পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : দুই দিনের সফরে আগামী ২৫ মে ভারত যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ সফরে তিনি পশ্চিমবঙ্গের শান্তিনিকেতনে বাংলাদেশ ভবন উদ্বোধন, বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনে বিশেষ অতিথি হিসেবে যোগদান এবং আসানসোলে কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সম্মানজনক ডক্টরেট ডিগ্রি গ্রহণ করবেন। বিশ্বভারতী-শান্তিনিকেতনের অনুষ্ঠানে শেখ হাসিনার সঙ্গে থাকবেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। অনুষ্ঠানের ফাঁকে দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথাও হবে। ভারতের সরকারি সূত্র ও বিশ্বভারতীর উপাচার্য সবুজকলি সেন এসব তথ্য জানিয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যায়ল সূত্রে জানা গেছে, আগামী ২৫ মে সকালে কলকাতা পৌঁছে শান্তিনিকেতনের উদ্দেশে রওনা হবেন শেখ হাসিনা। শান্তি নিকেতনে ‘বাংলাদেশ ভবন’ উদ্বোধন করবেন তিনি। এ সময় তাঁর সঙ্গে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও উপস্থিত থাকবেন। এ অনুষ্ঠানে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও উপস্থিত থাকতে পারেন, তাঁকেও আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। একই দিন বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে যোগ দেবেন শেখ হাসিনা। এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি থাকবেন নরেন্দ্র মোদি, যিনি কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রতিষ্ঠিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির আচার্য। বিশ্বভারতীর অনুষ্ঠান শেষে ওই দিন রাতে কলকাতায় ফিরে রাত্রি যাপন করবেন শেখ হাসিনা। তিনি পরদিন ২৬ মে আসানসোলে কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে যাবেন। ওই বিশ্ববিদ্যালয়ে তাঁকে সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রি প্রদান করা হবে। অনুষ্ঠান শেষে ওই দিন বিকেলেই ঢাকার উদ্দেশে রওনা হবেন তিনি। ২০১১ সালের সেপ্টেম্বর মাসে ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের বাংলাদেশ সফরকালে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠকের পর শান্তিনিকেতনে ‘বাংলাদেশ ভবন’ নির্মাণের প্রস্তাব গৃহীত হয়। এর পরই এ ভবন নির্মাণের জন্য বিশ্বভারতী দুই বিঘা জমি দান করে। বাংলাদেশ সরকার ভবন নির্মাণের জন্য দেয় ২৫ কোটি রুপি। তবে নির্মাণকাজ শুরু হয় ২০১৫ সালের শেষ দিকে। বাংলাদেশ ভবনে একটি অত্যাধুনিক প্রেক্ষাগৃহ তৈরি করা হয়েছে, যেখানে বছরভর নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে। তা ছাড়া রয়েছে প্রদর্শনী কক্ষ। বড় একটি পাঠাগারও তৈরি করা হয়েছে, যেখানে দুই বাংলার সাহিত্য, সংস্কৃতি, ইতিহাস ও স্বাধীনতাসংগ্রামের কাহিনিসংক্রান্ত বইপত্র থাকবে। রয়েছে শহীদ মিনার, ভবনের প্রবেশদ্বারের দুই প্রান্তে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের দুটি ম্যুরালও বসানো হচ্ছে। দুই দেশের সম্পর্ক দৃঢ় করতে এই উদ্যোগ একটা বড় ভূমিকা নেবে বলে দুই দেশের বিশ্বাস।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।