Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার, ১৬ মে ২০২৪, ০২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ০৭ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

প্রথম ৫টি ব্যাংকের একটি হতে চায় এনসিসি

| প্রকাশের সময় : ১৭ মে, ২০১৮, ১২:০০ এএম


# ব্যাংকটির কোনো তারল্য সঙ্কট নেই, পরিচালনা পরিষদের হস্তক্ষেপ নেই
অর্থনৈতিক রিপোর্টার : সুশাসন কে অগ্রাধিকার দিয়ে আরো শক্ত ও টেকসই ভিত্তির ওপর দাঁড়াতে চায় বেসরকারি খাতের ন্যাশনাল ক্রেডিট অ্যান্ড কমার্স ব্যাংক লিমিটেড (এনসিসি)। ব্যাংকটি ২০১৯ সালের মধ্যে দেশের ব্যাংকিং খাতে প্রথম ৫টি ব্যাংকের মধ্যে আসতে চায়। সে লক্ষ্য নিয়ে পরিচালনা পরিষদ ও ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ জোরালো ভাবে কাজ করছে। একই সঙ্গে স্বচ্ছতার সঙ্গে ব্যাংকটি পরিচালিত হচ্ছে। ব্যাংকের পরিচালনা পরিষদ ঋণ অনুমোদনসহ কোন ধরনের হস্তক্ষেপ করে না। গতকাল বুধবার রাজধানীর মতিঝিলে ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়। ব্যাংকের বাণিজ্যিক কার্যক্রমের ২৫ বছর উদযাপন উপলক্ষ্যে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেন ব্যাংকটির পরিচালনা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. নূরুন নেওয়াজ সেলিম ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী মোসলেহ উদ্দীন আহমেদ। এসময় ভাইস চেয়ারম্যান সোহেলা হোসেন উপস্থিত ছিলেন। মো. নূরুল নেওয়াজ সেলিম বলেন, ১৯৯৩ সালে এনসিসি ব্যাংকের কার্যক্রম শুরু হয় ১৬ টি শাখার মাধ্যমে। আজ ব্যাংকের শাখার সংখ্যা ১০৯টি। ২ হাজার ১শ’ কর্মী এখানে কাজ করছে। আমানত ও বিনিয়োগর বড় আকার ধারণ করেছে। ব্যাংকটির অনুমোদিত মূলধন ও পরিশোধিত মূলধন বেড়েছে। এসব সূচকে এনসিসি ব্যাংক স্থিতিশীল অগ্রগতি করেছে। তিনি বলেন, আমরা গ্রাহকে আরো সহজে সেবা দিতে ব্যাংকটির প্রযুক্তিগত উন্নতি করেছি। সাইবার নিরাপত্তার বিষয়টি সব সময় গুরুত্ব দিয়েছে এনসিসি ব্যাংক। তিনি আরো বলেন, এনসিসি ব্যাংকের পরিষদ ব্যাংকটি পরিচালনা কোন ধরনের হস্তক্ষেপ করে না। স্বচ্ছতার সঙ্গে ব্যাংকটি পরিচালিত হচ্ছে। ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ যেসব প্রস্তাব পরিষদে নিয়ে আসেন সেগুলো মান পর্যালোচনা করে অনুমোদন করা হয়। ঋণ প্রদানে ব্যাপারে আমরা অত্যন্ত সর্তক। গত কয়েক বছর ধরে ঋণের মান আরো কঠোর ভাবে যাচাই বাছাই করা হচ্ছে। নূরুল নেওয়াজ জানান, ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের আমরা অগ্রাধিকার দিয়ে থাকি। একই সঙ্গে নারীর উদ্যোক্তাদের।
তবে ব্যাংক পরিচালনায় সর্তকতার পর খেলাপি ঋণের হার ও পরিমান বেড়েছে, কমে গেছে ব্যাংকটির নীট মুনাফা। এ বিষয়ে ব্যাখ্যা চাইলে চেয়ারম্যান বলেন, যেসব ঋণ খেলাপি হয়েছে সেগুলো আগের ঋণ। বিগত ২/৩ বছরে আমরা সর্তকতা বাড়িয়েছে। একই প্রশ্নের ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোসলেহ উদ্দীন আহমেদ বলেন, গত বছর আমাদের ১১৫ কোটি টাকা অতিরিক্ত খেলাপি দেখাতে হয়েছে। আদালতে এ সংক্রান্ত মামলা ছিলো। তবে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশ মোতাবেক এসব ঋণ আমরা খেলাপি দেছিয়ে। তাই খেলাপি ঋণ বেড়েছে। তিনি বলেন, টেকসই, আধুনিক ব্যাংকিং এবং সুশাসন নিশ্চিত করে আমরা এগিয়ে যেতে চাই। আমানত, বিনিয়োগ বাড়িয়ে শুধু আর্থিক ভাবে আমরা বড় হতে চাই না। সব সূচকে আমরা ২০১৯ সালের মধ্যে দেশের প্রথম ৫টি ব্যাংকের একটি হতে চাই। এটি পর্ষদের কাছে আমাদের দেওয়া প্রতিশ্রæতি।
মোসলেহ উদ্দীন বলেন, বর্তমানে ব্যাংকিং খাত দুটি চ্যালেঞ্জের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। এর একটি তারল্য সঙ্কট। অন্যটি খেলাপি ঋণ। তবে ব্যাংকিং খাত বিগত কয়েক মাস ধরে বেসরকারি অনেক ব্যাংক তারল্য সঙ্কটে পড়লেও ন্যাশনাল ক্রেডিট অ্যান্ড কমার্স ব্যাংক লিমিটেড (এনসিসি) এ কোন ধরনের তারল্য সঙ্কট তৈরি হয়। ব্যাংকটির আগাম ও আমানতের হার বাংলাদেশ ব্যাংকের বেধে দেওয়া সীমার মধ্যে রয়েছে। তাছাড়া আমানত থেকে ঋণে প্রবৃদ্ধির লাগামও টেনে ধরা হয়েছে। তিনি বলেন, রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর কাছে অলস টাকা আছে। তারা বাংলাদেশ ব্যাংকে ওই অর্থ ৬ শতাংশ সুদে রাখছে। কিন্তু আমরা চাইলে ৯ থেকে দশ শতাংশ সুদ দিতে হচ্ছে। এটা বেশি। রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর আমানতে সুদ হার ৮ শতাংশের বেশি হওয়া উচিত নয়। এটি হলে কেবল ঋণের সুদ হার এক অঙ্কে আসবে। অন্যথায় আসবে না। কারণ ১০ থেকে সাড়ে ১১ শতাংশ সুুদে আমানত নিয়ে এক অঙ্কে ঋণ দেওয়া সম্ভব নয়। এ সময় চেয়ারম্যান বলেন, রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর আমানত যাতে কম সুদে আমরা পাই সেটি নিয়ে বাংলাদেশ এসোসিয়েশন অব ব্যাংকস (বিএবি) কাজ করছে। এব্যাপারে শিগগিরই সমাধান হবে।##

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ