পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : অতীতের মতো একইভাবে খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনেও আওয়ামী লীগ সন্ত্রাস ও ভোট চুরির ঘটনা পুনরাবৃত্তি করেছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, ভোট শেষ হওয়া পর্যন্ত ভোট কেন্দ্রগুলোতে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর প্রহরায় নৌকা প্রার্থীর পক্ষে একচেটিয়া সীল মারার জন্য খুলনা পুলিশ কমিশনার নির্দেশ দিয়েছেন। ভোট এরকমই হবে বলে নৌকা মার্কার প্রার্থী নিশ্চিত ছিলেন বলেই নির্বাচনের দিনের দু’দিন আগে ভোটে জেতার জন্য শুভেচ্ছা জানিয়ে পোস্টার ছাপিয়ে দেয়ালে দেয়ালে সেঁটেছেন নৌকা মার্কার প্রার্থী। অথচ ভোটগ্রহণে নানা অনিয়মের বিষয়ে জানানো হলেও নির্বাচন কমিশন কোনো ব্যবস্থা না নিয়ে আওয়ামী লীগের প্রার্থীর পক্ষে কাজ করেছে। গতকাল (মঙ্গলবার) নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দুপুরে ও বিকেলে পৃথক দুটি সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
রিজভী বলেন, বর্তমান অবৈধ সরকার ক্ষমতায় থাকলে কোনদিনই দুষণমুক্ত নির্বাচন হবে না। সরকার, আইন শৃঙ্খলা বাহিনী, নির্বাচন কমিশন ও আওয়ামী সশস্ত্র ক্যাডার’রা একই নৌকার যাত্রী হওয়ার কারনে ভোট ডাকাতির নির্বাচনকেই আদর্শ নির্বাচন হিসেবে তারা প্রতিষ্ঠিত করতে চাচ্ছে। অবৈধ সরকার জনগণ পরিত্যক্ত হলেই সেই সরকার বেআইনী কাজ করবেই এবং এর জন্য তাদের কোন লজ্জাবোধ নেই। নির্বাচন কমিশন সরকারের কাছে আত্মসমর্পন করেছে অভিযোগ করে বিএনপির এই নেতা বলেন, নির্বাচন কমিশন সরকারেরই বিম্বিত কন্ঠস্বর। আওয়ামী সন্ত্রাসী ক্যাডার, প্রকাশ্য অদৃশ্য আইন প্রয়োগকারী সংস্থার গুন্ডামী এবং গত কয়েকদিনে ভোটারদের মনে ভীতি সৃষ্টির জন্য গ্রেফতার ও বাড়ীতে বাড়ীতে পুলিশের আগ্রাসন, ভোটকেন্দ্রে ধানের শীষের এজেন্টদের ঢুকতে না দেয়া, মহিলা এজেন্টদের হুমকি দিয়ে ভোটকেন্দ্রে যেতে না দেয়া সবমিলিয়ে এখন পর্যন্ত যা ভোট হয়েছে, তা প্রহসন। প্রহসনের আরও একটি নিদর্শন হচ্ছে ধানের শীষের মেয়র প্রার্থী একটি কেন্দ্রে গিয়ে দেখেন গোটা ব্যালট বইটির প্রতিটি পেপার নৌকা মার্কার সীলে ভরা। আরও কয়েকটি কেন্দ্রে সাংবাদিকরা ঐরুপ ঘটনা সরেজমিনে প্রত্যক্ষ করেছেন। আওয়ামী লীগের সকল কাজই প্রকৃতপক্ষে প্রতারণা ছাড়া আর কিছুই নয়। নির্বাচন কমিশন নিজেদের স্বাধীনতা অস্বীকার করে সরকারের পরাধীন হওয়ার জন্য আত্মসমর্পণ করেছে। এই কমিশন সরকারেরই ফটোকপি, তাদের কম্প্রোমাইজড কপি। নির্বাচন কমিশনের একরম ভূমিকার কারণে ক্ষমতাসীনরা ‘বেপরোয়া’, ভোটারদের ভোট কেড়ে নিতে বাধাহীন।
শেখ হাসিনার রাজত্বে গণতন্ত্র এখন ছিন্নমুলে পরিণত হয়েছে মন্তব্য করে রিজভী বলেন, সরকার মুলত: দেশবাসীর রক্ত পান করতে করতে সারাদেশকে ভাগাড়ে পরিণত করেছে। ভোটারবিহীন সরকারের নিরবচ্ছিন্ন ভোটাধিকার হরণের ধারায় জনগণের অন্তহীন আর্তি এখন আকাশে-বাতাসে ধ্বণিত হচ্ছে। খুলনায় ভোট সন্ত্রাসের ঘটনায় খুলনা সিটি কর্পোরেশনের ভোটার’র ব্যথিত, বঞ্চিত, অপমানিত।
তিনি বলেন, অধিকাংশ কেন্দ্রে ধানের শীষের এজেন্টরা ঢুকতে দেয়া হয়নি। ভোট ডাকাতির যে বিষয়টি আমরা অভিযোগ করেছি, ভোট গ্রহণ শুরুর পর থেকে ডাকাতির যে চরিত্র দেখছি- কেড়ে নেওয়া, বের করে দেওয়া, আটকে রাখা, রক্তাক্ত করা, ব্যালট বাক্স নিয়ে যাওয়া, ভোটারদের ভয়ভীতি দেখানো, মহিলা এজেন্টদের হুমকি দেওয়া- এটা তো ডাকাতির নিদর্শন।
নির্বাচন কমিশনের সমালোচনা করে রিজভী বলেন, ইসি ‘গ্রিক মূর্তির মত’ নির্বাক হয়ে আছে। বিভিন্ন জেলা থেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে খুলনায় মোতায়েন করা হয়েছে। অথচ তাদের সামনেই আওয়ামী সন্ত্রাসীরা ভোটারদের বাধা দিচ্ছে। ধানের শীষের এজেন্টদের কেন্দ্র থেকে বের করে দিচ্ছে, ভোটারদের ভয়-ভীতি দেখাচ্ছে, ভোটারদের ঢুকতে দিচ্ছে না। এখন আপনারা উপলব্ধি করেন, সরকার কেন সেনাবাহিনী মোতায়েন করতে চায় না। কারণ এই আইনশৃঙ্খলা বাহিনী শেখ হাসিনা যা বলবেন, সেটা অক্ষরে অক্ষরে পালন করবেন। যেমন ইসি শেখ হাসিনার কথা অক্ষরে অক্ষরে পালন করছেন। তবু আমাদের প্রার্থী বলেছেন, শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত আমাদের প্রার্থী নির্বাচন থাকবেন। ভোটারা যদি সুযোগ পায়, এই অন্যায়, এই জুলুমের জবাব দেবে। বিএনপির কেন্দ্রীয় মনিটরিং সেলের এই সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদ, সহ দফতর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপু, মুনির হোসেন প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।