Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে নেতানিয়াহুর বিচার দাবি

ঢাকায় বাম মোর্চার বিক্ষোভ সমাবেশ

| প্রকাশের সময় : ১৭ মে, ২০১৮, ১২:০০ এএম


স্টাফ রিপোর্টার : ‘ফিলিস্তিনে আবারও শুরু হয়েছে বর্বর হত্যাযজ্ঞ। জেরুজালামে মার্কিন দূতাবাস স্থাপনকে কেন্দ্র করে সংগঠিত বিক্ষোভে ইসরায়েলী সেনাবাহিনীর নির্মম হত্যাকাÐে এ পর্যন্ত ৬০ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনি নাগরিক, শিশু মৃত্যুবরণ করেছে। সারা পৃথিবীর গণতন্ত্রমনা মানুষ যখন এই হত্যাকাÐের প্রতিবাদে সোচ্চার তখন বিশ^ সা¤্রাজ্যবাদের মোড়ল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প হত্যাকাÐের জন্য ইসরায়েলকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। আর ফিলিস্তিনিদের রক্তের সাগরে ভাসিয়ে দিয়ে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিআমিন নেতানিয়াহু এই ঘটনাকে ‘গৌরবোজ্জ্বল’ বলে উল্লাস প্রকাশ করছেন। আমরা এই রক্তপিপাসু, বিশ^সন্ত্রাসী, অস্ত্রকারবারি, ফিলিস্তিনের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব হরণকারী ট্রাম্প-নেতানিয়াহুর ভূমিকার তীব্র নিন্দা জানাই। সাথে সাথে আন্তর্জাতিক আদালতের কাছে দাবি জানাই অবিলম্বে আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনাল গঠন করে গণহত্যাকারী নেতানিয়াহুসহ অন্যান্যদের বিচার করুন। বিশে^র সকল গণতান্ত্রিক-প্রগতিশীলমনা নেতৃবৃন্দের প্রতি আহŸান জানাই Ñ ইসরায়েলের সাথে সমস্ত রকম রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সামরিক সম্পর্ক ছিন্ন করুন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাক্কারজনক ভূমিকার বিরোধিতা করুন, এই গণহত্যার বিরুদ্ধে সর্বাত্মকভাবে অবস্থান নিন।’ ফিলিস্তিনে ইসরায়েল পরিচালিত হত্যাকাÐ বন্ধের প্রতিবাদে গতকাল আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে গণতান্ত্রিক বাম মোর্চার নেতারা এসব কথা বলেন।
জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এই বিক্ষোভ সমাবেশে নেতৃত্ব দেন কমরেড শুভ্রাংশু চক্রবর্ত্তী।বক্তব্য রাখেন গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির সাধারণ সম্পাদক মোশরেফা মিশু, ইউনাইটেড কমিউনিস্ট লীগের সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য অধ্যাপক আবদুস সাত্তার, গণসংহতি আন্দোলনের কেন্দ্রীয় নেতা আবুল হাসান রুবেল, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক আন্দোলনের আহŸায়ক হামিদুল হক, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির কেন্দ্রীয় নেতা মীর মোস্তাক প্রমুখ।
নেতৃবৃন্দ বলেন, ‘৭০ বছর ধরে ফিলিস্তিনের জনগণ স্বাধীনতার জন্য লড়াই করছে। এই দীর্ঘ সময়ে কত রক্তপাত, কত প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে কিন্তু মাকিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রত্যক্ষ মদদ, ইসরায়েলকে অর্থ-অস্ত্র দিয়ে সহযোগিতা করার কারণে আজও ফিলিস্তিনিরা তাদের ভূÑখÐের অধিকার ফিরে পাইনি। যুক্তরাষ্ট্র পুরো মধ্যপ্রাচ্য জুড়ে নিজেদের কর্তৃত্ব জারি রাখার স্বার্থেই যুগের পর যুগ ইসলায়েলকে সহযোগিতা করেছে এবং ফিলিস্তিনের রক্তের বন্যা বইয়ে দিয়েছে। ফিলিস্তিনে নির্মম গণহত্যা চললেও আমাদের দেশের সরকার নামমাত্র ও লোক দেখানো প্রতিবাদ করেছে। তাদের এই ভূমিকার কারণ তারাও, ফিলিস্তিনে যে জোট প্রধানত ইসরায়েলকে সহায়তা করছে, সেই মার্কিন-সউদী জোটের সাথে সম্পর্কিত। গত কিছুদিন আগে সউদী আরবের সামরিক মহড়ায় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী অংশগ্রহণ করেছিলেন। ফলে এই সরকারের কোনো নৈতিক অবস্থান নেই ফিলিস্তিনিদের স্বাধীনতার সংগ্রামের পাশে দাঁড়ানোর। আর যে কায়দায় এই সরকার দেশের জনগণের উপর নিপীড়ন করছে তাদের পক্ষে নিপীড়িতদের পক্ষে অবস্থান করা অসম্ভব।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ