পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
অর্থনৈতিক রিপোর্টার : জাপানের ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগ এবং এদেশের অগ্রগতির সঙ্গী হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ-বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান কাজী এম আমিনুল ইসলাম।
গত মঙ্গলবার জাপানের বন্দরনগরী ওসাকায় এক সেমিনারে শতাধিক ব্যবসায়ীর উপস্থিতিতে তিনি বলেন, আমরা যেসব অর্জন করেছি, সে অগ্রগতিতে অংশীদার হিসেবে থেকেছে জাপান। বাংলাদেশে বিনিয়োগ করুণ এবং বাংলাদেশের সঙ্গে থাকুন।
জাপানে বাংলাদেশে দূতাবাস, বিডা ও ওসাকা চেম্বার অব কমার্স যৌথভাবে এই সেমিনারের আয়োজন করে।
বাংলাদেশে বিনিয়োগকারী অনেক জাপানি ব্যবসায়ী তাদের দেশের ব্যবসায়ীদের দৃষ্টি আকর্ষণে এদেশের ব্যবসার পরিবেশের প্রশংসা করেন।
বাংলাদেশে কারখানা রয়েছে মারুহিসা কোম্পানির, এখানকার পোশাক জাপানে রফতানি করে তারা।
ওই কোম্পানির প্রেসিডেন্ট বলেন, সেখানে অনেক চ্যালেঞ্জ রয়েছে। তবে দেশটি ব্যাপক উন্নতির পথে রয়েছে। একবার যাত্রা করলে আপনার মনে হবে, দেশটিতে বহু সুযোগ রয়েছে।
২০০৯ সালে চীন থেকে নিজের কারখানা ঢাকায় স্থানান্তরের কথা জানান তিনি।
বাংলাদেশ দূতাবাসের কমার্শিয়াল কাউন্সেলর মোহাম্মদ হাসান আরিফ বলেন, জাপান-বাংলাদেশ বাণিজ্য সম্পর্ক এগিয়ে নেওয়া এবং বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতিতে অবদান রাখার লক্ষ্যে এই সেমিনারের আয়োজন করা হয়েছে।
দেশ হিসেবে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় উন্নয়ন অংশীদার জাপান এখন গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্য অংশীদারও হয়ে উঠছে। দুই দেশের মধ্যে বার্ষিক বাণিজ্যের পরিমাণ প্রায় তিন বিলিয়ন ডলার, জাপান এখন বাংলাদেশের নবম রফতানি বাজার। বিশ্ব ব্যাংকের ‘ডুয়িং বিজনেস’ সূচকে বাংলাদেশের অগ্রগতির লক্ষ্যে এদেশে ব্যবসার পরিবেশ উন্নয়নে বিডার গৃহীত পদক্ষেপগুলো তুলে ধরেন সংস্থাটির চেয়ারম্যান। জাপানি বিনিয়োগকারীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, বাংলাদেশ এখন বিনিয়োগকারীদের জন্য একটি ‘লাভজনক’ দেশ।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে ববস্যাবান্ধব সরকার, দক্ষ জনশক্তি, অবকাঠামোর সম্প্রসারণ, ব্যবসার পরিবেশের উন্নয়ন এবং বন্ধুত্বপূর্ণ ও আতিথিপরায়ন জনগণ থাকার বিষয়গুলো তুলে ধরেন তিনি। এই জায়গায় আসুন, বিনিয়োগ করুণ এবং আপনার ব্যবসার উন্নয়ন ঘটনা। গর্বের সঙ্গে উৎপাদন করুণ এবং বাংলাদেশের সমৃদ্ধির অংশীদার হন। বিডা চেয়ারম্যান বলেন, এক সময় বাংলাদেশে একটি সমুদ্র বন্দর ছিল। এখন সেখানে তিনটি বন্দর এবং জাপানের সহযোগিতায় একটি গভীর সমুদ্র বন্দর নির্মাণাধীন রয়েছে। আমাদের শ্রমের মান চীনের ৭৭ শতাংশ, তবে পারিশ্রমিক তিন ভাগের এক ভাগ। ‘ডুয়িং বিজনেস’ সূচকে নিচের দিকে থাকলেও সাত দশমিক আট শতাংশ প্রবৃদ্ধি নিয়ে বাংলাদেশ বিশ্বে উদীয়মান অর্থনীতির দেশগুলোর মধ্যে সবচেয়ে ‘ভালো করছে’ বলে জানান বিডা চেয়ারম্যান।
তিনি বলেন, ব্যবসা সহজ করার সব দিকগুলোতে উন্নয়ন ঘটলে আমাদের প্রবৃদ্ধি দুই অংকের ঘরে পৌঁছাবে এবং তা অনেক বছর অব্যাহত থাকবে। বাংলাদেশের বেসরকারি খাতের প্রতিনিধি হিসেবে এনার্জিপ্যাকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হুমায়ুন রশিদ নিজের অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন। এক সময় বাংলাদেশ নিয়ে নিরাশ হয়ে যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমিয়েছিলেন তিনি। পরে ১৯৯৬ সালে দেশে ফিরে আসার কথা জানান তিনি।
পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান আবুল মনসুর মো. ফয়জুল্লাহ সেমিনারে গ্যাস ও এলএনজি নিয়ে সরকারের কার্যক্রম তুলে ধরেন। গতকাল বুধবার টোকিওতে জাপানি আরেক দল ব্যবসায়ীর সঙ্গে মতবিনিময় করেন বাংলাদেশের এই প্রতিনিধি দলের সদস্যরা
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।