই অর্থনীতি ও সমাজে রূপান্তরের জন্য নি¤œ এবং বেশকিছু মধ্যম আয়ের দেশের তথ্য আহরণ ব্যবস্থা উন্নয়ন এবং কৌশল গ্রহণ ও অর্থায়নের ক্ষেত্রে এখনো সহায়তার প্রয়োজন রয়ে গেছে।
স্যাগেট বলেন, এশিয়া ও আফ্রিকার জনশক্তির বড় একটি অংশ কৃষিতে নিয়োজিত, যেখানে পরিবেশবান্ধব পদক্ষেপ গ্রহণ করা যেতে পারে। নতুন কাজ সৃষ্টির লক্ষ্যে নীতিনির্ধারকদের জ্বালানি মিশ্রণে পরিবর্তন, বৈদ্যুতিক যানবাহন ব্যবহার ও ভবনের জ্বালানি দক্ষতা উন্নয়নসহ জ্বালানি খাতে টেকসই চর্চা গ্রহণ করতে হবে।##
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।