পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : তিন মাস বেতন-ভাতা বকেয়া। পরিবার নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন পুরান ঢাকার ঢাকা ন্যাশনাল মেডিকেল ইনস্টিটিউট হাসপাতালের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। অসহায় হয়ে নিজেদের প্রাপ্য বুঝে পেতে রাস্তায় নেমেছেন স্বাস্থ্য খাতের এসব কর্মীরা। দ্রæত বেতন-ভাতার দাবিতে গতকাল বুধবার দ্বিতীয় দিনের মতো হাসপাতাল প্রাঙ্গনে মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করেছেন তারা। সকাল সাড়ে ১০টা থেকে ১২ পর্যন্ত চলে এ কর্মসূচি।
মানবন্ধনে হাসপাতালের কর্মকর্তা-কর্মচারী ঐক্য পরিষদের সভাপতি মো. বুলবুল মিয়া, সাধারণ সম্পাদক মোতালেব হোসেন ও সদস্য নাজিম উদ্দিনের নেতৃত্বে হাসপাতালের সকল স্টাফ স্বেচ্ছায় রাস্তায় নেমে কর্মসূচিতে অংশ নেন। মানববন্ধন কর্মসূচিতে সাদা কাপড়ে লাল হরফে লেখা ‘বেতন চাই’ ব্যান্ড পরিহিত প্রায় ২০০ কর্মচারীর ‘বেতন চাই, বেতন চাই’ শ্লোগানে হাসপাতাল প্রাঙ্গন মুখরিত হয়ে উঠে। এ সময় হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা ব্যাহত হয়। মানববন্ধন শেষে তারা হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক ডা. ক্যাপটেন (অব.) এম এ সালামের রুমের সামনে অবস্থান নেন। মো. বুলবুল মিয়া জানান, হাসপাতালের বিভিন্ন শ্রেণির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা তিন মাস বেতন ও দীর্ঘদিন ধরে ভাতাদি পাচ্ছেন না। বিগত সময়ে হাসপাতাল ব্যবস্থাপনা বোর্ড বেশ কয়েকবার আশ্বাস দিলেও আশ্বাস পূরণ করেনি। তাদের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে। বেতন-ভাতাদি না পেয়ে তারা পরিবার-পরিজন, সন্তান-সন্তানাদি নিয়ে দুর্বিষহ জীবনযাপন করছেন। তিনি বলেন, হাসপাতালের কর্মকর্তা-কর্মচারী ঐক্য পরিষদের আহবানে শান্তিপূর্ণভাবে কর্মসূচি পালিত হয়েছে।
এদিকে আগামী ২০ তারিখের মধ্যে তাদের দাবি মেনে না নিলে নতুন করে কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলে তিনি জানান। হাসপাতালের পরিচালক ডা. এম এ সালাম জানান, ঢাকা ন্যাশনাল মেডিকেল ইনস্টিটিউট হাসপাতালের ইতিহাস ঐতিহ্য অনেক পুরান। এটা প্রাইভেট হাসপাতাল। সরকারের সামন্য কিছু অনুদান দেয়। এ ছাড়া হাসপাতালের আয় দিয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারিদের বেতন-ভাতাসহ অন্যান্য খরচ বহন করা হয়। কিন্তু সরকারি স্কেল অনুযায়ী বেতন দিতে বর্তমানে আর্থিক সমস্যায় পড়েছে হাসপাতাল। ফলে একটু তাদের পাওনা দিতে বিলম্ব হচ্ছে। তবে সরকারের সঙ্গে আলোচনা চলছে অনুদানের পরিমান বাড়ানোর জন্য। ইতোমধ্যে আশ^াসও পেয়েছি। শিগগিরই সমস্যা কেটে যাবে বলে তিনি জানান। উল্লেখ্য, গত ১ মে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা হাসপাতালের পরিচালকের সাথে আলোচনায় বসেছিলেন। তিনি (পরিচালক) ১০ মে’র মধ্যে চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী, ২০ মে’র মধ্যে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় শ্রেণির সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীর মার্চ মাসের বেতন এবং পরবর্তীতে ৩০ মে’র মধ্যে এপ্রিল মাসের বেতন পরিশোধ করবেন বলে প্রতিশ্রæতি দিলেও তার কোনটাই কার্যকর হয়নি। ফলে হাসপাতালের সমস্যা সমাধানে তারা সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।