পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
কক্সবাজার ব্যুরো : জেরুসালেমে মার্কিন দূতাবাস স্থাপন এবং ইসরাইল কর্তৃক গাজায় মুসলমানদের উপর গণহত্যার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব, দারুল উলুম হাটহাজারী মাদরাসার সহযোগী মহা-পরিচালক ও শায়খুল হাদীস আল্লামা হাফেজ জুনায়েদ বাবুনগরী আজ সংবাদপত্রে প্রদত্ত এক বিবৃতিতে বলেছেন, ইসরাইল রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার ৭০তম বার্ষিকীতে তেল আবিব থেকে জেরুসালেমে মার্কিন দূতাবাস স্থানান্থর করা একটি অবৈধ পদক্ষেপ। জেরুসালেম হলো স্বাধীন ফিলিস্তিনের রাজধানী, যা ইসরাইল অন্যায়ভাবে জবর দখল করে রেখেছে। এ অবস্থায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জেরুসালেমে মার্কিন দূতাবাস স্থানান্থরের মাধ্যমে ফিলিস্তিনের সংকটকে আরো উস্কে দিয়েছে। ফিলিস্তিনের নিরপরাধ মুসলমানদের রক্তের ওপর দাঁড়িয়ে বায়তুল মুকাদ্দাসের ভূ’মিতে মার্কিন দূতাবাস উদ্বোধনের অনুষ্ঠান উদযাপন মেনে নেয়া যায়না। তিনি বলেন, মুসলমানদের প্রথম কিবলা পবিত্র বায়তুল মুকাদ্দাসের পবিত্র ভ’মিতে মার্কিন সামরাজ্যবাদীদের স্থান হতে পারেনা। ইহুদীবাদী ইসরাইল একটি অবৈধ সন্ত্রাসী রাষ্ট্র। এই ইসরাইল দীর্ঘ ৭০বছর ধরে যুক্তরাষ্ট্রের মদদে ফিলিস্তিনিদের ওপর অমানবিক নির্যাতন ও গণহত্যা চালাচ্ছে। ডোনাল্ড ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষমতায় আসার পর গণহত্যার মাত্রা আরো বেড়ে গিয়েছে । বিগত ১৫মে অর্ধশতাধিক মুসলমানদের নির্বিচারে গুলি করে হত্যা এবং ২৫০০ মানুষকে আহত করেছে। এই হত্যাকা-ের দায়ভার যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকেই নিতে হবে। আরববিশ্বের শাসকদের লজ্জাজনক নির্লিপ্ততার কারণে ইহুদিবাদীরা নিরাপরাধ ফিলিস্তিনি জনগণের ওপর ভয়াবহ গণহতা চালানোর সুযোগ পাচ্ছে।
বিবৃতিতে তিনি আরো বলেন, মার্কিন দূতাবাস স্থানান্থরের পদক্ষেপ নিছক সিদ্ধান্ত নয় বরং এটি মার্কিন সামরাজ্যবাদী গোষ্ঠী কর্তৃক ফিলিস্তিনের ভূখ- নতুন করে গ্রাস করার চক্রান্ত এবং যুদ্ধবাদী অপতৎপরতা। ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্ত জাতিসংঘের প্যালেস্টাইন বিষয়ক একাধিক প্রস্তাবের চরম লঙ্ঘন। আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী বলেন, ফিলিস্তিনিরা আমাদের ভাই-এজন্য তাদের সাথে সংহতি প্রকাশ করা এবং জালিম ইসরাইল ও মার্কিনীদের বিরুদ্ধে গণ-আন্দোলন গড়ে তোলা মুসলিম উম্মাহর ঈমানী দায়িত্ব। তিনি এই রাষ্ট্রীয় গণহত্যা বন্ধে মুসলিমবিশ্বের নেতৃবৃন্দ ও মানবতাবাদী বুদ্ধিজীবীদেরকে জোরালো কন্ঠে প্রতিবাদ করা এবং ফিলিস্তিনি মুসলমানদের ওপর ইসরাঈলী ইহুদিবাদীদের বর্বরোচিত হামলা বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে জাতিসংঘ, ওআইসি এবং অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থাসমূহ এবং বিশ্ব নেতৃবৃন্দের প্রতি আহŸান জানান। তিনি জারজ রাষ্ট্র ইসরাইলের সাথে মুসলিমবিশ্বের সকল কুটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করা এবং তাদের সকল পণ্য বর্জন করার জন্য আহবান জানান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।